Pages

Wednesday, January 6, 2016

অন্ধের বিশ্বজয়!

অন্ধের বিশ্বজয়!
ইমাম মালিকের কাছে পড়ার বড় আশা ছিল, আবদুল্লাহ ইবনে মুবারকের কাছে পড়ার আশা ছিল, হাম্মাদ বিন যায়েদের কাছেও পড়ার আশা ছিল। আল্লাহ তাকে নিরাশ করেন নি। এবার কী?
-একটা বিয়ে।
নিজের বড় বড় উস্তাদদের দেখে, ইসমাঈলের মনে সুপ্ত ইচ্ছা, তার ছেলেও এমন একজন মুহাদ্দিস হবে। তার আশা বৃথা গেল না। সত্যি সত্যি একটা পুত্র সন্তানের জন্ম হলো। নাম রাখা হলো:
-মুহাম্মাদআল্লাহর ‘মনশা’ বোঝা সাধ্যি কার! স্ত্রী-পুত্রকে রেখে ইসমাঈল পরপারের পথে যাত্রা করলেন।
     মা ছেলের লালন-পালনের প্রতি মনপ্রাণ সঁপে দিলেন। বাবার অনেক আশা ছিল, ছেলে তার বড় আলিম হবে। কিন্তু মেনে নিতে কষ্ট হয়, তবুও তাকদীরের লিখন খন্ডাবে কে?
-ছেলেটা অন্ধ!মায়ের বুকটা খাঁ খাঁ! নাড়িছেঁড়া ধনটা চোখে দেখতে পায় না। কাকে নিয়ে বাঁচবেন! একজন মুমিন হতাশ হতে পারে না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া কুফুরি। বিধবা অসহায় মা একমাত্র উপায় অবলম্বন করলেন:
-দু‘আ।
সারাক্ষণ ছেলের জন্যে দু‘আ করতে শুরু করলেন। উঠতে-বসতে, শয়নে-স্বপনে-জাগরণে। তিনি শুনেছেন দু‘আ তাকদীরকেও বদলে দিতে পারে। তাকদীরের বদল তো হয় না। দু‘আর শক্তি বোঝাবার জন্যেই কথাটা বলা হয়।
মায়ের দু‘আ বৃথা গেল না। এক রাতে মা স্বপ্নে ইবরাহিম আ. কে দেখলেন। তিনি বলছেন:
-তোমার অপরিমিতি দু‘আর কারণে, আল্লাহ তোমার ছেলের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

এবার শুরু হলো ইলম সাধনা। কালক্রমে এই অন্ধ ছেলেটাই হাদীসশাস্ত্রে এত বেশি উচ্চ শিখরে আরোহণ করেছিলেন। রচনা করেছিলেন কুরআন কারীমের পর সবচেয়ে বিশুদ্ধ কিতাব জামে সহীহ ‘বুখারী শরীফ’

No comments:

Post a Comment