রেসিপিঃ কালিজিরা ভর্তা
শহরের রাধুনীরা আর কোন ভর্তা বানাতে চান না। কারন ভর্তা বানাতে একটু কষ্ট বেশী। আলু ভর্তায় কম কষ্ট বলে কিছু পরিবারে এখনো আলু ভর্তা বানানো হয়। অন্য নানান পদের ভর্তা গুলো বলতে গেলে হারিয়ে যাচ্ছে! বিশেষ করে পাটাপূতায় বাটা ভর্তা গুলোর দিন এখন আর নাই! একদিন হয়ত এই বাটা ভর্তা গুলো যাদুঘরে কিংবা বইয়ের পাতায়ই দেখা যাবে! উপকরনঃ– কিছু কালি জিরা
– কয়েকটা পেঁয়াজ
– একটা রসুন
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– পরিমান মত লবন
– পরিমান মত তেল (সরিষার তেল হলে ভাল)
প্রনালীঃ
মরিচ, পেঁয়াজ ও রসুনকে কুচি করে কেটে ফেলুন।
কালি জিরাকে একটা কড়াইয়ে সামান্য ভেঁজে নিন (লক্ষনীয়, যেন পুড়ে না যায়)
ভাঁজা কালিজিরাকে পাটা পুতায় বেঁটে নিন।
এবার কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন ও মরিচ সামান্য লবন দিয়ে ভেঁজে নিন।
পাটা পূতায় সব কিছু বেঁটে নিন। এবং সব কিছু ভাল করে মিহি করে বেঁটে মাখিয়ে লবন দেখুন, লাগলে দিন।
ব্যস হয়ে গেল, কালি জিরা ভর্তা।
সাধারণত কালি জিরার আলাদা কোন তেমন স্বাদ নেই বা যে স্বাদ আছে তা অনেকেই পছন্দ করেন না। কালি জিরার ভর্তা আমি এই জীবনে অনেকবার খেয়েছি, একবার খেলে যে বার বার খেতে ইচ্ছা হয় তা নয়। কিন্তু জানি কালি জিরার উপকার অনেক, কালি জিরা শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। তাই স্বাদ লাগুক আর না লাগুক, মাঝে মাঝেই এমন ভর্তা খেতে হবে।
(এই বিশেষ ভর্তাটা জনপ্রিয় ব্লগার জুল ভার্ন ভাইয়ের জন্য করা হয়েছে। তার প্রসঙ্গে বিস্তারিত তেমন জানি না, কখনো দেখাও হয় নাই। মতাদর্শে তিনি আমার কাছাকাছি তাও বলা যায় না। তবে ফেইসবুকে তার নির্ভেজাল স্ট্যাটাস/কমেন্ট বিশেষ বলে দেয় তিনি একজন ভাল মানুষ। চিন্তা ও চেতনায় তিনি অনেকের চেয়ে উত্তম।)
No comments:
Post a Comment