জীবন কী আর্কিমিডিসের সূত্র ?
শৈশবের সাথে যৌবনের অবিচ্ছেদ্য সমীকরণ ;
বিয়োজিত কিছু সময় কালের গর্ভে হারালেও
পিঁপড়ের মত সারিবদ্ধ অতীত এসে ভাবায় ।
কত করে মুখস্থ করা কবিতা
কবির কঠিন যুক্তবর্ণের নাম ধাম -
এমন কী দাঁড়ি, কমা, হাইপেন পর্যন্ত !
ক্রমে শরীরের কোষ বিভাজনে গাঠনিক বৃদ্ধি ,
অথবা মাথার খুলির সাথে সামন্জ্ঞস্য রাখা মগজ ;
কিছুই স্মৃতিতে পুরদস্তুর ধরে রাখতে কী পারলো ?
ঘন্টার পর ঘন্টা জোরপূর্বক গিলে খাওয়া অখাদ্যের মত
পীথাগোরাসের দানবীয় চিত্রসমেত দুর্বোধ্য সেই উপপাদ্য ,
নিউটনের ত্রেসূত্র , বেরসিক আইনস্টাইনের ই সমান এম সি স্কোয়ার ;
আমার কর্মে ধর্মে কিছুতেই প্রয়োগ হলো না ।
সাময়ীকী , বার্ষিকীতে গণিতে নম্বর নব্বই থেকে শ্ִ এর ঘরে -
প্রিয় শিক্ষক আমার পিট চাপড়ে দিতেন আনন্দে সাবাস !
অথচ পরবর্তী বাস্তবতার গণিতে কতবার শূন্য পেয়ে
মুখ ঢেকেছি ঘরে ফিরে বউয়ের রঙিন শাড়ির আঁচলে !
আমি কী শিখেছিলাম সাস্থবান পাঠ্যবইয়ের পাতা উল্টে উল্টে -
লাইব্রেরীর হাজার বইয়ের ভেতর উঁইপোকাদের মত ফুঁড়ে ফুঁড়ে ?
সেই ভালো চোখে চশমার ফ্রেম দেখে দেখে ক্ষীনদৃষ্টরে
ভাবতাম মহাজ্ঞানী বুঝি সে কিংবা পন্ডিত্য ভরপুর ।
দূরন্ত এক ইচ্ছে পাখির ডানায় ভর করে উড়েছিলাম
প্রতি শুক্রবারের বিটিভির একমাত্র বিনোদন বাঙলা সিনেমায় -
নায়ক আর নায়িকার নির্ধারিত ধাক্কা আর প্রেমালাপের বিলম্ভহীন গানে
হারিয়ে যেতে যেতে জীবনের লক্ষ স্থির করতাম নায়ক হবো !
কিছুই ভালো লাগতো না বলেই বয়ঃসন্ধিতে সদ্য আবেগ স্রোতে
পাশের বাড়ির মেয়েটার প্রতি টান অনুভব আর পকেটে রাখা গোলাপ ;
সদ্য ফ্যাশানের হাতেখড়িতে হলুদ রুমাল পেঁচিয়ে নিয়ে হাতে -
বাকের ভাইয়ের অবিকল পাড়ার চা দোকানের সামনে প্রভাব বিস্তার !
গলা ছেড়ে আধুনিক গানের ভুলভাল কয়েকটা লাইন আওড়ানো
আর বড় ধূরন্ধুর মুরব্বী সম্মূখে হ্যাবলা হাবভাবের চাতুরীতে ,
গর্ধব নামের উদ্ভট প্রানীর নাম আমার সাথে যেত না কিছুতেই
জীবন যেখানে জমিদার বাড়ির চিনিয়া গাছের আমের মতই মিষ্টি !
পরিপূর্ণ পুরুষালি গন্ধ দানা বেঁধে উঠার আগেই
দরজার নিচে সাঁঝসকালে পত্রিকার সাথে চিঠিও আসতো ফ্রী !
গোটা গোটা কাঁচা হাতের অক্ষরে প্রণয়ের আমন্ত্রনে সাড়া চেয়ে
ব্যাচেলরের কাছে আসা কাগজটাকে আবেদনপত্র বলাই বাহুল্য বোধ করি ।
বহু তদন্তে উদ্ধার পায় নতুন ভাড়াটিয়ের কচি মেয়েটার ভিমরতি !
বছর দুয়েকের সেই মুখের মায়ায় ঝাপ দেওয়া কাঙাল আমি !
পুড়ে অঙার হয়ে নিজের পৌরষত্বে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে
শেষ হয়েছিল বিরহকে অতিথি করে আনার কলঙ্কিত অধ্যায় !
আদতে পৃথিবীতে প্রেম আছে কী নেই সে বিষয়ে আমি অনিশ্চিত ।
বারান্দায় আড়াল দিয়ে যে সিমেন্টের পাহাড় চড়েছে আকাশে
একটা শিমুল গাছের তলায় একতলা টিনের ঘর ছিলো ওখানে ;
একটা বিধবার নিঃসঙ্গ জীবনের গল্প ফুটে উঠতো শিমুল ফুলে
শাদা শাড়িটা শরতের শাদা মেঘ হয়ে উড়ে গেলো !
