গুটি গুটি পায়ে চলেই এসেছে শীত। আর শীত আসা মানেই ঠোঁট ফাটা। আর এর চাইতে বিব্রতকর সমস্যা বুঝি কমই আছে। না ভাল করে হাসা যায়, না ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করা যায়। আর দেখতে বাজে লাগাতো আছেই। তাই এখন থেকেই দরকার ঠোঁটের বিশেষ যত্ন। \
শীতের সময়ে রোজই ঘুম থেকে উঠে দেখবেন ঠোঁট শুকিয়ে কাঠ। কারো কারো ফেটে চৌচির। কোমল আর গোলাপি ঠোঁট দূরে থাক, রুক্ষ্ম আর ফাটা ঠোঁটে একটু আরাম পেতেই তখন নাজেহাল অবস্থা। কেন সকালে ফাটে ঠোঁট? কারণটা হলো যে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা আপনি ঘুমিয়ে কাটান, সেই দীর্ঘ সময়ে ঠোঁটের কোন যত্ন নেয়া হয় না। সারাদিন নাহয় বাড়তি খেয়াল রাখলেন, কিন্তু ঘুমের সময়টা তো অরক্ষিত হয়ে থাকে। ফলে স্বভাবতই শুকিয়ে রক্ষ্ম হয়ে ওঠে ত্বক ও ঠোঁট। আর তাই, এই সময়ে ঘুমোতে যাবার আগে
আসুন জেনে নেই কি করলে এই শীতেও আপনার ঠোঁট থাকবে কোমল ও সুন্দর।
- ১) শীতের রাতে আদ্রর্তার অভাবে ঠোঁট ফাটে। তাই এই সময়ে ঠোঁট একদমই শুকনো রাখা যাবে না। ঘুমোতে যাওয়ার আগে পুরু করে গ্লিসারিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি ঠোঁটে লাগাতে হবে। যেন বাকি রাত আদ্রর্তা বজায় থাকে।
- ২) ঠোঁট যতই শুকনো হয়ে যাক না কেন, জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো একদমই উচিত নয়। এমনকি ঘুমের ঘোরেও এই কাজ করবেন না। এতে করে ঠোঁট আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। যাদের খুব ঠোঁট ফাটে তারা বালিশের নিচে লিপবাম রাখুন।
- ৩) ঠোঁট বেশি রুক্ষ মনে হলে দিনে একবার গ্লিসারিনের সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে লাগাতে পারেন , রুক্ষ ভাব অনেকটাই কমে যাবে ।
- ৪) এই সময়ে ঠোঁটে কালো ছোপ ছোপ দাগ লক্ষ্য করা যায় যা দেখতে ভীষণ বাজে লাগে। গ্লিসারিন ও লেবুর রস নিয়মিত ঠোঁটে লাগালে এই কালো দাগ অনেকাংশেই কমে যায়। রাতের বেলা লিপবাম বা ভ্যাসেলিনের বদলে এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
No comments:
Post a Comment