Pages

Tuesday, October 31, 2017

আলেমদের আশ্চর্য কিছু বাস্তব গুন...😒

*আলেমরা কখনো নেশা করে না।
* কোন আলেম যৌতুক নিয়ে বিয়ে করে না।
*আলেমদের কখনও ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাতে হয় না।
*আলেমদের দাম্পত্য জীবন সবচেয়ে সুখের।
 * প্রথম প্রথম অতি আধুনিক কোন কোন মেয়ে, আলেম দেখে নাক সিঁটকালেও আলেমদের সাথে বিয়ে হলে বিয়ের পরে তারা নিজেদের সৌভাগ্যবতী ভাবে!
* বাংলাদেশের লাল দালানগুলোতে
কোন সামাজিক অপরাধের কারণে
আলেমদের ঢুকতে হয়না।
* কোন আলেম কখনো আত্মহত্যা করেনি।
* কোন আলেম অনাহারে দিন কাঁটায়
না।
* কোন আলেম নারী নির্যাতনের মামলায়
জড়িত নয়।
* আধুনিকরা যতই তাদেরকে ঘৃণা করুক না
কেন..?

★জন্ম, মৃত্যু, বিয়ের সময় তাদেরই শরণাপন্ন হতেই
হয়..!!

এই আলেমরা পৃথিবীর
সবচেয়ে সম্মানিত
মানুষ।।

Collected by FB

Monday, October 30, 2017

ওযু করার সময় যে চার টি কাজ আপনাকে অবশ্যই করতে হবে।

ওযুর চার ফরয :

১. সমস্ত মুখমন্ডল কপালের উপরিভাগের চুলের গোড়া হইতে থুতনী পর্যন্ত, এক কর্নের লতি থেকে অন্য কর্নের লতি পর্যন্ত ধৌত করা।
২.উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করা।
৩.চারভাগের একভাগ মাথা মাসেহ করা ( ঘন দাঁড়ি থাকিলে আঙ্গুলী দ্বারা খেলাল করা ফরয )।
৪.উভয় পা টাখনু গিরা সহকারে ধৌত করা ।
                                               #অযুর_দোয়া 
বাংলা উচ্চারণঃ ( আলহামদুলিল্লাহি আলা দ্বীন-ই ইসলাম, আলইসলামু-হাক্কু, ওল কুফরে বাতীলুন, ওল ইসলামু নূরুন, ওল কুফরে জুল্বমাত )

ওযুর ১৪টি সুন্নাত

১.নিয়ত করা।২.বিসমিল্লাহ্‌ বলে ওযু শুরু করা।।৩.হাতের আঙ্গুল খিলাল করা।।৪.উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করা।।৫.মিসওয়াক করা।।৬.তিনবার কুলি করা।।৭.তিনবার নাকে পানি দেয়া।।৮.সম্পূর্ন মুখ মন্ডল তিনবার ধৌত করা।।৯.উভয় হাতের কনুইসহ তিনবার ধৌত করা।।১০.সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা।।১১.টাখনু সহ উভয় পা তিবার ধৌত করা।।১২.পায়ের আঙ্গুল খিলাল করা।।১৩.এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।।১৪.ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওযুর কাজ গুলো সম্পূর্ন করা।

