সাধারণ
মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম হলো অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে রোগের
প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করা। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে তার
বিরুদ্ধে রোগ-জীবাণুগুলো প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করে। আর এক্ষেত্রে প্রয়োজনের
সময় অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না।
তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন,
যথাসম্ভব অ্যান্টিবায়োটিক বাদ দিয়েই চিকিৎসা করা দরকার। যেন সঠিক প্রয়োজনের
সময় অ্যান্টিবায়োটিকের সুফল পাওয়া যায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে
লাইভ সায়েন্স।
যে কারণে অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল ব্যবহার
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর
কারণে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক দিতে উৎসাহিত হন। এর অন্যতম কারণ রোগীরা
দ্রুত কার্যকর ওষুধ চান। অনেক ক্ষেত্রে তারা সরাসরি অ্যান্টিবায়োটিক আশা
করেন। আর এ কারণেই চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক লিখতে আগ্রহী হন। যদিও কোন রোগে
অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে আর কোন রোগে করবে না, সে বিষয়ে রোগীদের জানার
কথা নয়। তাই এক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করার পরামর্শ
দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষতি রয়েছে
ইনফেকশন সারাতে
অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু তা সঠিকভাবে ব্যবহার
নাকরলে শরীরের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। বহু অ্যান্টিবায়োটিকের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া
রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জানার কথা নয়। এর মধ্যে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
শরীরের মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনে। ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে তার
বিরুদ্ধে দেহের জীবাণুগুলো প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করে। ফলে পরবর্তীতে তা আর
কাজ করে না।
যা করা প্রয়োজন
অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল
ব্যবহার সম্পর্কে রোগী ও চিকিৎসক উভয়কেই পরিষ্কারভাবে জানা উচিত। রোগীদের
যেমন চিকিৎসকের কাছ থেকে অ্যান্টিবায়োটিক আশা করা উচিত নয়, তেমন চিকিৎসকেরও
রোগের ধরন বুঝে সঠিক ওষুধ দেওয়া প্রয়োজন, মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। প্রয়োজনে
চিকিৎসকের উচিত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা এবং অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষতিকর দিক
রোগীকে বুঝিয়ে বলা।
No comments:
Post a Comment