দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব হিন্দুদের এই সব দেব-দেবীদের সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ?
আল- কোরআনে মানব জাতির সাথে সম্পর্কিত সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু হিন্দু ধর্মের অনুসারিরাও এই মানব জাতির সদস্য তাই হিন্দু ধর্মের দেব দেবীদের সম্পর্কে আল কোরআনে অবশ্যই কিছু বলা থাকবে। আল কোরআনে সাবেঈন নামক এক জাতির কথা আলোচনা করা হয়েছে। এই সাবেঈন বলতে বুঝানো হয়েছে ভারতীয় হিন্দুদের কে। মানব জাতির এই পৃথিবীতে বসবাস করার অনেক আগে থেকেই জ্বীনরা এই পৃথিবীতে বসবাস করত। বুখারী মুসলিম শরীফের অনেক হাদীসেই হযরত আদম আলাইহিস সাল্লামের পৃথিবীতে আগমণের পূর্বে জ্বীন জাতির অনেক ঘটনা পাওয়া যায়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তখন জ্বীনদের মাঝে অনেক নবী রাসুল এসেছিল কারন মানুষ ও জ্বীন উভয়েরই আখিরাতে হিসাব হবে। হ্যা আল- কোরআনেও বলা আছে যে জ্বীনদের মাঝেও নবী রাসূলরা এসেছিল। আল-কোরআনের সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন আমি জ্বীন ও মানুষ উভয়ের মাঝেই নবী প্রেরন করেছি। আর হযরত আদম আলাইহিস সাল্লামের এই পৃথিবীতে আসার আগে যে সকল জ্বীনেরা এই পৃথিবীতে এসেছিল তাদের মাঝে যে সকল নবী রাসূলরা এসেছিলেন সেই সকল নবী রাসুলরা অবশ্যই জ্বীন ছিলেন। তবে এই পৃথিবীর জ্বীনদের মাঝে বেশীরভাগ জ্বীনই ছিল দুষ্ট জ্বীন। আর খুব কম জ্বীনই হল মুসলমান।
এখন আপনারা দেখবেন হিন্দুদের দেবদেবী দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব উনাদের অনেকের মুখে হাতির মত শূড়, কারো অনেক গুলি হাত পা আবার কারো ৪ টা মুখ রয়েছে। মানুষের কখনো এরকম আকৃতি হতে পারে না। তবে জ্বীনদের এরকম আকৃতি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারন জ্বীনদের আকৃতি সম্পর্কে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় যে দলীল টা পাওয়া যায় সেখানে উনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলেছিলেন যে বিভিন্ন বিচিত্র আকৃতির প্রানীকে আপনার কাছে আসতে দেখেছি। মুসনাদে আহমদ হাদীস গ্রন্থ ও বুখারী মুসলিমে লায়লাতুল জ্বীনের যে ঘটনা গুলি পাওয়া যায় সেইখানে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত আছে যে-“ একবার আহলে সুফফার লোকদের মধ্যে সকলকেই কেউ না কেউ খাওয়ানোর জন্য নিয়ে গেছে। শুধু আমি একা থেকে গেছি। আমাকে কেউ নিয়ে যায়নি। শুধু আমি একা মসজিদে নব্বীতে বসে ছিলাম। এমন সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে এলেন। তার হাতে ছিল খেজুরের ছড়ি। তা দিয়ে তিনি আমার বুকে মৃদু আঘাত করলেন এবং বললেন আমার সাথে চলো। এরপর আমরা রওয়ানা হলাম। যেতে যেতে আমরা মদীনার বাকীয়ে গরক্বদ পর্যন্ত পৌছে গেলাম। ওখানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের ছড়ি দিয়ে একটা গোল রেখা টানলেন এবং আমাকে বললেন এর মধ্যে বসে যাও, আমি না আসা পর্যন্ত এখানেই থাকবে। এরপর তিনি চলতে শুরু করলেন। