লন্ডনে আফটারনুন টি, মানে বিকেলের চা সেবন৷ অথচ খাচ্ছেন ফরাসি চকোলেট কেক,
রীতিমতো পাটিসেরি-তে বসে৷ ব্যাপারটা কি বলুন তো? প্যারিসে এসে পড়লেন নাকি?
ফরাসি পাটিসেরি – মানে কেক বা প্যাস্ট্রির দোকান৷ চায়ের দোকানও বটে৷ কেননা
এই পাটিসেরি-টি লন্ডনে৷ চা-কেক খেতে হয় ‘বুটিক উইলিয়াম কার্লি' বা উইলিয়াম
কার্লির দোকানের বার-এ বসে৷ কার্লি স্বয়ং স্কটল্যান্ডের লোক৷ ব্রিটেন ও
ফ্রান্সের একাধিক নামি-দামি রেস্টুরেন্টে কাজ করেছেন, কেক ও চকোলেট
তৈরি করেছেন৷ ২০০৯ সালে তিনি লন্ডনে তাঁর নিজের দোকান খোলেন৷ কার্লি বলেন,
‘‘লোকের চোখের সামনে কাজ করতে আমার ভালো লাগে – যেমন সুশি বার-এ করা হয়৷
লোকে দেখতে পান, কীভাবে তাদের খাবার তৈরি করা হচ্ছে৷ আমি যা করছি,
মানুষজনকে তা দেখানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ টেবিলে বসে থাকলে, আপনি সেটা
দেখতে পাবেন না৷ আমরা চাই আর একটু খোলামেলা, মুক্ত জায়গা৷''
তৃতীয়: চকোলেটের মোড়ক৷ গলা চকোলেটের মধ্যে চকোলেটের চোকলা মেশালে বেশ কচমচে হয়৷ মাখা চকোলেট এবার প্লাস্টিক ফয়েলের ওপর বিছিয়ে দিতে হয়; তারপর ছাঁচে ফেলে, উনুনে না দিয়ে, ঘরের গরমেই শুকিয়ে নিতে হয়৷ সব ধরনের ছাঁচ ব্যবহার করা চলে৷ শেষ কাজ: কেকগুলোর জন্য মুস-ও-শোকোলা তৈরি করা৷ কিচেনে ফিরে এবার স্পঞ্জ ফিঙ্গার, মুস-ও-শোকোলা, জমানো ক্রিম ব্রুইয়ে আর রাম-এ ডোবানো কিশমিশ মিলিয়ে চকোলেট কেক তৈরি শেষ৷ শুধু খাওয়াটা বাকি৷
ব্রিটিশ আফটারনুন টি মানে জমানো ক্রিম দিয়ে স্কোন্স আর ছোট ছোট কেক ও স্যান্ডউইচ৷ তার সাথে চা৷ পরিবেশটা যেন কোনো সম্ভ্রান্ত হোটেলের লাউঞ্জ৷ উইলিয়াম কার্লি আফটারনুন টি-র একটি বিকল্প সৃষ্টি করেছেন৷ তাঁর বার-এ সারাদিনই ফরাসি কেক পাওয়া যায়৷ কার্লি বললেন, ‘‘আমি যা করার চেষ্টা করছি – শুধু আমি একাই নই, যুক্তরাজ্যে আরো কয়েকজন আছেন – ব্যাপারটা বেশ নতুন, বলা চলতে পারে৷ আমরা ব্রিটেনের বাজারে ফরাসি কেক-চকোলেট চালু করার চেষ্টা করছি৷
No comments:
Post a Comment