Pages

Wednesday, December 30, 2015

যে আমলে সারা শরীর পবিত্র হয়ে যায়

যে আমলে সারা শরীর পবিত্র হয়ে যায়

যে আমলে সারা শরীর পবিত্র হয়ে যায় ইসলাম ডেস্ক: ওজু নামাজের চাবি এবং নামাজ বেহেশতের চাবি। তাই আমাদের সকলকেই সঠিক নিয়মে ও সঠিক দোয়া পড়ে ওজু করা খুবই দরকার। এ প্রসঙ্গে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘ বিসমিল্লাহ পড়ে যদি কেউ অজু করে, তাহলে আমলনামা লেখার কাজে নিয়োজিত ফেরেশতা তার আমলনামায় সওয়াব লিখতেই থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এই অজুু নষ্ট না হবে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে ডেকে বললেন, “হে আবু হুরায়রা! তুমি যখন অজু করবে, তখন বলো, ‘বিসমিল্লাহি ওয়াল-হামদুলিল্লাহ’। তাহলে তোমার অজু নষ্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত ফেরেশতারা তোমার জন্য সওয়াব লিখতেই থাকবে।’ (তাবরানি : ১২২)। আরেক হাদিসে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ না বলে, তার অজুই হয় না।’ (তিরমিজি : ২৫)। অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ বরকত ও ফজিলত অর্জন করার মতো অজু হয়নি। সুন্নত অনুযায়ী অজু করলে যেসব বরকত ও ফজিলত পাওয়া যায়, সে তা পাবে না। যদিও এই অজুর দ্বারা তার পবিত্রতা অর্জন হয়েছে; কিন্তু অজুর দ্বারা যতটুকু সওয়াব হওয়ার কথা, তা হবে না। কারণ, সে অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়েনি। অন্যত্র বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি বিসমিল্লাহ পড়ে অজু করে, তাহলে তার গোটা শরীর পবিত্র হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ ছাড়া অজু করল, সে গোটা শরীরকে পবিত্র করতে পারল না। শুধু অজুর জায়গাগুলো পবিত্র করল।’ (দারা কুতনি : ২৩৯)। চেহারা ধুয়েছে, চেহারা পবিত্র হয়েছে। হাত ধুয়েছে, হাত পবিত্র হয়েছে। পা ধুয়েছে, পা পবিত্র হয়েছে। মাথা মাসেহ করেছে, মাথা পবিত্র হয়েছে। অজুর অঙ্গগুলো পবিত্র হয়েছে ঠিকই; কিন্তু গোটা শরীর তার পবিত্র হয়নি। এজন্য বিসমিল্লাহ পড়ে অজু করা উচিত। তাহলে আল্লাহ তায়ালা পুরো শরীর পবিত্র করে দেবেন। অজু করে নামাজ পড়লে যতক্ষণ অজু থাকবে, ততক্ষণ সওয়াব লেখা হয়। অজুতে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত। সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। বিসমিল্লাহ দুইভাবে পড়া যায় : ১. বিসমিল্লাহির রহমানি রাহিম, যেটা আমরা পড়ি। ২. ‘বিসমিল্লাহিল আজিম, ওয়াল-হামদুলিল্লাহি আলা-দ্বীনিল ইসলাম’- এভাবেও পড়া যায়।
কাগজ অনলাইন ডেস্ক: ফালাহ ও সফলতা শব্দ দু’টি কোরআন ও হাদিসের বহু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। দুনিয়াবি দৃষ্টিকোণ থেকে সফলতা হচ্ছে সব মনোবাঞ্ছা পূরণ হওয়া, সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট থেকে বেঁচে থাকা এবং কোনো অবাঞ্ছিত অবস্থার সম্মুখীন না হওয়া। তবে মানুষের প্রকৃত সফলতা হচ্ছে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সফলতা। আর এই সফলতা অর্জনের জন্য সাতটি গুণ অর্জনের ভূমিকা অনেক বড়।
প্রথম গুণ : নামাজে খুশু-খুজু তথা বিনয়, নম্রতা ও স্থিরতা অর্জন করা। নামাজের অন্য রুকনগুলো হচ্ছে দেহের সমতুল্য, আর ইখলাস ও খুশু-খুজু হচ্ছে প্রাণতুল্য। তাই নামাজের খুশু-খুজুকে মুমিনের সফলতার সর্বপ্রথম শর্ত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