চাকুরীজীবী তাই বেতন ছেঁকে ছুঁকে দু-চার পয়সা সঞ্চয় -
টানাপোড়নে কতবার নিরাশে আত্মবলিতে ঝুকে যাওয়া আমাতে
বিধবার টিকে থাকার যুদ্ধই আমার অনুপ্রেরণা আর শিক্ষা
থামার উপক্রম ট্রেনটাকে দম দিয়ে ছুটিয়েছি গন্তব্যে ।
শৈশবের সাথে যৌবনের অবিচ্ছেদ্য সমীকরণ ;
বিয়োজিত কিছু সময় কালের গর্ভে হারালেও
পিঁপড়ের মত সারিবদ্ধ অতীত এসে ভাবায় ।
কত করে মুখস্থ করা কবিতা
কবির কঠিন যুক্তবর্ণের নাম ধাম -
এমন কী দাঁড়ি, কমা, হাইপেন পর্যন্ত !
ক্রমে শরীরের কোষ বিভাজনে গাঠনিক বৃদ্ধি ,
অথবা মাথার খুলির সাথে সামন্জ্ঞস্য রাখা মগজ ;
কিছুই স্মৃতিতে পুরদস্তুর ধরে রাখতে কী পারলো ?
ঘন্টার পর ঘন্টা জোরপূর্বক গিলে খাওয়া অখাদ্যের মত
পীথাগোরাসের দানবীয় চিত্রসমেত দুর্বোধ্য সেই উপপাদ্য ,
নিউটনের ত্রেসূত্র , বেরসিক আইনস্টাইনের ই সমান এম সি স্কোয়ার ;
আমার কর্মে ধর্মে কিছুতেই প্রয়োগ হলো না ।
সাময়ীকী , বার্ষিকীতে গণিতে নম্বর নব্বই থেকে শ্ִ এর ঘরে -
প্রিয় শিক্ষক আমার পিট চাপড়ে দিতেন আনন্দে সাবাস !
অথচ পরবর্তী বাস্তবতার গণিতে কতবার শূন্য পেয়ে
মুখ ঢেকেছি ঘরে ফিরে বউয়ের রঙিন শাড়ির আঁচলে !
আমি কী শিখেছিলাম সাস্থবান পাঠ্যবইয়ের পাতা উল্টে উল্টে -
লাইব্রেরীর হাজার বইয়ের ভেতর উঁইপোকাদের মত ফুঁড়ে ফুঁড়ে ?
সেই ভালো চোখে চশমার ফ্রেম দেখে দেখে ক্ষীনদৃষ্টরে
ভাবতাম মহাজ্ঞানী বুঝি সে কিংবা পন্ডিত্য ভরপুর ।
দূরন্ত এক ইচ্ছে পাখির ডানায় ভর করে উড়েছিলাম
প্রতি শুক্রবারের বিটিভির একমাত্র বিনোদন বাঙলা সিনেমায় -
নায়ক আর নায়িকার নির্ধারিত ধাক্কা আর প্রেমালাপের বিলম্ভহীন গানে
হারিয়ে যেতে যেতে জীবনের লক্ষ স্থির করতাম নায়ক হবো !
কিছুই ভালো লাগতো না বলেই বয়ঃসন্ধিতে সদ্য আবেগ স্রোতে
পাশের বাড়ির মেয়েটার প্রতি টান অনুভব আর পকেটে রাখা গোলাপ ;
সদ্য ফ্যাশানের হাতেখড়িতে হলুদ রুমাল পেঁচিয়ে নিয়ে হাতে -
বাকের ভাইয়ের অবিকল পাড়ার চা দোকানের সামনে প্রভাব বিস্তার !
গলা ছেড়ে আধুনিক গানের ভুলভাল কয়েকটা লাইন আওড়ানো
আর বড় ধূরন্ধুর মুরব্বী সম্মূখে হ্যাবলা হাবভাবের চাতুরীতে ,
গর্ধব নামের উদ্ভট প্রানীর নাম আমার সাথে যেত না কিছুতেই
জীবন যেখানে জমিদার বাড়ির চিনিয়া গাছের আমের মতই মিষ্টি !
পরিপূর্ণ পুরুষালি গন্ধ দানা বেঁধে উঠার আগেই
দরজার নিচে সাঁঝসকালে পত্রিকার সাথে চিঠিও আসতো ফ্রী !
গোটা গোটা কাঁচা হাতের অক্ষরে প্রণয়ের আমন্ত্রনে সাড়া চেয়ে
ব্যাচেলরের কাছে আসা কাগজটাকে আবেদনপত্র বলাই বাহুল্য বোধ করি ।
বহু তদন্তে উদ্ধার পায় নতুন ভাড়াটিয়ের কচি মেয়েটার ভিমরতি !
বছর দুয়েকের সেই মুখের মায়ায় ঝাপ দেওয়া কাঙাল আমি !
পুড়ে অঙার হয়ে নিজের পৌরষত্বে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে
শেষ হয়েছিল বিরহকে অতিথি করে আনার কলঙ্কিত অধ্যায় !
আদতে পৃথিবীতে প্রেম আছে কী নেই সে বিষয়ে আমি অনিশ্চিত ।
বারান্দায় আড়াল দিয়ে যে সিমেন্টের পাহাড় চড়েছে আকাশে
একটা শিমুল গাছের তলায় একতলা টিনের ঘর ছিলো ওখানে ;
একটা বিধবার নিঃসঙ্গ জীবনের গল্প ফুটে উঠতো শিমুল ফুলে
শাদা শাড়িটা শরতের শাদা মেঘ হয়ে উড়ে গেলো !
চাকুরীজীবী তাই বেতন ছেঁকে ছুঁকে দু-চার পয়সা সঞ্চয় -
টানাপোড়নে কতবার নিরাশে আত্মবলিতে ঝুকে যাওয়া আমাতে
বিধবার টিকে থাকার যুদ্ধই আমার অনুপ্রেরণা আর শিক্ষা
থামার উপক্রম ট্রেনটাকে দম দিয়ে ছুটিয়েছি গন্তব্যে ।
No comments:
Post a Comment