মাইক্রোসফট বাংলাদেশের শীর্ষ পদে আছেন তিনি। এর আগে ছিলেন ডেলের কান্ট্রি ম্যানেজার। তিনি সোনিয়া বশির কবির। সব সময় নেন নতুন চ্যালেঞ্জ। যেটা ভালো লাগে সেটা পরেন, সেটা করেন। উজ্জ্বল রং পছন্দ করেন। টক-ঝাল তাঁর প্রিয় খাবার।
‘কী আছে জীবনে!’ হাসতে হাসতে বললেন তিনি। মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির। ‘কতখানি ব্র্যান্ড সচেতন আপনি?’ ঢাকার বারিধারায় তাঁর বাসায় আলাপচারিতার শুরুতে প্রশ্ন ছিল এটাই। ‘পাঁচ টাকার দুল যদি কানে পরি, তাতে কী যায় আসে! আমার যা ভালো লাগে সেটাই করি, যা ভালো লাগে সেটাই পরি।’ জবাব সোনিয়ার।
ঝুঁকি যারা নেয় না, আমার মনে হয় তারা বাঁচেই না।’ ঘরের কোনায় একেবারে চুপচাপ নিরাপদ জীবন কাটিয়ে দেওয়াটা একেবারেই কোনো কাজের কথা নয়। ‘কী আছে জীবনে!’ সোনিয়া বশির কবিরের জীবনযাপনের মূলমন্ত্র এটাই।
একটা টাইমবোমা যেন টিকটিক করছে তাঁর ভেতরে। ‘তিন বছর’ জানালেন তিনি। এটাই নাকি তাঁর যেকোনো চাকরিতে তাঁর সর্বোচ্চ সময়সীমা। এরপরই বেরিয়ে পড়েন নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে। নতুন কাজ, নতুন পরিবেশ, নতুন ঝুঁকি টানে তাঁকে।
ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস। অফিসের পর নিজের বাড়িতে সময় দিলেন অধুনাকে। কালো প্যান্টস্যুট পরনে তাঁর, অফিসে এ ধরনের পোশাকই পরেন বলে জানালেন। ‘উজ্জ্বল রং পছন্দ করি। লাল, বেগুনি, হলুদ নানা রঙের জ্যাকেট পরি। আর কাজের বাইরে পার্টিতে সাধারণত শাড়ি।’ জানালেন সোনিয়া। আনুষ্ঠানিক পোশাকই বেশি পরা হয়, তবে প্রায় সবই দেশ থেকে সংগ্রহ করেন। ‘এখানে ফরমাল পোশাকের দোকান বেশি না থাকলেও আমাদের সেলাই কিন্তু সারা বিশ্বের মধ্যেই অন্যতম সেরা। কাপড় কিনে পোশাক বানিয়ে নিই এখান থেকে। আর আমার অনেক বন্ধু পোশাক ডিজাইন করেন। তাঁদের কাছ থেকেও নিই।’
সাজপোশাকের ব্যাপারে শৌখিন তিনি। পছন্দের পোশাক পরতে, মেকআপ করতে ভালোবাসেন। জামদানি শাড়ি পছন্দ তাঁর। টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির থেকেই কেনাকাটা করা হয় বেশি। ‘ল্যাকমে থেকে ল্যানকোম—সব ব্র্যান্ডই ব্যবহার করি। তবে কেনার আগে নিজেকে অন্তত তিনবার প্রশ্ন করি, এটা কি আসলেই লাগবে আমার? নইলে চাহিদার তো কোনো শেষ নেই।’
সকাল ছয়টায় দিন শুরু তাঁর। এক ঘণ্টা যোগব্যায়াম করেন ঘুম থেকে উঠেই। এরপর অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হন। ঢাকার যানজটে ভুগতে হয় না? ‘জ্যাম আমি ভালোবাসি।’ হ্যাঁ, যানজটের কথাই বলছেন তিনি। ‘জ্যামে বসে থাকার সময়টা কাজে লাগাই। গান শুনি,ফোন করে চেনা মানুষদের খোঁজ নেই, কত-কী করার আছে। সেই সময়টুকু তো আমার বাড়তি পাওনা।’ নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যেও ভালো কিছু বের করে আনাটা নিজের বড় একটা শক্তি বলেই মানেন তিনি। ‘নাইকির স্লোগানটা আছে না, জাস্ট ডু ইট! সেটাই মেনে চলি সব সময়। অভিযোগে সময় নষ্ট করে কী লাভ। সেই সময়টুকু বরং কাজ করি।’
