মসজিদ নাকি আল্লাহর ঘর, এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে সাধারণ মানুষ।
মসজিদ কোন আরাম আয়েশের বা এলাকার গৌরবের স্থাপনা নয়। মসজিদ প্রয়োজন
অনুযায়ি নির্মিত হবে এটাই স্বাভাবিক। প্রশ্ন হল মসজিদকে আলিশান হতে হবে
কেন? একটি মসজিদ স্থাপিত হবে, সেখানে ইবাদতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
থাকবে। কিন্তু তাকে সুসজ্জিত করতে হবে কেন? আমাদের দেশের মসজিদ সমূহকে এখন
এয়ার কন্ডিশন করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন?
আপনি আল্লাহর কাছে হাজিরা দিতে মসজিদে উপস্থিত হচ্ছেন। দীনহীন, অসহায়, পাপী একজন বান্দা। সেখানে আপনাকে এত আরাম আয়েশের দিকে লক্ষ রাখতে হবে কেন? যারা আল্লাহর ঘরের দোহাই দিচ্ছেন তাদের কি ক্ষমতা আছে আল্লাহর ঘরকে সুসজ্জিত করে দেয়ার? আল্লাহ কি তাগিদ দিয়েছেন মসজিদকে সুসসজ্জিত করার?
ছবিঃ এটি বরিশালের বায়তুল আমান জামে মসজিদ। এই মসজিদটি গুঠিয়া মসজিদ নামেও পরিচিত। মসজিদটি বরিশালের, উজিরপুর গুঠিয়ার, চাঙ্গুরিয়া নামক এলাকায় অবস্থিত। মসজিদটি কোন ঐতিহাসিক মসজিদ নয়। মসজিদটি তৈরি করেছেন ঐ এলাকার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু নামের জনৈক ব্যাক্তি।
এই কথাগুলো এজন্যেই বলছি, যখন দেখি একটি আলিশান মসজিদের পাশের ফুটপাতেই গৃহহীন মানুষ খোলা আকাশের নিচে শুয়ে আছে তখন মনে হয় ধর্মের নামে মানুষ যেন অসহায় মানুষগুলোর সাথে নির্মম উপহাস করছে।
মসজিদকে কেন্দ্র করে সারা দেশব্যাপি চাঁদার নামে একধরনের ভিক্ষাবৃত্তি চালু হয়েছে। যেখানে চাঁদা গ্রহিতারা যদি শতভাগ সততার সাথেও আদায়কৃত চাঁদার টাকা মসজিদের তহবিলে জমা করেও থাকে সে ক্ষেত্রেও মসজিদ পায় ৩০ ভাগ বাকি ৭০ ভাগ নেয় চাঁদা আদায়কারীরা। অর্থাৎ এটাকেই তারা অবলীলায় পেশা হিসেবে গ্রহন করছে। আর যদি চাঁদা গ্রহিতা পূরো টাকাটাই মেরে দেয় সে ক্ষেত্রেও তাদের বাধা দেয়ার কেউ নেই। এ সবই সম্ভব হচ্ছে মসজিদকে দৃষ্টিনন্দন আলীশান করে গড়ে তোলার মানসে। এখানে কতটা পার্থিব স্বার্থ জড়িত আর কতটা মহান আল্লাহকে খুশি করতে সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ।
যখন কেউ আল্লাহার ঘর নির্মাণ করার জন্য আমার কাছে হাত পাতে তখন শয়তান আমার কানে কানে বলে যায়, মানুষ এতো ক্ষমতাহীন হয়েও নিজের ঘর নিজেই তৈরি করে আর আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান হয়েও নিজের জন্য একটা ঘর তুলতে নিকৃষ্ট মানুষের কাছে হাত পাততে হয়? মানুষের ৫/১০ টাকা দিয়ে শেষে আল্লাহার ঘর বানাতে হবে? আর আল্লাহ্ যেহেতু নিরাকার সেহেতু নিরাকার আল্লাহার ঘর কেনই বা প্রয়োজন? আল্লাহ্ কি সিকিউরিটি প্রবলেমে আছে নাকি রোদ বৃষ্টিতে রাস্তায় রাস্তায় আল্লাহার খুব কষ্ট হয় এই জন্য আল্লাহার ঘর বানাইতে হবে?
