যেখানে
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব রাসূলুল্লাহ (সা) গায়েব জানতেন না, সেখানে
অন্য কারো পক্ষেই গায়েব জানা অসম্ভব। সুতরাং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েব
জানে না- আর এ সম্পর্কে কারো মনে বিন্দুমাত্রও সংশয় থাকলে, সে স্পষ্ট
শির্কের গুনাহে নিমজ্জিত হবে, যা আন্তরিক তাওবাহ্ ছাড়া ক্ষমার অযোগ্য।
উত্তর: আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েবের খবর জানতেন না। তবে মহান আল্লাহ ওয়াহীর মাধ্যমে যা তাঁকে জানিয়েছেন- তা ব্যতীত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
قُل لَّآ أَمۡلِكُ لِنَفۡسِي نَفۡعٗا وَلَا ضَرًّا إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُۚ وَلَوۡ كُنتُ أَعۡلَمُ ٱلۡغَيۡبَ لَٱسۡتَكۡثَرۡتُ مِنَ ٱلۡخَيۡرِ وَمَا مَسَّنِيَ ٱلسُّوٓءُۚ إِنۡ أَنَا۠ إِلَّا نَذِيرٞ وَبَشِيرٞ لِّقَوۡمٖ يُؤۡمِنُونَ
‘‘(হে মুহাম্মাদ!) আপনি ঘোষণা করুণ, একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আমার নিজের ভাল-মন্দ, লাভ-ক্ষতি, কল্যাণ-অকল্যাণ ইত্যাদি বিষয়ে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আমার কোনোই হাত নেই। আর আমি যদি গায়েব জানতাম, তাহলে বহু কল্যাণ লাভ করতে পারতাম, আর কোনো প্রকার অকল্যাণ আমাকে স্পর্শ করতে পারত না।” [সূরা আল-আ‘রাফ ৭:১৮৮]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবূওয়াতি জীবনেই এ কথার প্রমাণ মেলে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যদি গায়েব জানতেন, তাহলে অবশ্যই উহুদের যু্দ্ধ এবং তায়েফসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কঠিন বিপদের সম্মুখীন হতেন না।
যেখানে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব রাসূলুল্লাহ (সা) গায়েব জানতেন না, সেখানে অন্য কারো পক্ষেই গায়েব জানা অসম্ভব। সুতরাং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েব জানে না- আর এ সম্পর্কে কারো মনে বিন্দুমাত্রও সংশয় থাকলে, সে স্পষ্ট শির্কের গুনাহে নিমজ্জিত হবে, যা আন্তরিক তাওবাহ্ ছাড়া ক্ষমার অযোগ্য।
No comments:
Post a Comment