দ্বিতীয় গুণ : অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা। এ সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষ যখন অনর্থক কার্যকলাপ বর্জন করে তখন তার ইসলাম সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়। অনর্থক কার্যকলাপ বলতে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, খাদ্য গ্রহণ, নিদ্রা যাওয়া, গৃহ নির্মাণ, মাত্রাতিরিক্ত কাপড়চোপড় তৈরি সবকিছুই বোঝানো হয়েছে। মনে রাখতে হবে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অমূল্য সম্পদ। যারা সফল হতে চায়, তারা কখনও অহেতুক কাজে সময় ব্যয় করতে পারে না।
তৃতীয় গুণ : জাকাত প্রদান করা। জাকাত হচ্ছে ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কালামে পাকে ইরশাদ করেন, ‘যে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে সে সফলকাম হয়েছে, যে নিজের আত্মাকে কলুষিত করেছে সে ব্যর্থ হয়েছে।’
চতুর্থ গুণ : যৌনাঙ্গকে হারাম থেকে হেফাজত করা। নিজ স্ত্রী ছাড়া সব পরনারী থেকে নিজেকে হেফাজত করা। অতএব বৈধ ক্ষেত্রেও অস্বাভাবিক পন্থায় বা নিষিদ্ধ সময়ে কামবাসনা পূর্ণ করা হারাম।
পঞ্চম গুণ : আমানতদারি রক্ষা করা। ‘আমানত’ শব্দ দিয়ে ওই দায়িত্ব বোঝায়, যা এমন কোনো ব্যক্তি বহন করে যার ওপর আস্থা ও ভরসা করা হয়। আমানত শব্দটি বহুবচন ব্যবহৃত হওয়ায় সব ধরনের আমানত এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। এই আমানত আল্লাহতায়ালার হক সংক্রান্তও হতে পারে। যেমন- ফরজ, ওয়াজিব বিধিবিধানগুলো আদায় করা। হারাম ও মাকরূহ বিষয়াদি থেকে বিরত থাকা। বান্দার হক সংক্রান্তও হতে পারে। যেমন, কেউ কারও কাছে অর্থ-সম্পদ আমানত রাখল। তাহলে এই আমানত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয়া পর্যন্ত হেফাজত করা আমানতদারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ ছাড়া কেউ কারও কাছে কোনো গোপন কথা বললেও কথাটি তার কাছে আমানত হিসাবে থাকে। শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া কারও গোপন কথা ফাঁস করাও আমানাতের খেয়ানতি।
ষষ্ঠ গুণ : অঙ্গীকার পূর্ণ করা। অঙ্গীকার বলতে এমন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বোঝায়, যা কোনো ব্যাপারে উভয় পক্ষ নিজের ওপর অপরিহার্য করে নেয়। এ ধরনের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ভঙ্গ করা বিশ্বাসঘাতকতা ও হারাম। একজন অন্যজনকে কিছু দেয়ার কিংবা কোনো কাজ করে দেয়ার একতরফা যে অঙ্গীকার করে, তাও পূর্ণ করা ওয়াজিব। এ সম্পর্কে হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ওয়াদা হচ্ছে এক ধরনের ঋণ। ঋণ আদায় করা যেমন ওয়াজিব, ওয়াদা পূর্ণ করাও তেমনি ওয়াজিব।
সপ্তম গুণ : নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া। প্রতি নামাজ মুস্তাহাব ওয়াক্তে আদায় করা। ‘সালাত’ শব্দটি বহুবচন ব্যবহার করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বোঝানো হয়েছে।
উপরোক্ত সাতটি গুণের আলোচনা নামাজ দিয়ে শুরু করা হয়েছে এবং নামাজ দিয়েই শেষ করা হয়েছে। উল্লিখিত সাতটি গুণের মধ্যে কিছু গুণ আল্লাহতায়ালার হক সংক্রান্ত, কিছু গুণ বান্দার হক সংক্রান্ত। আর এই সাতটি গুণের মধ্যে শরিয়তের প্রায় মৌলিক বিধিবিধানগুলো এসে গেছে।
উল্লিখিত সাতটি গুণে গুণান্বিত লোকদের জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী বলা হয়েছে। তবে তাদের জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী বলে এই দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, মৃত ব্যক্তির সম্পদ যেমন উত্তরাধিকারীদের হাতে আসার বিষয়টি সুনিশ্চিত, অনুরূপ এই সাতটি গুণের অধিকারী ব্যক্তিদেরও জান্নাত লাভের বিষয়টি সুনিশ্চিত।
