মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে জ্ঞান-বুদ্ধি,বিবেক-বিশ্বাস, নৈতিকতার ভিত্তিতেই সৃষ্টির সেরা বা আশরাফুল মাখলুকাত এর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন। তাই মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয়ই মানুষ সামাজিক ও নৈতিক জীব। সুখ, শান্তি, তৃপ্তি ও নিশ্চিন্ততা এবং নিরবচ্ছিন্ন আনন্দ লাভই হচ্ছে মানব জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য, মানব মনের ঐকান্তিক কামনা ও বাসনা। এদিক দিয়ে নারী পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। মানব জাতির সৃষ্টির মধ্যে এরাও একটি উদ্দেশ্য এই যে, নারী-পুরুষ জাতি মিলে একটি পরিবার গঠন করবে এবং তার থেকে একটি সভ্যতার বুনিয়াদ প্রতিষ্ঠিত হবে।
এই জন্যেই নারী-পুরুষকে ভিন্ন রূপে সৃষ্টি করেছেন। তাদের মধ্যে পারস্পরিক যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের দৈহিক গঠন ও মনস্তাত্মিক বিন্যাসকে পারস্পরিক ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যেই দাম্পত্য জীবনকে পুরোপুরি উপযোগী করে দেয়া হয়েছে। ইসলাম এমনি এক দাম্পত্য জীবনের নিশ্চয়তা দেয় যেখানে রয়েছে প্রেম-প্রীতি, স্নেহ-মমতা, ভক্তি ভালবাসায় ভরপুর সুন্দর পরিবেশ। ইসলামের দাম্পত্য বিধান এমনই এক আইন বিধান যা সামাজিক বিধান সমূহের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধিক প্রভাব বিস্তারকারী। ইসলামে এ বিধানের মৌলিক গুরুত্বের দিকে লক্ষ্য রেখে তা অন্তত নির্ভুল বুনিয়াদের উপর রচনা করা হয়েছে। এবং মুসলমানরা দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের দ্বীনের মধ্যে একটি উত্তম, পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ বিধান লাভ করেছিল। এবং তা যে কোন দিক দিয়ে পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মের দাম্পত্য বিধানের তুলনায় নিঃসন্দেহে উত্তম বলা যেতে পারে। ইসলামে দাম্পত্য সম্পর্ক এমন সামাজিকতা ও উত্তম নৈতিক আচরণের সর্বোৎকৃষ্ট নমুনা।
ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে
একজন নারী ও একজন পুরুষ তাদের মধ্যে পরস্পরে যৌন আকর্ষণের যে দাবী তা পূরণের জন্যে আল্লাহ সৃষ্ট যে বিধান সেটাই বিবাহ। ইসলামে নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্যে বিবাহ হচ্ছে একমাত্র বৈধ উপায়। এবং সামাজিক সাংবিধানিক স্কীকৃত একমাত্র বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা। যার ফলে নারী পুরুষের একত্রে বসবাস ও পরস্পরে যৌন সম্পর্ক স্থাপন সম্পূর্ণরূপে বৈধ হয়ে যায়। বিবাহ ছাড়া অন্য কোন পন্থায় নারী পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থপন ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নারী পুরুষ সৃষ্টি যত পুরাতন,বিবাহ ব্যবস্থাটিও তত পুরাতন এক মানবিক ব্যবস্থা একজন নারী ও একজন পুরুষ বিবাহ সুত্রে আবদ্ধ হয়ে সুশৃংখল ও সুষ্ঠু জীবন যাপনকেই বলা হয় দাম্পত্য জীবন।
একজন নারী ও একজন পুরুষ তাদের মধ্যে পরস্পরে যৌন আকর্ষণের যে দাবী তা পূরণের জন্যে আল্লাহ সৃষ্ট যে বিধান সেটাই বিবাহ। ইসলামে নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্যে বিবাহ হচ্ছে একমাত্র বৈধ উপায়। এবং সামাজিক সাংবিধানিক স্কীকৃত একমাত্র বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা। যার ফলে নারী পুরুষের একত্রে বসবাস ও পরস্পরে যৌন সম্পর্ক স্থাপন সম্পূর্ণরূপে বৈধ হয়ে যায়। বিবাহ ছাড়া অন্য কোন পন্থায় নারী পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থপন ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নারী পুরুষ সৃষ্টি যত পুরাতন,বিবাহ ব্যবস্থাটিও তত পুরাতন এক মানবিক ব্যবস্থা একজন নারী ও একজন পুরুষ বিবাহ সুত্রে আবদ্ধ হয়ে সুশৃংখল ও সুষ্ঠু জীবন যাপনকেই বলা হয় দাম্পত্য জীবন।
দাম্পত্য জীবনের উদ্দেশ্য
ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিটি নারী-পুরুষের বিবাহের বয়স হলে তাদের জন্যে অপরিহার্য কর্তব্য হচ্ছে বিবাহ সুত্রে আবদ্ধ হয়ে দাম্পত্য জীবন-যাপন করা। একমাত্র বিয়ের মাধ্যমেই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন সম্ভব, তেমনিভাবে যৌন মিলনের স্বাভাবিক অদম্য ও অনিবার্য স্পৃহা সঠিকভাবে পূরণ হতে পারে কেবল মাত্র এই পন্থায় আল্লাহ পাক দাম্পত্য জীবনের এই ব্যবস্থাপনা এজন্যেই করেছেন যে,নারী পুরুষ উভয়ই পরস্পরের নিকট পরম শান্তি, তৃপ্তি ও স্বস্তি লাভ করবে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক পবিত্র আল কুরআনের সুরা আরাফে বলেন,“এবং উহারই সত্তা হইতে উহার জুড়ি বানাইয়াছেন যেন উহার নিকট পরম শান্তি ও স্থিতি লাভ করতে পারে”।(সুরা আরাফ-১৮৯)।
ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিটি নারী-পুরুষের বিবাহের বয়স হলে তাদের জন্যে অপরিহার্য কর্তব্য হচ্ছে বিবাহ সুত্রে আবদ্ধ হয়ে দাম্পত্য জীবন-যাপন করা। একমাত্র বিয়ের মাধ্যমেই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন সম্ভব, তেমনিভাবে যৌন মিলনের স্বাভাবিক অদম্য ও অনিবার্য স্পৃহা সঠিকভাবে পূরণ হতে পারে কেবল মাত্র এই পন্থায় আল্লাহ পাক দাম্পত্য জীবনের এই ব্যবস্থাপনা এজন্যেই করেছেন যে,নারী পুরুষ উভয়ই পরস্পরের নিকট পরম শান্তি, তৃপ্তি ও স্বস্তি লাভ করবে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক পবিত্র আল কুরআনের সুরা আরাফে বলেন,“এবং উহারই সত্তা হইতে উহার জুড়ি বানাইয়াছেন যেন উহার নিকট পরম শান্তি ও স্থিতি লাভ করতে পারে”।(সুরা আরাফ-১৮৯)।
এ আয়াত থেকে বুঝা গেল, স্ত্রী পুরুষের জন্যে এবং পুরুষ স্ত্রীর জন্যে শান্তি স্বরূপ। এর মাধ্যমে একদিকে মানব বংশ সংরক্ষণ এবং মানবীয় সভ্যতা ও তমদ্দুন সৃষ্টির ব্যবস্থা করেছেন। এই ব্যবস্থাপনা যদি না করতেন তাহলে মানব বংশ গরু-ছাগলের মতো সমাজে বৃদ্ধি পেতো। ইহার মাধ্যমে কোন সভ্যতা গড়ে উঠার কল্পনা করা যেত না। তাই আল্লাহ পাক নারী পুরুষের পরস্পর তারা পরস্পরের প্রতি কামনা-বাসনা ও উদ্যম, ব্যাগ্রতা, ব্যাকুলতার এক পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন, যেন একে অপরের সাথে লাভের পিপাসাই তাদেরকে পরিবার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাধ্য করে। এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই মানব সভ্যতা গড়ে উঠা সম্ভব।
দাম্পত্য জীবনের মৌলিক ভিত্তি
আল্লাহ পাক বিনা উদ্দেশ্যেই বিয়ে এবং দাম্পত্য জীবনের এ ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করেননি। তিনি তাঁর আপন ইচ্ছায় এই ব্যবস্থাপনা করেছেন। ইসলাম যেনাকে হারাম ঘোষণা করেছে এবং নারী-পুরুষের চরিত্রকে অশ্লীলতা ও নির্লজ্জতা থেকে এবং সমাজকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য দাম্পত্য জীবনের এই ব্যবস্থাপনা করে রেখেছেন। আল্লাহ পাক দাম্পত্য জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের মৌলিক দুটি দিকের বর্ণনা করেছেন। সুরা আর রূমের মধ্যে তিনি বলেন-“তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে ইহাও একটি যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদেরই জাতির মধ্য হইতে স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাদের নিকট পরম প্রশান্তি লাভ করতে পারো। আর তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও স্বহৃদয়তার সৃষ্টি করে দিয়েছেন”। (রূম-২১) এ আয়াত থেকে দাম্পত্য জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের মৌলিক দুটি দিক পাওয়া যায়। (১) নৈতিক চরিত্র ও সতীত্বের হেফাজত। (২) ভালবাসা ও আন্তরিকতা।
আল্লাহ পাক বিনা উদ্দেশ্যেই বিয়ে এবং দাম্পত্য জীবনের এ ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করেননি। তিনি তাঁর আপন ইচ্ছায় এই ব্যবস্থাপনা করেছেন। ইসলাম যেনাকে হারাম ঘোষণা করেছে এবং নারী-পুরুষের চরিত্রকে অশ্লীলতা ও নির্লজ্জতা থেকে এবং সমাজকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য দাম্পত্য জীবনের এই ব্যবস্থাপনা করে রেখেছেন। আল্লাহ পাক দাম্পত্য জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের মৌলিক দুটি দিকের বর্ণনা করেছেন। সুরা আর রূমের মধ্যে তিনি বলেন-“তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে ইহাও একটি যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদেরই জাতির মধ্য হইতে স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাদের নিকট পরম প্রশান্তি লাভ করতে পারো। আর তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও স্বহৃদয়তার সৃষ্টি করে দিয়েছেন”। (রূম-২১) এ আয়াত থেকে দাম্পত্য জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের মৌলিক দুটি দিক পাওয়া যায়। (১) নৈতিক চরিত্র ও সতীত্বের হেফাজত। (২) ভালবাসা ও আন্তরিকতা।
No comments:
Post a Comment