Pages

Sunday, December 27, 2015

শীতে বজায় থাকুক ঠোঁটের আভিজাত্য…


(প্রিয়.কম) শীতের সময় ঠোঁট ফাটে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। শীত এলে তাই ঠোঁটের আলাদা যত্ন নিতে হয়। যা কেউ নিতে চান না। অনেকেই বাজারের সস্তা লিপজেল লাগিয়ে ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পেতে চান। তারপরও কাজ না হলে হয়ে পড়েন হতাশ। তাই প্রিয়’র পাঠকের জন্য আজকের আয়োজন এই শীতে ঠোটের যত্ন।
১. ঠোঁটে সবসময়  ভালো কোম্পানির লিপজেল লাগান। না হলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। লিপজেল কেনার সময় তাতে এসপিএফ রয়েছে কি না দেখে ‍কিনুন। কারণ শীতকালেও সানবার্নের হাত থেকে বাঁচাটা জরুরি।
২. ঠোঁট ফাটার অন্যতম কারণ শরীরের ডিহাইড্রেশন। আর ডিহেইড্রেশন হয় শরীরের পানি কমে গেলে। শীতে এমনিতেই পানি খাওয়া কম হয়। তাই শরীর দ্রূত শুকিয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার জল খেতে।
৩. অনেকে ঠোঁট ফাটার হাত থেকে রক্ষা পেতে কিছুক্ষণ পরপরই জিভের লালা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে থাকেন। এটা খুবই অশোভন ব্যাপার। এতে সমস্যার সামধান তো হয়ই না, উল্টো আরও বেশি করে ঠোঁট ফাটার সমস্যা আপনাকে ভোগায়। তাই এই বদভ্যাস ত্যাগ করুন আজকেই।
৪.ঠোঁটকেও আলাদাভাবে রাখুন পরিচ্ছন্ন। এজন্য ঘরেই বানাতে পারেন বিশেষ প্যাক। মধু ও লেবুর রসের বিশেষ প্যাক ঠোঁটের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া গ্লিসারিন, জলপাই তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কাচের বোতলে করে ফ্রিজে রাখতে পারেন। শুকনো ঠোঁটে লাগান নিয়মিত। 
৫. ম্যাট লিপস্টিক ঠোঁটকে আরও বেশি করে শুকিয়ে ফেলে। তাই শীতে সব সময় লিপগ্লস বা ময়েশ্চারাইজার-যুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করবেন।
৬. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটেও ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগান। প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েলও। এ্যালার্জি থাকলে অলিভ ওয়েল থেকে দূরে থাকুন।
৭. যেখানেই যাবেন পার্সে সবসময় রাখুন ছোট ভেসলিন বা বোরেলীন। কিছুক্ষণ পর পর ঠোঁট শুকিয়ে গেলে লাগাতে পারেন।
৮. শীতে কখনও যদি দেখেন ঠোঁটে কালো কালো ছোপ পরতে শুরু করেছে, তা হলে কাল-বিলম্ব না করে অবিলম্বে ডার্মাটোলজিস্টের কাছে যান। তার পরামর্শ মেনে চলুন

No comments:

Post a Comment