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে খেজুড় গাছের ঝাড়ের ভিতর দিয়ে হেটে যেতে দেখলাম। শেষ পর্যন্ত একটা কালো কুয়াশা ছেয়ে এসে উনার ও আমার মাঝে যোগাযোগ কেটে গেল। আমি নিজের জায়গায় বসে শুনতে পাচ্ছিলাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছড়ি ঠুকছিলেন এবং বলছিলেন “বসে যাও, বসে যাও” অবশেষে রাত পেরিয়ে সকাল হতে শুরু করল। কুয়াশা উঠে গেল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার কাছে এলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন তুমি যদি এই বৃত্ত থেকে বের হতে তাইলে জ্বীনরা তোমাকে উঠিয়ে নিয়ে যেত। আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাস করলেন তুমি রাতে কি দেখেছিল ? আমি বললাম বিভিন্ন বিচিত্র আকৃতির প্রাণি কে আপনার কাছে আসতে দেখেছি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন ওরা ছিল নসীবাইনের জ্বিনদের প্রতিনিধি দল। ওরা আমার কাছে কোরআন শিখতে এসেছিল। ”
এই হাদিসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু জ্বীনদের আকার আকৃতি গুলিকে বিচিত্র আকৃতির বলেছেন। আচ্ছা আপনারা এখন লক্ষ্য করুন দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব কার্তিক কৃষ্ণ বিষ্ণু উনাদের আকার আকৃতি গুলিও কিন্তু বিচিত্র আকৃতির যেমন অনেকের মুখে হাতির মত শূড়, কারো অনেক গুলি হাত পা আবার কারো ৪ টা মুখ রয়েছে। । আরবের কাফেররা যে লাত উজ্জার পূজা করত হাদীস শরীফেও কিন্তু বলা আছে যে তারা জ্বীন ছিল। আবার অনেক জ্বীন পরবর্তী তে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান আনলেও তাদের মানুষ অনুসারীরা আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান আনে নি। এই জাতীয় বর্ননাও বিভিন্ন রেওয়াতে পাওয়া যায়। তাই আলেমদের মতে হিন্দুরা যাদের পূজা করে তারা সবাই হল দুষ্ট জ্বীন।
আর হিন্দুদের মা কালী কিন্তু ডাকাতদের দেবী। আপনারা হয়ত ঠগীদের নাম শুনেছন। ঠগীরা ছিল ভারতীয় খুনি কাল্ট (Cult); ঠগীরা যত মানুষ হত্যা করেছিল পৃথিবীর কোনও সংগঠিত খুনি কাল্ট এত নিরীহ মানুষ হত্যা করেনি। কেবল ১৮৩০ সালেই ঠগীরা প্রায় ৩০,০০০ মানুষ শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে; মৃতদেহ উৎসর্গ করত দেবী কালীকে। ঠগীদের নৃশংস ইতিহাস ভারতীয় ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। আজও গ্রামবাংলার মানুষের মুখে ফেরে ঠগীদের রোমহর্ষক কাহিনী । ঠগীদের নির্মম কাহিনী অবহিত হওয়ার পর ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ইম এম ফস্টার ১৯২৪ সালে অত্যন্ত খেদের সঙ্গে বলেছেন: ‘গড ইজ লাভ। ইজ দিস দ্য ফাইনাল মেসেজ অভ ইন্ডিয়া?’ “ঈশ্বর প্রেমই কি ভারতের চূড়ান্ত বক্তব্য?’’ ঠগীরা ছিল আদিম কালী উপাসক গোষ্ঠী। বাংলায় ঠগীরা কালীকে ভবানী বলে। ঠগীরা কেবল সনাতন ধর্মেরই অনুসরন করত। ঠগীরা বংশপরম্পরায় খুন ও দস্যুবৃত্তি করত। ছোটবেলা থেকেই ঠগী পিতা ছেলেকে শেখাত কীভাবে শ্বাসরোধ করে ফাঁস দিয়ে হত্যা করতে হয়। ঠগী বালকের শিক্ষা শুরু হত দশ বছর বয়েসে । তখন সে লুকিয়ে হত্যাকান্ড দেখত । বয়স ১৮ হলে হত্যার অনুমতি পেত। সাধারণত শক্ত কাপড়ের তৈরি হলুদ রঙের রুমাল ফাঁস গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করা হত। হলদে রুমাল থাকত ঠগীদের কোমড়ে । কেন ফাঁস দিয়ে হত্যা? কেননা, কালীর আদেশে রক্তপাত নিষিদ্ধ। ঠগীদের আদি পিতাই নাকি কালীর কাছে শিখেছিল ফাঁস দিয়ে হত্যার রক্তপাতহীন পদ্ধতি। মৃতদেহ উৎসর্গ করা হত কালীকে, কেবল লুঠের মাল ভাগ করে নিত ঠগীরা। এজন্যই তারা ছিল বিশেষ একটি কাল্ট বা উপাসক সম্প্রদায়। ঠগীরা প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। এই চরম বর্বর নিষ্ঠুর সম্প্রদায় ছিল একনিষ্ঠ মা কালীর উপাসক। ঠগীদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে যান আর তাই হিন্দুদের দেব দেবী গুলি যে প্রত্যেকটা এক একটা শয়তান জ্বীন এতে আর কোন সন্দেহ নাই।