- See more at: http://www.bhorerkagoj.net/online/2015/06/25/89065.php#sthash.FtMm52R
কাগজ অনলাইন ডেস্ক: ফালাহ ও সফলতা শব্দ দু’টি কোরআন ও হাদিসের বহু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। দুনিয়াবি দৃষ্টিকোণ থেকে সফলতা হচ্ছে সব মনোবাঞ্ছা পূরণ হওয়া, সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট থেকে বেঁচে থাকা এবং কোনো অবাঞ্ছিত অবস্থার সম্মুখীন না হওয়া। তবে মানুষের প্রকৃত সফলতা হচ্ছে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সফলতা। আর এই সফলতা অর্জনের জন্য সাতটি গুণ অর্জনের ভূমিকা অনেক বড়।
প্রথম গুণ : নামাজে খুশু-খুজু তথা বিনয়, নম্রতা ও স্থিরতা অর্জন করা। নামাজের অন্য রুকনগুলো হচ্ছে দেহের সমতুল্য, আর ইখলাস ও খুশু-খুজু হচ্ছে প্রাণতুল্য। তাই নামাজের খুশু-খুজুকে মুমিনের সফলতার সর্বপ্রথম শর্ত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
দ্বিতীয় গুণ : অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা। এ সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষ যখন অনর্থক কার্যকলাপ বর্জন করে তখন তার ইসলাম সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়। অনর্থক কার্যকলাপ বলতে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, খাদ্য গ্রহণ, নিদ্রা যাওয়া, গৃহ নির্মাণ, মাত্রাতিরিক্ত কাপড়চোপড় তৈরি সবকিছুই বোঝানো হয়েছে। মনে রাখতে হবে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অমূল্য সম্পদ। যারা সফল হতে চায়, তারা কখনও অহেতুক কাজে সময় ব্যয় করতে পারে না।
তৃতীয় গুণ : জাকাত প্রদান করা। জাকাত হচ্ছে ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কালামে পাকে ইরশাদ করেন, ‘যে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে সে সফলকাম হয়েছে, যে নিজের আত্মাকে কলুষিত করেছে সে ব্যর্থ হয়েছে।’
চতুর্থ গুণ : যৌনাঙ্গকে হারাম থেকে হেফাজত করা। নিজ স্ত্রী ছাড়া সব পরনারী থেকে নিজেকে হেফাজত করা। অতএব বৈধ ক্ষেত্রেও অস্বাভাবিক পন্থায় বা নিষিদ্ধ সময়ে কামবাসনা পূর্ণ করা হারাম।
পঞ্চম গুণ : আমানতদারি রক্ষা করা। ‘আমানত’ শব্দ দিয়ে ওই দায়িত্ব বোঝায়, যা এমন কোনো ব্যক্তি বহন করে যার ওপর আস্থা ও ভরসা করা হয়। আমানত শব্দটি বহুবচন ব্যবহৃত হওয়ায় সব ধরনের আমানত এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। এই আমানত আল্লাহতায়ালার হক সংক্রান্তও হতে পারে। যেমন- ফরজ, ওয়াজিব বিধিবিধানগুলো আদায় করা। হারাম ও মাকরূহ বিষয়াদি থেকে বিরত থাকা। বান্দার হক সংক্রান্তও হতে পারে। যেমন, কেউ কারও কাছে অর্থ-সম্পদ আমানত রাখল। তাহলে এই আমানত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয়া পর্যন্ত হেফাজত করা আমানতদারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ ছাড়া কেউ কারও কাছে কোনো গোপন কথা বললেও কথাটি তার কাছে আমানত হিসাবে থাকে। শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া কারও গোপন কথা ফাঁস করাও আমানাতের খেয়ানতি।
ষষ্ঠ গুণ : অঙ্গীকার পূর্ণ করা। অঙ্গীকার বলতে এমন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বোঝায়, যা কোনো ব্যাপারে উভয় পক্ষ নিজের ওপর অপরিহার্য করে নেয়। এ ধরনের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ভঙ্গ করা বিশ্বাসঘাতকতা ও হারাম। একজন অন্যজনকে কিছু দেয়ার কিংবা কোনো কাজ করে দেয়ার একতরফা যে অঙ্গীকার করে, তাও পূর্ণ করা ওয়াজিব। এ সম্পর্কে হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ওয়াদা হচ্ছে এক ধরনের ঋণ। ঋণ আদায় করা যেমন ওয়াজিব, ওয়াদা পূর্ণ করাও তেমনি ওয়াজিব।
