Pages

Sunday, January 10, 2016

‘ক্যান্ডি গেইমস’ থেকে খাদ্যাভ্যাসে প্রভাব

এর কারণ হল অনলাইনের বেশিরভাগ গেইম-ই যে ক্যান্ডি বা স্ন্যাকসের একধরনের বিজ্ঞাপন তা শিশুরা বোঝে না— ব্যাখ্যা করা হয় গবেষণায়।
টেলিভিশনে একটি বিজ্ঞাপন পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, যা দর্শকদের সংযত থাকতে সাহায্য করে। তবে ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন থাকে বিভিন্ন রূপে।
নেদারল্যান্ডের র‌্যাডবাইন্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ফ্রান্স ফোকভোর্ড বলেন, “খাবার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে শিশুদের জন্য গেইমস থাকে, যেখানে বন্ধুদের সঙ্গে গেইম শেয়ার করার সুযোগও থাকে।”
ফোকভোর্ড আবিষ্কার করেন ব্রান্ডের নাম ও লোগো পরিষ্কার দেখা গেলেও এটি যে বিজ্ঞাপন তা শিশুরা বোঝে না। 
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, গেইম ক্যান্ডি বা ফলের যেটারই হোক না কেনো, খেলা শেষে শিশুরা ক্যান্ডিই খায় বেশি।
গবেষণায় ১ হাজার শিশুর খাদ্যাভ্যাসের উপর খাবারের এসব বিজ্ঞাপনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা হয়।
গবেষকরা দেখেন, খেলনার বিজ্ঞাপন দেখার পর একটি শিশু যে পরিমাণ ক্যান্ডি খায়, খাবারের বিজ্ঞাপনযুক্ত গেইম খেলার একটি শিশু তার চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেশি ক্যান্ডি খায়। 
খাবার সম্পর্কিত গেইমস খেলার মাঝে পাঁচ মিনিটের বিরতিতে শিশুরা নিয়ন্ত্রিত অবস্থার তুলনায় গ্রহণ করেছে বাড়তি ৭২ ক্যালরি।
দুই বছর পরে শিশুদের ক্যান্ডি খাওয়ার পরিমাণ আর অতিরিক্ত বডি ম্যাস ইনডেক্সের মধ্যে গবেষক ফোকভোর্ড কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাননি। তবে স্ন্যাকস পছন্দের ক্ষেত্রে এর প্রভাব তো আছেই।
দুই বছর পরে ক্যান্ডি দিয়ে ক্ষুধা মেটানো শিশুর বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই) চাইতে আপেল দিয়ে ক্ষুধা মেটানো শিশুর বিএমআই তুলনামূলক কম হবে।
শিশুদের লক্ষ্য করে খাবারের বিজ্ঞাপন তৈরি বন্ধ করা সম্পর্কে আলোচনা করা উচিত— এমনই ইঙ্গিত করে গবেষণার ফলাফল।
কারেন্ট অপিনিয়ন ইন বিহেইভিয়ারাল সাইন্স জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।

No comments:

Post a Comment