রেসিপিঃ মোরগ গিলা কলিজা শষা যোগে (বেশ আনন্দময় রান্না)
এক সাথে কয়েকটা মোরগ কিনলে মোরগের গিলা কলিজা আলাদা করে একটা তরকারী রান্না করা যায়। অবশ্য হোটল বা রেস্টুরেন্টে সারাদিনে অনেক মোরগ ব্যবহার হয় এবং তারা খুব সহজেই অনেক গিলা কলিজা পেয়ে থাকে। প্রায় হোটেলে সকালের নাস্তায় গিলা কলিজা ভুনা পাওয়া যায়। আমি হোটেলে সকালের নাস্তায় এমন গিলা কলিজা খেয়েছি অনেক বার। ঘরে সিঙ্গেল ফ্যামেলী গুলোতে গিলা কলিজা আলাদা করে অনেকে এমন নানা পদের রান্না করেন। শুনেছি শিশুদের জন্য মোরগের কলিজা বেশ ভাল খাবার।আজ আসুন আপনাদের গিলা কলিজা দিয়ে একটা রান্না দেখাই। তবে হ্যাঁ, এটা আসলে শষা হাইলাইটেড রান্ন! আমি শষা তরকারী হিসাবে রান্না করতে বেশ পছন্দ করি এবং খেতেও ভালবাসি। গরুর গোসত দিয়ে শসা রান্না আমার একটা ফেবারেট রান্না। গত কয়েকদিন আগে বাজার থেকে শষা কিনে নিয়ে আসলে আমার ব্যাটারী বলতে গেলে মুখ কালো করে ফেলেন! শষা, কি দিয়ে রান্না হবে। আমি তেমন কিছু বলি নাই! রান্নার সময় আসলে তিনিই আমাকে বলেন, ফ্রীজে বেশ কিছু গিলা কলিজা আছে তা দিয়ে রান্না কর। ব্যস, সেই কথা সেই কাজ।
চলুন দেখে ফেলি। তবে প্রথমেই বলে নেই, এই রান্নায় লাল গুড়া মরিচ ব্যবহার করা হয় নাই, কাঁচা মরিচের পরিমান একটু বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে মাত্র। রান্নার রং ভিন্ন রাখতে লাল মরিচ দেই নাই।
উপকরণ ও প্রনালীঃ
শষা ও গিলা কলিজা।
স্বাভাবিক নিয়মে হাড়িতে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, আদা বাটা, গরম মশলা (দারুচিনি, এলাচি ) দিয়ে ভেঁজে তাতে সামান্য পানি দিয়ে ঝোল করে নেই এবং এই ঝোলে সামান্য হলুদ এবং বেশ কয়েকটা কাঁচা মরিচ দেই। তেল উঠে যাওয়া পর্যন্ত জাল দিতে থাকি।
এবার গিলা কলিজা দিয়ে দেই। হালকা আছে কষিয়ে সামান্য পানি দেই।
মিনিট ২০/২৫ পর্যন্ত ঢাকনা দিয়ে অপেক্ষা করি। এই সময় মাঝে মধ্যে নাড়িয়ে দিতে হবে।
গিলা কলিগা মজে বা নরম হয়ে যাবে।
এবার কাটা এবং ধুয়ে রাখা শষা গুলো দিয়ে দেই।
ভাল করে মিশিয়ে নেই।
সামান্য কষানোর পর এক কাপ পানি দেই।
এবার হালকা আগুনের আঁচে ঢাকনা দিয়ে মিনিট ১০/১৫ অপেক্ষা করি।
শষা নরম হয়ে গেলে এবং মনের মত ঝোল হলে ফাইন্যাল লবন চেক করি। এই পর্যায়ে চুলা থেকে নামানোর আগে হালকা করে কিছু জিরা গুড়া ছিটিয়ে দেই।
ব্যস হয়ে গেল মোরগ গিলা কলিজা শষা যোগে রান্না। বেশ আনন্দময় রান্না!
শষা এমনিতে তরকারী হিসাবে আমার কাছে বেশ ভাল লাগে, তার উপর মুরগীর গিলা কলিজা! আহ, এই খাবারের আনন্দ আপনাদের বুঝাতে পারবো না। এত সহজে এত মজাদার রান্না এই দুনিয়াতে বাংলাদেশীরা ছাড়া আর কে রান্না করে?
ও হ্যাঁ, এটা রুটি বা পরোটার সাথে খেতে সব চেয়ে বেশী ভাল লাগবে। গরম ভাতের সাথেও ট্রাই করা যেতে পারে।
সবাইকে শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন, আনন্দে কাটুক সময়।
No comments:
Post a Comment