সিনহা নিংস:
সাঁওতালরা পূর্বভারত ও বাংলাদেশের সবচেয়ে
বড় আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির একটি। তারা অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষাগোষ্ঠির
অন্তর্গত একটি ভাষা সাঁওতালী ভাষায় কথা বলে ।
সাঁওতালরা দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে বাস
করে। দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট , ফুলবাড়ি, চিরিরবন্দর , কাহারোল এবং রংপুর
জেলার পীরগঞ্জে সাঁওতালরা অধিক সংখ্যায় বাস করে। রাজশাহী এবং বগুড়া অঞ্চলে
কিছু সংখ্যক সাঁওতাল আছে। প্রাচনিকাল থেকেই সাঁওতালরা এদেশে বসবাস করে
আসছে। এরা মোট ১২ টি গোত্রে বিভক্ত সাঁওতালী ভাষায় এ গোত্র গুলো ‘পারিস‘
নামে অভিহিত যেমন – হাঁসদা, সরেন,টুডু, কিসকু, র্মুমু, মার্ড়ী, বাস্কে,
ইত্যাদি ।
বাসস্থান ও পোশাকঃ
এদের ঘরগুলো ছোট এবচং মাটির তৈরি । ঘরে সাধারণত কোনো জানালা থাকে না ্ সাঁওতালরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালো বাসে। সাঁওতাল পুরুষরা আগে সাদা থান কাপড়ের ধুতি পরতেন। । বর্তমানে লুঙিগ,ধুতি, গেঞ্জি, গামছা , ব্যবহার করেন। নারীরা ‘ফতা‘নামের দুই খন্ডে কাপড় পরেন। বর্তমানে আরা শাড়িও পরেন। পুরুষ সকলে হাতে উল্কির ছাপ দেয় । মেয়েরা রূপার তৈরি গহনা যেমন- বালা ঝুমকা, আংটি, মল, হাঁসুলি ইত্যাদি ব্যবহার করে। সাঁওতাল নারীরা খোপায় ফুল গুজতে ভালোবাসে। অভিভাবকদের পছন্দ অনুযায়ী সাঁওতালি সমাজে যে বিয়ে হয় তাকে সাঁওতালি ভাষায়
এদের ঘরগুলো ছোট এবচং মাটির তৈরি । ঘরে সাধারণত কোনো জানালা থাকে না ্ সাঁওতালরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালো বাসে। সাঁওতাল পুরুষরা আগে সাদা থান কাপড়ের ধুতি পরতেন। । বর্তমানে লুঙিগ,ধুতি, গেঞ্জি, গামছা , ব্যবহার করেন। নারীরা ‘ফতা‘নামের দুই খন্ডে কাপড় পরেন। বর্তমানে আরা শাড়িও পরেন। পুরুষ সকলে হাতে উল্কির ছাপ দেয় । মেয়েরা রূপার তৈরি গহনা যেমন- বালা ঝুমকা, আংটি, মল, হাঁসুলি ইত্যাদি ব্যবহার করে। সাঁওতাল নারীরা খোপায় ফুল গুজতে ভালোবাসে। অভিভাবকদের পছন্দ অনুযায়ী সাঁওতালি সমাজে যে বিয়ে হয় তাকে সাঁওতালি ভাষায়
‘ডাঙুয়াবাপলা‘ বলে। আগের দিনে মৃত্যুদেহকে
দাহ করার নিযম ছিল। বর্তমানে অর্থনৈতি কারণে বাংলাদেশের সকল এলাকায়
সাঁওতালরা মরদেহের কবর দেয়।
খাদ্যাভ্যাসঃ
ভাত সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য। মাছ. কাঁকড়া , শুকর, মোরগ, মুরগি, বন জঙগলের পশু পাখি ও খরগোস গুইসাপ , ইঁদুর বিইজির মাংস এদের খুবই প্রিয় খাবার ।
ভাত সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য। মাছ. কাঁকড়া , শুকর, মোরগ, মুরগি, বন জঙগলের পশু পাখি ও খরগোস গুইসাপ , ইঁদুর বিইজির মাংস এদের খুবই প্রিয় খাবার ।
পেশাঃ
আদিকাল থেকেই কৃষিকে এরা প্রধান পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে । নারী পুরুষ সবাই জমিতে কাজ করে । পুরুষেরা হাল চাষ এবং নারীরা বজি বোনা ও ফসল তোলার কাজ করে। সাঁওতালরা কৃষিকাজের যন্তপাতি নিজেরা তৈরি করে। শিকার করার ব্যাপারে এদের উৎসাহ খুব বেশি। বাংলাদেশে বন জঙগল কমে যাওয়ার কারণে তাদেও এই পেশায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে অনেক সাঁওতাল নারী পুরুষ কুলি, মজুর, মাটি কাটার শ্রমিক ও অন্যান্য কাজ করে।