সপ্তম গুণ : নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া। প্রতি নামাজ মুস্তাহাব ওয়াক্তে আদায় করা। ‘সালাত’ শব্দটি বহুবচন ব্যবহার করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বোঝানো হয়েছে।
উপরোক্ত সাতটি গুণের আলোচনা নামাজ দিয়ে শুরু করা হয়েছে এবং নামাজ দিয়েই শেষ করা হয়েছে। উল্লিখিত সাতটি গুণের মধ্যে কিছু গুণ আল্লাহতায়ালার হক সংক্রান্ত, কিছু গুণ বান্দার হক সংক্রান্ত। আর এই সাতটি গুণের মধ্যে শরিয়তের প্রায় মৌলিক বিধিবিধানগুলো এসে গেছে।
উল্লিখিত সাতটি গুণে গুণান্বিত লোকদের জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী বলা হয়েছে। তবে তাদের জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী বলে এই দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, মৃত ব্যক্তির সম্পদ যেমন উত্তরাধিকারীদের হাতে আসার বিষয়টি সুনিশ্চিত, অনুরূপ এই সাতটি গুণের অধিকারী ব্যক্তিদেরও জান্নাত লাভের বিষয়টি সুনিশ্চিত।
- See more at: http://www.bhorerkagoj.net/online/2015/06/25/89065.php#sthash.FtMm52Ro.dpuf
Untitled-4কাগজ অনলাইন ডেস্ক: ফালাহ ও সফলতা শব্দ দু’টি কোরআন ও হাদিসের বহু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। দুনিয়াবি দৃষ্টিকোণ থেকে সফলতা হচ্ছে সব মনোবাঞ্ছা পূরণ হওয়া, সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট থেকে বেঁচে থাকা এবং কোনো অবাঞ্ছিত অবস্থার সম্মুখীন না হওয়া। তবে মানুষের প্রকৃত সফলতা হচ্ছে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সফলতা। আর এই সফলতা অর্জনের জন্য সাতটি গুণ অর্জনের ভূমিকা অনেক বড়।
প্রথম গুণ : নামাজে খুশু-খুজু তথা বিনয়, নম্রতা ও স্থিরতা অর্জন করা। নামাজের অন্য রুকনগুলো হচ্ছে দেহের সমতুল্য, আর ইখলাস ও খুশু-খুজু হচ্ছে প্রাণতুল্য। তাই নামাজের খুশু-খুজুকে মুমিনের সফলতার সর্বপ্রথম শর্ত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
দ্বিতীয় গুণ : অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা। এ সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষ যখন অনর্থক কার্যকলাপ বর্জন করে তখন তার ইসলাম সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়। অনর্থক কার্যকলাপ বলতে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, খাদ্য গ্রহণ, নিদ্রা যাওয়া, গৃহ নির্মাণ, মাত্রাতিরিক্ত কাপড়চোপড় তৈরি সবকিছুই বোঝানো হয়েছে। মনে রাখতে হবে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অমূল্য সম্পদ। যারা সফল হতে চায়, তারা কখনও অহেতুক কাজে সময় ব্যয় করতে পারে না।
তৃতীয় গুণ : জাকাত প্রদান করা। জাকাত হচ্ছে ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কালামে পাকে ইরশাদ করেন, ‘যে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে সে সফলকাম হয়েছে, যে নিজের আত্মাকে কলুষিত করেছে সে ব্যর্থ হয়েছে।’
চতুর্থ গুণ : যৌনাঙ্গকে হারাম থেকে হেফাজত করা। নিজ স্ত্রী ছাড়া সব পরনারী থেকে নিজেকে হেফাজত করা। অতএব বৈধ ক্ষেত্রেও অস্বাভাবিক পন্থায় বা নিষিদ্ধ সময়ে কামবাসনা পূর্ণ করা হারাম।