Sunday, October 29, 2017

একনজরে জনক


বিভিন্ন বিষয়ের জনকঃ
*বাংলা গদ্যের জনক –ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
*বাংলা উপন্যাসের জনক –বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
*বাংলা সনেটের জনক – মাইকেল মধুসুধন দত্ত
*আধুনিক বাংলা নাটকের জনক –মাইকেল মধুসুধন দত্ত
*বাংলা ছোট গল্প ,গদ্যছন্দ , মুক্তক ছন্দের জনক –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
*ইংরেজি উপন্যাসের জনক –হেনরি ফিল্ডিং
*ইংরেজি গদ্যের জনক –ফ্রান্সিস বেকন
*আধুনিক ইংরেজি কবিতার জনক –জিওফ্রে সসার
*আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের জনক –জর্জ বার্নার্ড শ
*সনেটের জনক –পেত্রাক
*রুশসাহিত্যের জনক –ম্যাক্সিম গোর্কি
*রুশ সনেটের জনক –আলেকজান্ডার পুশকিন
*পদার্থ বিজ্ঞানের জনক –আইজ্যাক নিউটন
*রসায়ন বিজ্ঞানের জনক –ইবনে হাইয়ান
*আধুনিক রসায়ন বিজ্ঞানের জনক –ল্যাভয়সিয়ে
*জীববিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞান এর জনক –এরিস্টটল
*উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জনক –থিওফ্রাসটাস
*বংশগতি বিদ্যার জনক –গ্রেগর জোহান মেন্ডেল
*জ্যামিতির জনক –ইউক্লিড
*পর্যায় সারনির জনক –মেন্ডেলিফ
*পারমানবিক বোমার জনক –ওপেন হাইমার
*তেজস্ক্রিয়তার জনক –হেনরি বেকরেল
*আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের জনক –আলবার্ট আইনস্টাইন
*বীজগনিতের জনক –আল খারিজমি
*স্থিতি বিদ্যার জনক –আর্কিমিডিস
*গতি বিদ্যার জনক –গ্যালিলিও
*বিবর্তন বিদ্যার জনক –চার্লস রবার্ট ডারউইন
*রক্তসংবহন বিদ্যার জনক –উইলিয়াম হার্বে
*হাইড্রোজেন বোমার জনক –অ্যাডওয়ার্ড টেলর
*কম্পিউটারের জনক –চার্লস ব্যাবেজ
*ই মেইল এর জনক –রে টমলিনসন
*লেজার এর জনক –মেইম্যান
*এনিমেশনের জনক –ডিজনি
*www এর জনক –টিম বার্ণাস লি
*হোমিও শাস্ত্রের জনক –ড.স্যামুয়েল হ্যানিম্যান
*টেস্ট টিউব বেবির জনক –আর জে এডওয়ার্ড
*মনোবিজ্ঞানের জনক –উইলিয়াম উন্ড
*দর্শনের জনক –থেলিস
*রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক –এরিস্টটল
*আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক –ম্যকিয়াভেলী
*গনতন্ত্রের জনক –এরিস্টটল
*আধুনিক গনতন্ত্রের জনক –জন লক
*আমলাতন্ত্রের জনক –ম্যাক্স ওয়েবার
*গ্লোবাল ভিলেজ ধারনার জনক কে –মার্শাল ম্যাকলুহান
*আধুনিক অর্থনীতির জনক –পল স্যামুয়েলসন
*অর্থনীতির জনক –এডাম স্মিথ
*ইসলামের ইতিহাসের জনক –আল মাসুদী
*ইতিহাসের জনক –হেরোডোটাস
*ভুগোলের জনক –ইরাটসথেনিস
*ব্যবস্থাপনার জনক –পিটার ড্রুকার
*আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক –লিলিয়ান মিলার গিলবার্থ
*বিজ্ঞানের জনক –থেলিস
*আধুনিক বিজ্ঞানের জনক –রজার বেকন
*জীবানু বিজ্ঞানের জনক- লিয়েনহুক
*অলিম্পিকের জনক –ব্যারন পিয়েরে দ্য কুবার্তে
*আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার জনক –লর্ড মেকলে
*সমাজ বিজ্ঞানের জনক –অগাস্ট কোত্
*সমাজ কর্মের জনক –জন অ্যাডামস
*কমিউনিজমের জনক –কার্ল মার্কস
*ফ্যাসিজমের জনক –মুসোলীনি

Collected.
Safaet

Saturday, October 28, 2017

বাস্তব থেকে নেওয়া!

১। অনেক ব্যথা লুকিয়ে থাকে এই কথায় ☞ "ঠিক
আছে,, its ok"
.
২। অনেক চাওয়া লুকিয়ে থাকে এই কথায় ☞ "থাক
লাগবে না ।"
.
৩। অনেক আবেদন লুকিয়ে থাকে এই কথায় ☞
"তোমার ইচ্ছা ।"
.
৪। অনেক জানা লুকিয়ে থাকে এই কথায় ☞ "আমি কিছু
জানি না ।"
.
৫। অনেক সাহায্য প্রার্থনা লুকিয়ে থাকে এই কথায় ☞
"আমার ক্ষতি হোক,
তাতে তোমার কি ?"
.
৬। অনেক ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে এই কথায় ☞
"আমি তোমার কে ?"
.
৭। অনেক স্নেহ লুকিয়ে থাকে এই কথায় ☞ "তুই
ঘর থেকে এক্ষুন ই বের হয়ে যা ।"
.
৮। অনেক অভিমান লুকিয়ে থাকে এই কথায় ☞ "আমি
কিছু মনে করি নি ।"
.
৯। অনেক বাঁধা প্রদান লুকিয়ে থাকে এই কথায় ☞
"তোর যা মন চায়, কর গা ।"
.
১০। অনেক সাহায্য প্রদান লুকিয়ে থাকে এই কথায় ☞
"আমাকে কিছু বলতে আসবি না ।"

Collected.