আদিকাল থেকেই কৃষিকে এরা প্রধান পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে । নারী পুরুষ সবাই জমিতে কাজ করে । পুরুষেরা হাল চাষ এবং নারীরা বজি বোনা ও ফসল তোলার কাজ করে। সাঁওতালরা কৃষিকাজের যন্তপাতি নিজেরা তৈরি করে। শিকার করার ব্যাপারে এদের উৎসাহ খুব বেশি। বাংলাদেশে বন জঙগল কমে যাওয়ার কারণে তাদেও এই পেশায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে অনেক সাঁওতাল নারী পুরুষ কুলি, মজুর, মাটি কাটার শ্রমিক ও অন্যান্য কাজ করে।
সামাজিক ধর্মীয় উৎসবঃ
সাঁওতালী ভাষায় দেবতাকে বলে ‘বোংগা‘ বলে। এদের প্রধান দেবতা হচ্ছে সূর্য। পাহাড়ের দেবতাকে বলে ‘ মারাংমুরো‘। এর প্রভাব সাঁওতালদের জীবনে সবচেয়ে বেশি। এ দেবতাকে তারা জন্ম-মৃত্যুও কারণ বলে মনে কওে থাকে । সাঁওতালদেও গৃহদেবতার নাম ‘বোঞ্চার‘। সা৭ওতালরা খুব আনন্দ প্রিয় মানুষ । বিভিন্ন পূজার্পাবণ ও সামাজিক উৎসবে এরা নাচ গানে মেতে ওঠে । প্রকৃতির সাথে এদের নিড়ির সম্পর্কে রয়েছে। এরা বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করে থাকে । সাঁওতালদের বার্ষিক উৎসবের নাম ‘সোহরাই‘ । এই উৎসবে মেয়েরা দলবদ্ধভাবে নাচে। শীতের শেষে যখন বনে ফুল ফোটে তখন এরা ‘বাহা‘ উৎসব উদযাপন করে। এদের একাটি জনপ্রিয় উৎসবের নাম ‘দাসাই‘।
সাঁওতালী ভাষায় দেবতাকে বলে ‘বোংগা‘ বলে। এদের প্রধান দেবতা হচ্ছে সূর্য। পাহাড়ের দেবতাকে বলে ‘ মারাংমুরো‘। এর প্রভাব সাঁওতালদের জীবনে সবচেয়ে বেশি। এ দেবতাকে তারা জন্ম-মৃত্যুও কারণ বলে মনে কওে থাকে । সাঁওতালদেও গৃহদেবতার নাম ‘বোঞ্চার‘। সা৭ওতালরা খুব আনন্দ প্রিয় মানুষ । বিভিন্ন পূজার্পাবণ ও সামাজিক উৎসবে এরা নাচ গানে মেতে ওঠে । প্রকৃতির সাথে এদের নিড়ির সম্পর্কে রয়েছে। এরা বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করে থাকে । সাঁওতালদের বার্ষিক উৎসবের নাম ‘সোহরাই‘ । এই উৎসবে মেয়েরা দলবদ্ধভাবে নাচে। শীতের শেষে যখন বনে ফুল ফোটে তখন এরা ‘বাহা‘ উৎসব উদযাপন করে। এদের একাটি জনপ্রিয় উৎসবের নাম ‘দাসাই‘।
আচার অনুষ্টানঃ
এরা নিজস্ব সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলে । এদের জীবন যাপন সহজ ও সরল । বর্তমানে সাঁওতালিদেও ওপর বাঙালি সমাজের প্রভাব পড়েছে। এদেও অনেকে শিক্ষালাভ কওে আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যাস্ত হচ্ছে। ফলে এদের আচার আচরণে পরিবর্তন আসছে।
এরা নিজস্ব সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলে । এদের জীবন যাপন সহজ ও সরল । বর্তমানে সাঁওতালিদেও ওপর বাঙালি সমাজের প্রভাব পড়েছে। এদেও অনেকে শিক্ষালাভ কওে আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যাস্ত হচ্ছে। ফলে এদের আচার আচরণে পরিবর্তন আসছে।
শিল্পকলাঃ
শিল্পকলার পতি এদের আগ্রহ রয়েছে। এরা ঢোল, দোতারা , বাঁশি, মেগো প্রভৃতি বাদ্যযন্ত তৈরি কওে ও বাজায় । ঘরবাড়ির দেয়ালে ছবি আঁকে । হাঁড়ি কলসির গায়ে চুনকালি দিয়ে আমরা সকলে এদেশে মিলেমিশে বাসকরব। উপজাতিরাও বাংলাদেশের নাগরিক । তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও আচর আচরণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হব। এভাবে আমাদের সকলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক গড়ে উঠবে।
