সংসারের
আভাবের কারনে আমাদের বাংলাদেশের অনেক শিশুকেই অল্প বয়সে কাজে যোগ দিতে হয়।
আর জীবিকার তাগিদে সেই কর্মজীবী শিশুরা অনেক ঝুঁকি পূর্ন কাজেও অংশগ্রহন
করছে। তারা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের অধিকার থেকে। যেইসময়টা তাদের পাড় করার কথা
পড়াশুনা, খেলাধুলার মধ্য দিয়ে, কর্মজীবী শিশুরা সেই সময়টা পাড় করছে তাদের
জীবনের কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে। হাজারো কর্মজীবী শিশুর মধ্যে এমনই একজন
এর কথা তুলে ধরা হল:
সোনিয়া,বয়স ১২। বাবা-মার সাথে ঢাকার মগবাজারে থাকে। একটি বাসায় বুয়ার কাজ করে। তার বাবা একজন আচার বিক্রেতা। মাও ঘরের কাজের পাশাপাশি অন্যোর বাসায় কাজ করে। ২
ভাই ২ বোনের মধ্যে সোনিয়া দ্বিতীয়। তাদের এই ছোট পরিবারে অভাব যেন সবসময়
লেগেই থাকে। তাই ১২ বয়সেই সোনিয়াক নিজের বাসার কাজের পাশাপাশি অন্যের বাসায়
কাজ করতে হচ্ছে। মাসিক বেতন ৩০০ টাকায় তাকে সেখানে বেলা ১১ টা থেকে ১ টা পযর্ন্ত কাজ করতে হয়। তাকে নিজের বাসার সাংসারিক কাজের পাশাপাশি তার বাবার কাজেও ( আচার বানানোর ) সাহায্য করেতে হয়। সোনিয়ার ভাল লাগে তার বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করতে, লেখাপড়া করতে।
তার পড়াশুনার প্রতি প্রবল ইচ্ছে থাকায়, সে স্থানীয় একটি স্কুলে দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৪ টা পযর্ন্ত পড়া লেখা করে। সে সময়টা তার খুব ভাল লাগে। সোনিয়া যে বাসায় কাজ করে সে বাসায় একটি (প্রতিবন্ধী) বোবা মেয়ে আছে, সোনিয়ার কাজ করতে দেরি হলে বোবা মেয়েটি সোনিয়াকে মার দেখায়, এতে সোনিয়ার খুব মন খারাপ হয়। তার স্বপ্ন, সে পড়ালেখা করে একদিন ডাক্তার হবে, গরীব অসহায় রোগীদের সেবা করবে।
আমরা কেউ জানিনা সোনিয়ার স্বপ্ন আদোও পূর্ন হবে কি, হবে না। আমারা কি পারিনা তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে????
No comments:
Post a Comment