বাদাম, বেদানা আর চিনি ছাড়া চা- বিকেলের নাশতা সারতে সারতে কথা বলছিলেন। খাওয়াদাওয়ার বেলায় একটু হিসেবি। ‘মিষ্টি তেমন পছন্দ করি না, টক আর ঝাল খুব প্রিয়।’ চটপটি আর ফুচকা আছে প্রিয় খাবারের তালিকায়। একসময়ে জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট আর ভলিবল দুটোই খেলেছেন। এখনো ছুটির দিনে গলফ খেলেন।
রান্নার শখ আছে তাঁর। ‘বিদেশে ছিলাম অনেক দিন। বিদেশি প্রায় সব রকম পদই রাঁধতে পারি। দেশি পদও করি। শুঁটকি পোলাও খেয়েছেন? পোলাও রেঁধে তাতে শুঁটকি আর কাঁচা মরিচ ও নানা মসলা দিয়ে বানাই।’ বললেন তিনি।
দুই সন্তান ইলহান বশির কবির ও সিয়েনা বশির কবির বিদেশে পড়াশোনা করছেন। স্বামী ইহতেশাম কবির ব্যবসায়ী, আলোকচিত্রীও।
ঝুঁকি নিয়ে বাঁচাটাই তো জীবন, তবে তাতে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা কি নেই? আছে, সেই ব্যর্থতার কথা স্বীকারও করলেন। ‘দেশে ফিরে ভাইয়ের সঙ্গে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান খুলেছিলাম। সেটা বেশ ভালোই চলছে এখনো। কিন্তু আমি সেই কাজটা উপভোগ করতে পারিনি। নিজেকে চিনতে আমার ভুল হয়েছিল। সেটাকে আমি ব্যর্থতা বলেই মানি।’
জীবনের শেষদিনটাও যেন কাজের মধ্যেই কাটে এমনই চান তিনি। ‘এখনো তো অন্যের প্রতিষ্ঠানেই কাজ করছি। দেশের জন্য, নিজের জন্য কিছু একটা করতে চাই।’ নিজেকে চ্যালেঞ্জও দেওয়া আছে সোনিয়া বশির কবিরের।
‘কী আছে জীবনে!’ হাসতে হাসতে বললেন তিনি। মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির। ‘কতখানি ব্র্যান্ড সচেতন আপনি?’ ঢাকার বারিধারায় তাঁর বাসায় আলাপচারিতার শুরুতে প্রশ্ন ছিল এটাই। ‘পাঁচ টাকার দুল যদি কানে পরি, তাতে কী যায় আসে! আমার যা ভালো লাগে সেটাই করি, যা ভালো লাগে সেটাই পরি।’ জবাব সোনিয়ার।
ঝুঁকি যারা নেয় না, আমার মনে হয় তারা বাঁচেই না।’ ঘরের কোনায় একেবারে চুপচাপ নিরাপদ জীবন কাটিয়ে দেওয়াটা একেবারেই কোনো কাজের কথা নয়। ‘কী আছে জীবনে!’ সোনিয়া বশির কবিরের জীবনযাপনের মূলমন্ত্র এটাই।
একটা টাইমবোমা যেন টিকটিক করছে তাঁর ভেতরে। ‘তিন বছর’ জানালেন তিনি। এটাই নাকি তাঁর যেকোনো চাকরিতে তাঁর সর্বোচ্চ সময়সীমা। এরপরই বেরিয়ে পড়েন নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে। নতুন কাজ, নতুন পরিবেশ, নতুন ঝুঁকি টানে তাঁকে।
ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস। অফিসের পর নিজের বাড়িতে সময় দিলেন অধুনাকে। কালো প্যান্টস্যুট পরনে তাঁর, অফিসে এ ধরনের পোশাকই পরেন বলে জানালেন। ‘উজ্জ্বল রং পছন্দ করি। লাল, বেগুনি, হলুদ নানা রঙের জ্যাকেট পরি। আর কাজের বাইরে পার্টিতে সাধারণত শাড়ি।’ জানালেন সোনিয়া। আনুষ্ঠানিক পোশাকই বেশি পরা হয়, তবে প্রায় সবই দেশ থেকে সংগ্রহ করেন। ‘এখানে ফরমাল পোশাকের দোকান বেশি না থাকলেও আমাদের সেলাই কিন্তু সারা বিশ্বের মধ্যেই অন্যতম সেরা। কাপড় কিনে পোশাক বানিয়ে নিই এখান থেকে। আর আমার অনেক বন্ধু পোশাক ডিজাইন করেন। তাঁদের কাছ থেকেও নিই।’
