সোনার গাঁ হচ্ছে থানার নাম, জেলা
নারায়নগঞ্জ। বাংলার লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন বা সোনার গাঁ যাদুঘর আমিনপুর
গ্রামে অবস্থিত। এর পূর্ব নাম ছিল সুর্বণ গ্রাম। এক সময় সোনার গাঁ ছিল ইশা
খাঁ এর সময় এদেশের রাজধানী। ইশা খাঁ ছিলেন কার ভূইয়া বংশধর।
সোনা
বিবির নাম অনুসারে এর নাম করণ করা হয় সোনার গাঁ। চোখ জুড়ানো সবুজ প্রকৃতি,
পুকুর এবং লেক দেখলেই মন-প্রাণ ভাল লাগায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। নানা রকম ফুলের
গাছ ও ফলের গাছ আছে। চিত্র শিল্পী জয়নুল আবেদীনের মালবাহী গরুর গাড়ির
প্রতিকৃতি আছে। লেকের পানিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। এবং নৌকা ভ্রমনের
ব্যবস্থা আছে। গরুর গাড়ির প্রতিকৃতির বাম পাশে দুটি পুকুর পুকুর আছে। একট
পুকুর পাড়ে দুটি ভাস্কর্য আছে। ভাস্কর্যে দুটি ঘোড়ার উপর দুজন রাজা বসে
আছেন। এ ভবনটি নিয়ে অনেক গল্প আছে।
অনেকে মনে করতেন এর ভিতর একবার প্রবেশ করলে আর বাহির হতে পারবে না। ভবনটির বিভিন্ন কক্ষে কাসার বিভিন্ন তৈজসপত্র, মাটির ও কাসার তৈরি
জিনিস পত্র ঢাল তলোয়ার, ছুরি সহ বিভিন্ন যুদ্ধা অস্ত্র কাঠের পালন্ক
ইত্যাদি সংরক্ষিত আছে। বিভিন্ন মূর্তীর মাধ্যমে তখন কার যুগের গ্রামীন জীবন
চিত্র ফুটিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। সামনে লাল রং এর ভবন। এই ভবনটি দুভাগে
বিভক্ত। একদিকে প্রশাসানিক কাজ কর্ম ও অন্য দিকটি যাদুঘর হিসাবে ব্যবহার
করা হয়। নিচ তলায় রয়েছে মাটি ও কাঠের প্রতিকৃতি চিত্র। ২য় তলায় রয়েছে জামদানি শাড়িসহ বিভিন্ন কাপড়ের কারুকার্য এবং সাথে নকসী কাঁথা ও রয়েছে।
বর্তমানে
জায়গাটিতে আরও ভবন তৈরি করা হচ্ছে এর মধ্যে রয়েছে বিদেশীদের গবেষনার জন্য
একটি ভবন। এবং ভ্রমনকারিদের জন্য রয়েছে বিক্রয়কেন্দ্র এবং খাবারের জন্য
রেস্টুরেন্ট। সেখানে নৌকা ভ্রমনের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে সৌন্দর্য বৃদ্ধির
জন্য পুকুরের উপর সেঁতু রয়েছে। সেখানে বসার জন্য ছাউনিসহ বেঞ্চ রয়েছে। আরও
ভিতরের দিকে গেলে বেশ কয়েকটি মাটির ঘর চোখে পড়বে। তৎকালিন গ্রাম্য সমাজ
তার মধ্যে ফুটিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
অপূর্ব
সুন্দর এই সোনার গাঁ। এখানে চারদিক শুধু সবুজ আর সবুজ। চোখ জুড়ানো সবুজ
প্রকৃতি, পুকুর এবং নানা রকম ফুল ও ফলের গাছ । বাংলার লোক ও কারুশিল্প
ঐতিহ্য বহন করে আসছে এই সোনার গাঁ।
No comments:
Post a Comment