পঞ্চম গুণ : আমানতদারি রক্ষা করা। ‘আমানত’ শব্দ দিয়ে ওই দায়িত্ব বোঝায়, যা এমন কোনো ব্যক্তি বহন করে যার ওপর আস্থা ও ভরসা করা হয়। আমানত শব্দটি বহুবচন ব্যবহৃত হওয়ায় সব ধরনের আমানত এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। এই আমানত আল্লাহতায়ালার হক সংক্রান্তও হতে পারে। যেমন- ফরজ, ওয়াজিব বিধিবিধানগুলো আদায় করা। হারাম ও মাকরূহ বিষয়াদি থেকে বিরত থাকা। বান্দার হক সংক্রান্তও হতে পারে। যেমন, কেউ কারও কাছে অর্থ-সম্পদ আমানত রাখল। তাহলে এই আমানত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয়া পর্যন্ত হেফাজত করা আমানতদারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ ছাড়া কেউ কারও কাছে কোনো গোপন কথা বললেও কথাটি তার কাছে আমানত হিসাবে থাকে। শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া কারও গোপন কথা ফাঁস করাও আমানাতের খেয়ানতি।
ষষ্ঠ গুণ : অঙ্গীকার পূর্ণ করা। অঙ্গীকার বলতে এমন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বোঝায়, যা কোনো ব্যাপারে উভয় পক্ষ নিজের ওপর অপরিহার্য করে নেয়। এ ধরনের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ভঙ্গ করা বিশ্বাসঘাতকতা ও হারাম। একজন অন্যজনকে কিছু দেয়ার কিংবা কোনো কাজ করে দেয়ার একতরফা যে অঙ্গীকার করে, তাও পূর্ণ করা ওয়াজিব। এ সম্পর্কে হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ওয়াদা হচ্ছে এক ধরনের ঋণ। ঋণ আদায় করা যেমন ওয়াজিব, ওয়াদা পূর্ণ করাও তেমনি ওয়াজিব।
সপ্তম গুণ : নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া। প্রতি নামাজ মুস্তাহাব ওয়াক্তে আদায় করা। ‘সালাত’ শব্দটি বহুবচন ব্যবহার করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বোঝানো হয়েছে।
উপরোক্ত সাতটি গুণের আলোচনা নামাজ দিয়ে শুরু করা হয়েছে এবং নামাজ দিয়েই শেষ করা হয়েছে। উল্লিখিত সাতটি গুণের মধ্যে কিছু গুণ আল্লাহতায়ালার হক সংক্রান্ত, কিছু গুণ বান্দার হক সংক্রান্ত। আর এই সাতটি গুণের মধ্যে শরিয়তের প্রায় মৌলিক বিধিবিধানগুলো এসে গেছে।
উল্লিখিত সাতটি গুণে গুণান্বিত লোকদের জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী বলা হয়েছে। তবে তাদের জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী বলে এই দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, মৃত ব্যক্তির সম্পদ যেমন উত্তরাধিকারীদের হাতে আসার বিষয়টি সুনিশ্চিত, অনুরূপ এই সাতটি গুণের অধিকারী ব্যক্তিদেরও জান্নাত লাভের বিষয়টি সুনিশ্চিত।
- See more at: http://www.bhorerkagoj.net/online/2015/06/25/89065.php#sthash.FtMm52Ro.dpuf
Untitled-4কাগজ অনলাইন ডেস্ক: ফালাহ ও সফলতা শব্দ দু’টি কোরআন ও হাদিসের বহু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। দুনিয়াবি দৃষ্টিকোণ থেকে সফলতা হচ্ছে সব মনোবাঞ্ছা পূরণ হওয়া, সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট থেকে বেঁচে থাকা এবং কোনো অবাঞ্ছিত অবস্থার সম্মুখীন না হওয়া। তবে মানুষের প্রকৃত সফলতা হচ্ছে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সফলতা। আর এই সফলতা অর্জনের জন্য সাতটি গুণ অর্জনের ভূমিকা অনেক বড়।
প্রথম গুণ : নামাজে খুশু-খুজু তথা বিনয়, নম্রতা ও স্থিরতা অর্জন করা। নামাজের অন্য রুকনগুলো হচ্ছে দেহের সমতুল্য, আর ইখলাস ও খুশু-খুজু হচ্ছে প্রাণতুল্য। তাই নামাজের খুশু-খুজুকে মুমিনের সফলতার সর্বপ্রথম শর্ত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