হলিউডি মুভি ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দি টেমপল অভ ডুমস’ এ কুড়ি শতকের কালী উপাসক ঠগীদের দেখানো হয়েছে। ছবিটি সে কারণে সাময়িকভাবে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
মক্কা বিজয়ের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৮ম হিজরীর রমযান মাসের ২৫ তারিখে হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রাযিয়াল্লাহু আনহুর নেতৃত্ত্বে ওযযা মূর্তি ভূমিসাৎ করতে একটি সারিয়্যা (ছোট যুদ্ধবাহিনী) প্রেরন করেন। ওযযা এই মূর্তিটি নাখালায় স্থাপিত ছিল। কুরাইশ এবং সমগ্র বনু কেনানা গোত্র এ মূর্তির পূজা করত। এটি ছিল তাদের সবচেয়ে বড় মূর্তি। বনু শায়বান গোত্র এ মূর্তির পূজা করত। এটি ছিল তাদের সবচেয়ে বড় মূর্তি। হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রাযিয়াল্লাহু আনহু সহ ৩০ জন সৈন্য নাখালায় গিয়ে এ মূর্তিটি ভেঙ্গে ফেলেন। ওযযা মূর্তিটি ভাঙ্গার পর ফিরে আসার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত খালেদ কে জিজ্ঞাস করলেন, তুমি কি কিছু দেখেছ ? তিনি বললেন কই না তো। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তবে তো তুমি মূর্তিই ভাঙ্গতে পারোনি ?
তারপর হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রাযিয়াল্লাহু আনহু পুনরায় নাংগা তলোয়ার উঁচিয়ে নাখালায় গেলেন। এবার তিনি দেখলেন, এক কালো নগ্ন মাথা ন্যাড়া মহিলা তার দিকে এগিয়ে আসছে। হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রাযিয়াল্লাহু আনহু এক তরবারি দিয়ে তাকে আঘাত করেন। এতে সে মহিলা ২ টুকরা হয়ে যায়। এরপর হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রাযিয়াল্লাহু আনহু এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে এই খবর দেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হ্যা সেই ছিল ওযযা। এবার সে তোমাদের দেশে তার পূজার ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে। [ আর রাহীকুল মাখতুম, ৪৪৪ পৃষ্ঠা] এই হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে প্রতিটা মূর্তির পিছনেই একটি করে দুষ্ট মহিলা জ্বীন থাকে।
সে মাসেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত সাদ ইবনে যায়েদ কে মানাত মূর্তিটি ধবংষ করতে মোশাল্লা নামক এলাকায় পাঠান। আওস, খাযরায ও গাসসান গোত্রের লোকেরা এই মানাত মূর্তির পূজা করত। হযরত সাদ সেখানে পৌছার পর পুরাহিত জিজ্ঞাস করল তুমি কি চাও। তিনি বললেন মানাতকে ধবংশ করতে চাই। পুরাহিত তখন বলল তুমি কখনই মানাত কে ধবংষ করতে পারবে না। এরপর হযরত সাদ লক্ষ্য করলেন বীভৎস চেহারার কালো ন্যাড়া মাথার এক মহিলা মানাত মূর্তি থেকে বেরিয়ে আসছে। এরপর হযরত সাদ উনার তলোয়ার