Thursday, October 26, 2017

বাল

.........."বাল" শুধু একটা শব্দ না.....

বাল হচ্ছে কোটি কোটি মানুষের প্রতিবাদের অস্ত্র
(তুমি আমার বাল করতে পারবা)

বাল হচ্ছে কোটি কোটি মানুষের হতাশার প্রতিচ্ছবি
(বালের এক জীবন পাইসি)

বাল হচ্ছে তাচ্ছিল্যের বহিঃপ্রকাশ
(হাহ, আসছে আমার বাল)

বাল হচ্ছে ধন্যবাদের মাধুর্যতা
(বিড়ি আনসো 😱
যাক বাল, জীবনটা বাঁচাইলা)

বাল হচ্ছে ভাল এর বিকৃত লিখনী
(ভাই কেমন আছেন?
বাল আছি বাই)

বাল হচ্ছে প্রেরণার মন্ত্র
"কিচ্ছু হবে না বাল,
প্রপোজ কইরা দে..."

বাল হচ্ছে জেলাসি
"বালডা এতো নাম্বার পায় ক্যামনে???"

বাল হচ্ছে নস্টালজিয়ার মশলা
"বাল, কি দিন ছিল স্কুল লাইফে "

বাল হচ্ছে টান টান উত্তেজনা
"মাইয়াটারে দেখ... পুরাই মাথা নষ্ট বাল"

বাল হচ্ছে বন্ধুর ভালোবাসা
(বাল তুমি ফোন ধরোস না ক্যান??? কই মুখ ঢুকাইসোস???)

তাছাড়া বালের ফ্যান, বালের লাইট, বালের ফোন, বালের চার্জার, বালের খেলা, বালের খাওয়া, বালের দিন, বালের রাত, বালের কারেন্ট, বালের ফল, বালের টিভি, বালের ল্যাপটপ, বালের নেট, বালের সিম, বালের ওয়াইফাই, বালের কলম, বালের জুতা, বালের ড্রেস, বালের ঠান্ডা, বালের গরম, বালের গান, বালের ভালোবাসা ইত্যাদি তো আমাদের নিত্যদিনের অক্সিজেন...

আসলে প্রতিটা মানুষই কোন না কোনভাবে বাল এর মায়াজালে আবদ্ধ...

কোন বাল বলে যে বাল শব্দটা খারাপ???
বাল হচ্ছে একটা শিল্প...
বাল হচ্ছে এক শুদ্ধ অনুভূতি...
বাল হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম...

collected by HMI
posted by Joy

Wednesday, June 21, 2017

অসমাপ্ত ভালবাসা JF.

i-- রিয়া !!!
আমার টাই টা খুঁজে পাচ্ছিনা।
-- দাঁড়ান আমি খুঁজে দিচ্ছি।
আজ অফিস যেতে অনেক লেইট
হয়ে যাচ্ছে সাব্বিরের।
খুব তাড়াহুড়া করে বের হতে গিয়ে টাই
পড়তে ভুলে গিয়েছে সে।"
-- এই তো। পেয়েছি দাঁড়ান
আমি পড়িয়ে দিচ্ছি।
এই বলে সাব্বিরের পাশে যেতেই
সে রিয়ার হাত
ধরে ফেলে।
-- না প্রয়োজন নেয়। আমি পড়ে নিব, বাই
টেইক
কেয়ার।