সাজপোশাকের ব্যাপারে শৌখিন তিনি। পছন্দের পোশাক পরতে, মেকআপ করতে ভালোবাসেন। জামদানি শাড়ি পছন্দ তাঁর। টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির থেকেই কেনাকাটা করা হয় বেশি। ‘ল্যাকমে থেকে ল্যানকোম—সব ব্র্যান্ডই ব্যবহার করি। তবে কেনার আগে নিজেকে অন্তত তিনবার প্রশ্ন করি, এটা কি আসলেই লাগবে আমার? নইলে চাহিদার তো কোনো শেষ নেই।’
সকাল ছয়টায় দিন শুরু তাঁর। এক ঘণ্টা যোগব্যায়াম করেন ঘুম থেকে উঠেই। এরপর অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হন। ঢাকার যানজটে ভুগতে হয় না? ‘জ্যাম আমি ভালোবাসি।’ হ্যাঁ, যানজটের কথাই বলছেন তিনি। ‘জ্যামে বসে থাকার সময়টা কাজে লাগাই। গান শুনি,ফোন করে চেনা মানুষদের খোঁজ নেই, কত-কী করার আছে। সেই সময়টুকু তো আমার বাড়তি পাওনা।’ নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যেও ভালো কিছু বের করে আনাটা নিজের বড় একটা শক্তি বলেই মানেন তিনি। ‘নাইকির স্লোগানটা আছে না, জাস্ট ডু ইট! সেটাই মেনে চলি সব সময়। অভিযোগে সময় নষ্ট করে কী লাভ। সেই সময়টুকু বরং কাজ করি।’
বাদাম, বেদানা আর চিনি ছাড়া চা- বিকেলের নাশতা সারতে সারতে কথা বলছিলেন। খাওয়াদাওয়ার বেলায় একটু হিসেবি। ‘মিষ্টি তেমন পছন্দ করি না, টক আর ঝাল খুব প্রিয়।’ চটপটি আর ফুচকা আছে প্রিয় খাবারের তালিকায়। একসময়ে জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট আর ভলিবল দুটোই খেলেছেন। এখনো ছুটির দিনে গলফ খেলেন।
রান্নার শখ আছে তাঁর। ‘বিদেশে ছিলাম অনেক দিন। বিদেশি প্রায় সব রকম পদই রাঁধতে পারি। দেশি পদও করি। শুঁটকি পোলাও খেয়েছেন? পোলাও রেঁধে তাতে শুঁটকি আর কাঁচা মরিচ ও নানা মসলা দিয়ে বানাই।’ বললেন তিনি।
দুই সন্তান ইলহান বশির কবির ও সিয়েনা বশির কবির বিদেশে পড়াশোনা করছেন। স্বামী ইহতেশাম কবির ব্যবসায়ী, আলোকচিত্রীও।
ঝুঁকি নিয়ে বাঁচাটাই তো জীবন, তবে তাতে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা কি নেই? আছে, সেই ব্যর্থতার কথা স্বীকারও করলেন। ‘দেশে ফিরে ভাইয়ের সঙ্গে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান খুলেছিলাম। সেটা বেশ ভালোই চলছে এখনো। কিন্তু আমি সেই কাজটা উপভোগ করতে পারিনি। নিজেকে চিনতে আমার ভুল হয়েছিল। সেটাকে আমি ব্যর্থতা বলেই মানি।’
জীবনের শেষদিনটাও যেন কাজের মধ্যেই কাটে এমনই চান তিনি। ‘এখনো তো অন্যের প্রতিষ্ঠানেই কাজ করছি। দেশের জন্য, নিজের জন্য কিছু একটা করতে চাই।’ নিজেকে চ্যালেঞ্জও দেওয়া আছে সোনিয়া বশির কবিরের।
No comments:
Post a Comment