দিয়ে সেই বীভৎস চেহারার কালো ন্যাড়া মাথার মহিলা কে হত্যা করেন। এরপর হযরত সাদ মানাত মূর্তিটি ধবংস করেন। [ আর রাহীকুল মাখতুম, ৪৪৫ পৃষ্ঠা] এই হাদীস থেকেও এটা বুঝা যায় যে প্রতিটা মূর্তির পিছনেই একটি করে দুষ্ট মহিলা জ্বীন বসবাস করে। আমার নিজের জীবনেও অনেক জ্বীন জাতীয় ঘটনা আছে। ব্যক্তিগত জীবনে আমি নিজেও অনেক মন্দিরে যাতায়াত করেছি, অনেক পূজা মন্ডপে পূজা দেখতে গিয়েছি। হিন্দুদের মন্দির গুলিতে যে দুষ্ট জ্বীনেরা থাকে তা আমি বেশ ভালভাবেই বুঝতে পেরেছি।
তাফসীরে জালালাইনের সম্মানিত লেখক আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ুতি রহমাতুল্লাহ আলাইহির জ্বীন জাতিকে নিয়ে লেখা উনার একটা বিখ্যাত বই যার নাম “লাক্বতুল মারজানা ফি আহকামুল জিন্নাহ” এই বইটাকে বলা হয় জ্বীন জাতির বিশ্বকোষ। এই বইটির বাংলা অনুবাদ “জ্বীন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস” এই নামে বাংলা অনুবাদিত হয়ে ঢাকার মদীনা পাবলিকেশন্স ৩৮/২, বাংলাবাজার, ঢাকা থেকে বের হয়েছে। এই বইটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন যে জ্বীনদের সমাজ কাঠামো হল অনেকটা মাতৃতান্ত্রিক। তাই আরবের লাত উজ্জারাও যেমন মহিলা জ্বীন ছিল ঠিক তেমনি ভারতের দূর্গা কালী লক্ষী উনারাও কিন্তু মহিলা জ্বীন। মজার ব্যাপার হল জাহেলিয়াতের যুগে আরবের কাফেররা যেইসব জ্বীনের পূজা করতো তারা কিন্তু ঠিকই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর ঈমান এনেছিল কিন্তু ঐ জ্বীন পূজারী কাফেররা আর মুসলমান হয়নি। এই ঘটনাটা নিয়ে পরবর্তীতে কোরআনে ওহীও নাযিল হয়েছিল। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আল্লাহ সুবহানাতায়ালার ইরশাদ করেছেনঃ “তারা যাদেরকে আহবান করে তারাই তো তাদের প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, একদা একদল জ্বিন মুসলমান হলো। তাদের পূজা করা হতো। কিন্তু ইবাদতকারী এ লোকগুলো তাদের ইবাদতই আকড়ে থাকলো। অথচ জ্বিনেরা ইসলাম গ্রহণ করেছেন। [ ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ মুসলিম
অধ্যায়ঃ ৫৬/ তাফসীর | হাদিস নাম্বার: 7273 ]
জ্বীনদের আয়ুস্কাল সাধারনত ১০০০ থেকে ২০০০ বছর হয়। সেই হিসাবে দূর্গা কালী লক্ষী এই দুষ্ট জ্বীন গুলি বহু আগেই মারা গেছে। হিন্দুরা এখন যেই দুষ্ট জ্বীন গুলির পূজা করছে এগুলি হচ্ছে সব মৃত জ্বীন। আর এটা তো সত্য কথা যেই রাবনের ১০ টা মাথা আছে সে আর যাই হোক কোন মানুষ হতে পারে না। হিন্দুরাই বলে রাবন হচ্ছে রাক্ষস খোক্ষস আর আমরা মুসলমানরা বলি রাক্ষস খোক্ষস ভূত পেত্নী বলতে এই পৃথিবীতে কিছু নাই যদি থাকে তাইলে শুধু জ্বীনেরাই আছে এই পৃথিবীতে। যারা মৎস পুরান পড়েছেন তারা জানেন যে ব্রক্ষা তার আপন মেয়ে স্বরসতীকে বিয়ে করেছিল, হিন্দুদের ভাই ফোঁটা উৎসবের প্রবর্তক যম ও যমী আপন ভাই বোন হওয়া সত্ত্বেও সহবাস করেছিল। তাই হিন্দুরা যেইসব জ্বীনদের পূজা করে তারা যে অযাচার প্রিয় এতে কোন সন্দেহ নাই। আমাদের উচিত হিন্দুদের কে তাওহীদের দাওয়াত দেওয়া যেন হিন্দুরা বেশ্যা শয়তান অযাচার প্রিয় মৃত জ্বীনদের উপাসনা করা বাদ দিয়ে দ্বীন ইসলামের ছায়াতলে আসে।
ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন
No comments:
Post a Comment