শিল্পকলার পতি এদের আগ্রহ রয়েছে। এরা ঢোল, দোতারা , বাঁশি, মেগো প্রভৃতি বাদ্যযন্ত তৈরি কওে ও বাজায় । ঘরবাড়ির দেয়ালে ছবি আঁকে । হাঁড়ি কলসির গায়ে চুনকালি দিয়ে আমরা সকলে এদেশে মিলেমিশে বাসকরব। উপজাতিরাও বাংলাদেশের নাগরিক । তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও আচর আচরণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হব। এভাবে আমাদের সকলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক গড়ে উঠবে।
উপজাতিদের বাসস্থানঃ
ঊাংলাদেশে উপজাতি জনগোষ্টি যে সমস্ত এলাকায় বাস করে তার কিছু অংশের নাম উল্লেখ্য করা হলোঃ
রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, যশোর, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্রগ্রাম, বান্দরবান সহ বাংলাদেশে আরও অনেক জায়গায় বসবাস করে।
ঊাংলাদেশে উপজাতি জনগোষ্টি যে সমস্ত এলাকায় বাস করে তার কিছু অংশের নাম উল্লেখ্য করা হলোঃ
রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, যশোর, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্রগ্রাম, বান্দরবান সহ বাংলাদেশে আরও অনেক জায়গায় বসবাস করে।
সাঁওতাল বিদ্রোহী দিবসঃ
৩০শে জুন সাঁওতাল বিদ্রোহী দিবস । আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগের কথা । নিরীহ ও শান্তি প্রিয় সান্তাল আদিবাসিরা ভারত বর্ষে জেঘে উঠেছিল প্রতিবাদের দাবানল। বর্তমান সাঁওদের দেখে অনুমান করাই দুঃসাধ্য যে এ সান্তালরা একদিন ইংরেজ শাসকদের কঠিন বুকে কাপন ধরিয়ে দিয়েছিল । ক্রমাগত শোষন, বঞ্চানা, নির্যাতন, দাসত্ব এবং নারীদের অবমানোনা যখন ধৈর্যের বাধ ভেঙে দেয় তখন সাঁওতাল বিদো্রহী দিবসে বিশেষ র্যালি এবং সাঁওতাল কৃষ্টিতে মহিলাদের নৃত্যের একাংশ শান্তিপ্রিয় সান্তালদের মধ্যে ক্ষোভের দাবানল জ্বলে উঠে এবং প্রতবিাদের ঝড় উঠে । সেদিনটি ছিল ৩০শে জুন ১৮৫৫খ্রীষ্টাব্দ। অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসক এবং শোষক জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে সান্তালদের গণ আন্দোলন শুরু হয়েছিল এই দিনে।
আদিবাসিদের অধিকার ও মযার্দা প্রতিষ্টায় আসুন আমরা ‘হ্যা‘বলি“
বর্তমানে বাংলাদেশের সাওঁতাল আদিবাসিরা খুব অবহেলিত। সাঁওতাল আদিবাসিদের সাহায্য সহযোগিতায় বাংলাদেশের সকল মানুষ এগিয়ে আসুন ।
৩০শে জুন সাঁওতাল বিদ্রোহী দিবস । আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগের কথা । নিরীহ ও শান্তি প্রিয় সান্তাল আদিবাসিরা ভারত বর্ষে জেঘে উঠেছিল প্রতিবাদের দাবানল। বর্তমান সাঁওদের দেখে অনুমান করাই দুঃসাধ্য যে এ সান্তালরা একদিন ইংরেজ শাসকদের কঠিন বুকে কাপন ধরিয়ে দিয়েছিল । ক্রমাগত শোষন, বঞ্চানা, নির্যাতন, দাসত্ব এবং নারীদের অবমানোনা যখন ধৈর্যের বাধ ভেঙে দেয় তখন সাঁওতাল বিদো্রহী দিবসে বিশেষ র্যালি এবং সাঁওতাল কৃষ্টিতে মহিলাদের নৃত্যের একাংশ শান্তিপ্রিয় সান্তালদের মধ্যে ক্ষোভের দাবানল জ্বলে উঠে এবং প্রতবিাদের ঝড় উঠে । সেদিনটি ছিল ৩০শে জুন ১৮৫৫খ্রীষ্টাব্দ। অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসক এবং শোষক জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে সান্তালদের গণ আন্দোলন শুরু হয়েছিল এই দিনে।
আদিবাসিদের অধিকার ও মযার্দা প্রতিষ্টায় আসুন আমরা ‘হ্যা‘বলি“
বর্তমানে বাংলাদেশের সাওঁতাল আদিবাসিরা খুব অবহেলিত। সাঁওতাল আদিবাসিদের সাহায্য সহযোগিতায় বাংলাদেশের সকল মানুষ এগিয়ে আসুন ।
No comments:
Post a Comment