আড্ডাঃ সারা রাত, বেইলী রোডে ফিসিং!
আড্ডার মজাই আলাদা। আড্ডা না থাকলে জীবন কি! আড্ডায় শুধু সময় নষ্ট নয়, আড্ডা থেকে সারা জীবনের সঞ্চয়ও হয়ে যেতে পারে। আড্ডাকে পজেটিভ দেখলে অনেক কিছুই আড্ডা থেকে পাওয়া যেতে পারে। আমি তাই আড্ডাকে পজেটিভ দেখি। আমার এই পজেটিভ দেখা থেকে আমি অনেক কিছু অর্জন করেছি। আড্ডা থেকে আমি প্রান শক্তি পাই! হা হা হা।যাই হোক, অনেকদিন লম্বা আড্ডা হয় না। সন্ধ্যা আড্ডা দিয়ে আর চলছিলো না! এদিকে বন্ধুরা দূরে কোথায়ও যেতে চাইছে না! কিছু দিন আগে আমি আমার বন্ধু এনামুল গনিকে বললাম, চলেন একদিন সারা রাত আড্ডা দেই, সাথে থাকবে মাছ ধরা। মাছ পেলে ভাগ্য ভাল, আর না পেলে নাই! সারা রাতের আড্ডা দিয়ে একটা রেকর্ড হবে। যেই কথা সেই কাজ, আমরা গত সাপ্তাহ একদিন সারা রাত আড্ডা দিলাম – আমি, এনামুল গনি, কামাল উদ্দিন এবং কবির! আমরা সেদিন সারা রাত চরম আড্ডা দিলাম, গান শুনলাম, খোশ গল্প করলাম। কিন্তু মাছের ফলাফল শুন্য! আমরা সেদিন কোন মাছই পেলাম না! মনে অনেক দুঃখ!
(আমাদের সেদিনের ছবি! মাছ না পাবার কারন হচ্ছে, আবহাওয়া। সারা রাত ছিল গুমোট এবং বাতাস বলতেই ছিল না। গরমে সবাই খালি গা হয়ে পড়ছিল – এনামুল গনি, কবির এবং কামাল উদ্দিন!)
সেই দিনের সারা রাত আড্ডা দিয়ে সকালে (ফজরের আজানের কিছু পরে) বাড়ী ফেরার পথে শান্তিনগর বাজার থেকে কিছু তেলাপিয়া মাছ কিনে বাসায় গেলাম। গিয়েই মাছ গুলো ফ্রীজে রেখে দিলাম। ব্যাটারী যেন কিছু না বুঝতে পারে! হা হা হা… দুনিয়াতে ওয়াইফকে কে না ভয় পায়!
যাক, এদিকে আমাদের আড্ডার কথা আমাদের বেইলী রোডের হালকা বড় ভাইদের কানে গেল! সোহাগ ভাই (সোহাগ ভাই তখন থাইল্যান্ডে ছিল) আমাকে বলেন, কি আমাদের ছেড়ে রাতে আড্ডা দিলেন! কিছু পেলেন কি? আমরা হাসি এবং কিছু পরে আসল ঘটনা বলি। আমাদের শ’পাচেক টাকার মাছ কিনে বাসায় ফিরার কথা জেনে সবাই (বড় ভাইরা) হাসিতে ফেটে পড়ে! হা হা হা…
গতকাল ৩০শে এপ্রিল রাতে আড্ডা দিতে বেইলী রোডে গেলাম। সোহাগ ভাই জানালেন আজ বাসায় ফোন করে অনুমতি নিয়ে নিন, সারা রাত আড্ডা দেবেন, মাছ ধরা হবে। তাজা মাছের কথা শুনলে আমার প্রানে পানি থাকে না! আমি তাজা মাছের বিরাট ভক্ত। রাজী হয়ে গেলাম। তাজা মাছের জন্য আমি চান্দের দেশে যেতে পারি। ব্যস বাসায় ব্যাটারীকে ফোন দিলাম! আমার উপর এক চোট নিলেন! কিন্তু আমাদের আড্ডা কে থামাতে পারে!
ফকরুদ্দিনের কাচ্ছি বিরিয়ানীর আয়োজন করা হল। রাত এগারটায় আমাদের খাবার পর্ব সারা হল। আমরা দুই ঘাটে দুই দল হয়ে আড্ডা দিলাম, সাথে চলল মাছ ধরা। সারা রাত মজা এবং মজা। আমি অবশ্য মাছ ধরতে পারি না, আড্ডায় সহকারী হয়ে থাকতে পারি।
সকালে ফজরের আজানের সময় আমাদের আড্ডা ভাঙল। অবশ্য একটা দল রাত তিনটা্র আড্ডায় খান্ত দিয়ে মাছ নিয়ে বাসায় চলে গেল। আমরা ফজরের নামাজের পর বাসায় ফিরলাম। আরো অনেক মজা হল! সময় পেলে লিখবো। তবে নিন্মের ছবি গুলো দেখতে আপনাদের অনুরোধ জানাই! আমার ভাগের মাছের ছবি! হা হা হা…
মাছ যখন মডেল!
তেলাপিয়াটাই সেরা! একাই কেজির উপর হবে!
সুন্দরী ফলি মাছ!
সুপার তেলাপিয়া! এই তেলাপিয়া দিয়ে একটা রেসিপি আপনাদের জন্য দেখাবো। থাই সিন্টেমে বড় তেলাপিয়া বেক করা হবে! হা হা হা…
No comments:
Post a Comment