দ্বিতীয় গুণ : অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা। এ সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষ যখন অনর্থক কার্যকলাপ বর্জন করে তখন তার ইসলাম সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়। অনর্থক কার্যকলাপ বলতে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, খাদ্য গ্রহণ, নিদ্রা যাওয়া, গৃহ নির্মাণ, মাত্রাতিরিক্ত কাপড়চোপড় তৈরি সবকিছুই বোঝানো হয়েছে। মনে রাখতে হবে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অমূল্য সম্পদ। যারা সফল হতে চায়, তারা কখনও অহেতুক কাজে সময় ব্যয় করতে পারে না।
তৃতীয় গুণ : জাকাত প্রদান করা। জাকাত হচ্ছে ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কালামে পাকে ইরশাদ করেন, ‘যে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে সে সফলকাম হয়েছে, যে নিজের আত্মাকে কলুষিত করেছে সে ব্যর্থ হয়েছে।’
চতুর্থ গুণ : যৌনাঙ্গকে হারাম থেকে হেফাজত করা। নিজ স্ত্রী ছাড়া সব পরনারী থেকে নিজেকে হেফাজত করা। অতএব বৈধ ক্ষেত্রেও অস্বাভাবিক পন্থায় বা নিষিদ্ধ সময়ে কামবাসনা পূর্ণ করা হারাম।
পঞ্চম গুণ : আমানতদারি রক্ষা করা। ‘আমানত’ শব্দ দিয়ে ওই দায়িত্ব বোঝায়, যা এমন কোনো ব্যক্তি বহন করে যার ওপর আস্থা ও ভরসা করা হয়। আমানত শব্দটি বহুবচন ব্যবহৃত হওয়ায় সব ধরনের আমানত এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। এই আমানত আল্লাহতায়ালার হক সংক্রান্তও হতে পারে। যেমন- ফরজ, ওয়াজিব বিধিবিধানগুলো আদায় করা। হারাম ও মাকরূহ বিষয়াদি থেকে বিরত থাকা। বান্দার হক সংক্রান্তও হতে পারে। যেমন, কেউ কারও কাছে অর্থ-সম্পদ আমানত রাখল। তাহলে এই আমানত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয়া পর্যন্ত হেফাজত করা আমানতদারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ ছাড়া কেউ কারও কাছে কোনো গোপন কথা বললেও কথাটি তার কাছে আমানত হিসাবে থাকে। শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া কারও গোপন কথা ফাঁস করাও আমানাতের খেয়ানতি।
ষষ্ঠ গুণ : অঙ্গীকার পূর্ণ করা। অঙ্গীকার বলতে এমন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বোঝায়, যা কোনো ব্যাপারে উভয় পক্ষ নিজের ওপর অপরিহার্য করে নেয়। এ ধরনের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ভঙ্গ করা বিশ্বাসঘাতকতা ও হারাম। একজন অন্যজনকে কিছু দেয়ার কিংবা কোনো কাজ করে দেয়ার একতরফা যে অঙ্গীকার করে, তাও পূর্ণ করা ওয়াজিব। এ সম্পর্কে হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ওয়াদা হচ্ছে এক ধরনের ঋণ। ঋণ আদায় করা যেমন ওয়াজিব, ওয়াদা পূর্ণ করাও তেমনি ওয়াজিব।
সপ্তম গুণ : নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া। প্রতি নামাজ মুস্তাহাব ওয়াক্তে আদায় করা। ‘সালাত’ শব্দটি বহুবচন ব্যবহার করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বোঝানো হয়েছে।
উপরোক্ত সাতটি গুণের আলোচনা নামাজ দিয়ে শুরু করা হয়েছে এবং নামাজ দিয়েই শেষ করা হয়েছে। উল্লিখিত সাতটি গুণের মধ্যে কিছু গুণ আল্লাহতায়ালার হক সংক্রান্ত, কিছু গুণ বান্দার হক সংক্রান্ত। আর এই সাতটি গুণের মধ্যে শরিয়তের প্রায় মৌলিক বিধিবিধানগুলো এসে গেছে।
উল্লিখিত সাতটি গুণে গুণান্বিত লোকদের জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী বলা হয়েছে। তবে তাদের জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী বলে এই দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, মৃত ব্যক্তির সম্পদ যেমন উত্তরাধিকারীদের হাতে আসার বিষয়টি সুনিশ্চিত, অনুরূপ এই সাতটি গুণের অধিকারী ব্যক্তিদেরও জান্নাত লাভের বিষয়টি সুনিশ্চিত।
- See more at: http://www.bhorerkagoj.net/online/2015/06/25/89065.php#sthash.FtMm52Ro.dpuf

No comments:

Post a Comment