(উপরের বেশ কিছু অংশ এবং ছবি মোঃ গালিব মেহেদী খানের লেখা থেকে সংগ্রহ করে পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত করা)
আপনি আল্লাহর কাছে হাজিরা দিতে মসজিদে উপস্থিত হচ্ছেন। দীনহীন, অসহায়, পাপী একজন বান্দা। সেখানে আপনাকে এত আরাম আয়েশের দিকে লক্ষ রাখতে হবে কেন? যারা আল্লাহর ঘরের দোহাই দিচ্ছেন তাদের কি ক্ষমতা আছে আল্লাহর ঘরকে সুসজ্জিত করে দেয়ার? আল্লাহ কি তাগিদ দিয়েছেন মসজিদকে সুসসজ্জিত করার?
ছবিঃ এটি বরিশালের বায়তুল আমান জামে মসজিদ। এই মসজিদটি গুঠিয়া মসজিদ নামেও পরিচিত। মসজিদটি বরিশালের, উজিরপুর গুঠিয়ার, চাঙ্গুরিয়া নামক এলাকায় অবস্থিত। মসজিদটি কোন ঐতিহাসিক মসজিদ নয়। মসজিদটি তৈরি করেছেন ঐ এলাকার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু নামের জনৈক ব্যাক্তি।
এই কথাগুলো এজন্যেই বলছি, যখন দেখি একটি আলিশান মসজিদের পাশের ফুটপাতেই গৃহহীন মানুষ খোলা আকাশের নিচে শুয়ে আছে তখন মনে হয় ধর্মের নামে মানুষ যেন অসহায় মানুষগুলোর সাথে নির্মম উপহাস করছে।
মসজিদকে কেন্দ্র করে সারা দেশব্যাপি চাঁদার নামে একধরনের ভিক্ষাবৃত্তি চালু হয়েছে। যেখানে চাঁদা গ্রহিতারা যদি শতভাগ সততার সাথেও আদায়কৃত চাঁদার টাকা মসজিদের তহবিলে জমা করেও থাকে সে ক্ষেত্রেও মসজিদ পায় ৩০ ভাগ বাকি ৭০ ভাগ নেয় চাঁদা আদায়কারীরা। অর্থাৎ এটাকেই তারা অবলীলায় পেশা হিসেবে গ্রহন করছে। আর যদি চাঁদা গ্রহিতা পূরো টাকাটাই মেরে দেয় সে ক্ষেত্রেও তাদের বাধা দেয়ার কেউ নেই। এ সবই সম্ভব হচ্ছে মসজিদকে দৃষ্টিনন্দন আলীশান করে গড়ে তোলার মানসে। এখানে কতটা পার্থিব স্বার্থ জড়িত আর কতটা মহান আল্লাহকে খুশি করতে সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ।
যখন কেউ আল্লাহার ঘর নির্মাণ করার জন্য আমার কাছে হাত পাতে তখন শয়তান আমার কানে কানে বলে যায়, মানুষ এতো ক্ষমতাহীন হয়েও নিজের ঘর নিজেই তৈরি করে আর আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান হয়েও নিজের জন্য একটা ঘর তুলতে নিকৃষ্ট মানুষের কাছে হাত পাততে হয়? মানুষের ৫/১০ টাকা দিয়ে শেষে আল্লাহার ঘর বানাতে হবে? আর আল্লাহ্ যেহেতু নিরাকার সেহেতু নিরাকার আল্লাহার ঘর কেনই বা প্রয়োজন? আল্লাহ্ কি সিকিউরিটি প্রবলেমে আছে নাকি রোদ বৃষ্টিতে রাস্তায় রাস্তায় আল্লাহার খুব কষ্ট হয় এই জন্য আল্লাহার ঘর বানাইতে হবে?
(উপরের বেশ কিছু অংশ এবং ছবি মোঃ গালিব মেহেদী খানের লেখা থেকে সংগ্রহ করে পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত করা)
No comments:
Post a Comment