পাঁচড়া, খুজলি, দাদ কনটেন্টটিতে রোগের আক্রান্ত স্থান, লক্ষণ, প্রতিরোধ, চিকিৎসা সর্ম্পকে বর্ণনা করা হয়েছে।
চর্মরোগ বা ত্বকের সমস্যা বাংলাদেশের সব শ্রেণীর মানুষের জন্য সাধারণ সমস্যা। যারা বেশি অপরিষ্কার, অপরিসর, ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে থাকে ও নিজেও অপরিচ্ছন্ন থাকে তাদের ক্ষেত্রে ত্বকের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। চর্মরোগ, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও ভাইরাস দ্বারা হতে পারে। কয়েকটি সাধারণ চর্মরোগ হচ্ছে পাঁচড়া, খুঁজলি ও দাদ।
পাঁচড়া
শিশুদের মধ্যে এই রোগ বেশী দেখা যায়।
যেসব জায়গা আক্রান্ত হয়
| |
লক্ষণ
- আক্রান্ত স্থানে সবসময় চুলকানির ভাব অনুভূতি হয়
- না চুলকিয়ে থাকা যায় না
- চুলকাতে চুলকাতে চামড়া উঠে যায়, ফুসকুড়ি গুলোতে পূঁজ / পানি জমে
- পুনরায় চুলকালে পূঁজ ছড়িয়ে পড়ে ও চুলকানী অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে
- ব্যথায় শরীরে জ্বর আসে
চিকিৎসা
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড়-চোপড় ব্যবহার করলে খোসপাঁচড়া হবে না
- প্রতিদিন গোসল করতে হবে
- গরম পানি দ্বারা গোসল করতে হবে
- এছাড়া গরম পানিতে নিম পাতা সিদ্ধ করে সে পানিতে গোসল দিলেও উপকার পাওয়া যাবে
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে
খুঁজলি
লক্ষণ
|
চিকিৎসা
- পরিষ্কার কাপড়-চোপড় পরতে হবে
- ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে
প্রতিরোধ
- পাঁচড়া ও খুঁজলির ক্ষেত্রে রোগীকে আলাদা রাখা
- পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে
- দূষিত পুকুরে গোসল না করা
- দৈনন্দিন পরিধেয় কাপড় পরিস্কার রাখা
- নখ কেটে ছোট রাখা
- গামছা, বিছানা ও বালিশ পরিস্কার রাখা
- পাঁচড়া ও খুঁজলি সেরে গেলে রোগীর ব্যবহার্য কাপড়-চোপড় বিছানাপত্র ধুয়ে দিতে হবে
দাদ
শরীরের যে কোন স্থান ফাংগাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাকে দাদ বলা হয়। এই আক্রমণ মাথার চামড়ায়, হাত-পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে, কুঁচকিতে হতে পারে। এটা খুব ছোয়াঁচে রোগ।
লক্ষণ
- আক্রান্ত স্থান চাকার মত গোলাকার হয় এবং চুলকায়
- মাথায় দাদ দেখতে গোলাকার হয় এবং আক্রান্ত স্থানে চুল কমে যায় এবং প্রায়ই থাকে না
- হাতের বা পায়ের নখে ফাংগাস আক্রমণ করলে নখের উপরিভাগ পুরু হয় এবং মসৃণতা নষ্ট হয়
- নখের পাশে পানি জমে যায় এবংঅনেক সময় নখ ভেঙ্গে যায়
প্রতিকার
- সাবান ও পনি দিয়ে আক্রান্ত স্থান প্রতিদিন ধোয়াই দাদ থেকে মুক্তি পাবার সহজ উপায়
- আক্রান্ত স্থান শুকনো রাখা জরুরী
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে
- অনেক সময় ব্যবহৃত সাবান থেকেও দাদ হতে পারে, সেক্ষেত্রে সাবান ব্যবহার কিছুদিন বন্ধ রাখতে হবে
প্রতিরোধ ব্যবস্থা
- ফাংগাস আক্রান্ত ছেলেমেয়েদের অন্য কোন সু্স্থ ছেলেমেয়ের সঙ্গে একত্রে খেলতে বা ঘুমাতে দেওয়া উচিৎ নয়
- রোগীর ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় ও চিরুনী ভালভাবে পরিষ্কার না করে অন্য কারো ব্যবহার করা উচিৎ নয়
- রোগ প্রকাশ পাওয়া মাত্র রোগীর চিকিৎসা করাতে হবে
সচরাচর জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন.১.পাঁচরার লক্ষণ গুলো কি কি?
উত্তর.
১.আক্রান্ত স্থানে সবসময় চুলকানির ভাব অনুভূতি হয়
২.না চুলকিয়ে থাকা যায় না
৩.চুলকাতে চুলকাতে চামড়া উঠে যায়, ফুসকুঁড়ি গুলোতে পূঁজ / পানি জমে
৪.পুনরায় চুলকালে পূঁজ ছড়িয়ে পড়ে ও চুলকানী অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে
৫.ব্যথায় শরীরে জ্বর আসে
প্রশ্ন.২.পাঁচড়া ও খুঁজলি কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর.
- পাঁচড়া ও খুঁজলির ক্ষেত্রে রোগীকে আলাদা রাখা
- পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে
- দূষিত পুকুরে গোসল না করা
- দৈনিন্দিন পরিধেয় কাপড় পরিস্কার রাখা
- নখ কেটে ছোট রাখা
- গামছা, বিছানা ও বালিশ পরিস্কার রাখা
No comments:
Post a Comment