সাব্বির অফিসের কাজে বের হয়ে গেল।
এদিকে রিয়া মুখ নিচু
করে এখনো সাব্বিরের
দরজার দিকে তাকিয়ে আছে।
একটু একটু ঝাপসা লাগছে সামনের
সিঁড়িটা।
হয়ত নিয়মিত আজও তার চোখের
কোণে পানিগুলো খেলে বেড়াচ্ছে।
পেছনে কারো হাত তার ঘাড়ে অনুভব
করতে পারল
সে।
চমকে গিয়ে চোখের
পানি মুছতে গিয়ে পুরোটা মুছতে সক্ষম
হলনা।
-- বৌমা।
-- হ...হ্যা আম্মা। কিছু বলবেন. ???
-- তোমার চোখে পানি কেন মা ???
কি হয়েছে ???
-- ও কিছুনা। হয়ত পোকা পড়েছে।
-- মা রে....
আমি সব বুঝি.....!!!
তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস।
আজ আমার জন্যে তোর এই অবস্থা।
চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন
রিয়ার শাশুড়ি।
-- ছিঃছিঃ মা আপনি এসব
কি বলছেন. ???
-- হুম ঠিকই বলছি।
তবে একটা কথা মাথায় রাখ, এত
তাড়া ভেঙ্গে পরলে চলবেনা।
একটা ছেলেকে মেয়েরাই ভাল হ্যান্ডেল
করতে পারে।
তুই একদম ভেঙ্গে পরবিনা।
আমি আছি তো।
-- অবশ্যই আম্মা।
আপনি দোয়া করবেন, আমার জন্যে।
*****
জানালার পাশে চায়ের কাপ
হাতে বসে আছে রিয়া।
সামনে গল্পের বই।
আর টিভি ও চলছে।
সিরিয়াল দেখার ফাঁকে ফাঁকে হিরু-
হিরুইন এর
রোমাঞ্চ গুলো বেশ ভাল ভাবেই লক্ষ
করছে সে।
মূহুর্তেই মন টা খারাপ হয়ে গেল তার।
কারণ বিয়ে হয়েছে আজ তিন মাস।
সাব্বির
কখনো টিভির ঐ হিরুর
মতো করে রিয়ালে জড়িয়ে ধরেনি।
সাব্বিরের বাবা- মা এবং রিয়ার
বাবা-মা তখন
একই গ্রামে বসবাস করত।
তাদের দুই পরিবারের মধ্যে বেশ ভাল
সম্পর্ক ছিল
বিশেষ করে সাব্বিরের মা আর রিয়ার
মা,
এরা ছিল একে অপরের শুধু বান্ধবী না।
একে বারে বোনের মতো।
সাব্বিরের বাবার চাকরির
সুবাদে সাব্বিরের
পরিবার গ্রাম ছেড়ে শহরে এসে গেলেও
রিয়ার
পরিবার গ্রামেই থেকে যায়।
আর সাব্বির ভাল পড়ালেখা করার
জন্যে বাইরে চলে যায়।
পড়া শেষ করে বাংলাদেশে আসার পর
থেকেই
তাকে বিয়ের জন্যে চাপ দেওয়া হয়।
রিয়া ছোট বেলা থেকেই বেশ কিউট
এবং সৌন্দর্যের অধিকারী ছিল।
তখন থেকেই রিয়ার মা কে আগে ভাগেই
সাব্বিরের সাথেই ওর বিয়ের
কথা বলে রেখেছিলেন সাব্বিরের মা।
এখন সব কিছু ঠিকই ছিল।
কিন্তু বিদেশ থেকে আসার পর যে ধরনের
মেয়েদের
প্রতি সাব্বির আকৃষ্ট ছিল,
রিয়া সে ধরনের
মেয়ে নয়।
আর এতে সাব্বিরের অমত থাকা সত্বেও
মায়ের
আদেশে তাকে এই বিয়ে করতে হয়।
তাই আজ পর্যন্ত রিয়ার দিকে ভাল
করে ফিরেও
তাকায়না সে।
রিয়া খুব সাদাসিধা একটা গ্রাম্য
মেয়ে।
লেখাপড়াও করেছে ভাল মত।
কিন্তু অন্যদের মত কোন প্রকার
চঞ্চলতা তার
মাঝে উপস্থিত নেয়। যা সাব্বির
সবসময় ওর
মাঝে খুঁজে বেড়ায়।
সাব্বিরের ফ্রেন্ডদের
মতে রিয়া একটা খ্যাত।
ওর মত মেয়ে বিয়ে করা মানে নিজের
জীবন
নিজেই শেষ করে দেওয়া।
ফ্রেন্ডদের সাথে এসব বিষয়
নিয়ে আলোচনা করার সময় রিয়া অনেক
বার
দেখে ফেলেছিল আর আড়ালে কাঁদত।
*****
বিকেল পার হতেই কাজ কর্ম শেষ
করে আবারও
গল্পের বই এর দিকে মন দিল সে।
একটু পর কি মনে করে আলমারিত
দিকে চোখ পরল
তার।
কিছুদিন আগে একটা ছবির এলবাম
দেখেছিল
সে।
সেখানে সাব্বিরের বেশ কিছু ছবি আছে,
যেগুলাতে ওদের ছোট বেলার ছবিও
থাকার
কথা সাথে সাথে চাবিটা নিয়ে আলমারি খোলে ফটোর
এলবাম টা হাতে নিল সে।
সাব্বিরের ছবি গুলো বেশ সুন্দরই
লাগছে।
সব ছবিতে কিউট
একটা হাসি বিদ্যমান।
বিয়ের পর থেকে এই টাইপের
হাসি কখনো দেখেনি সে।
সারাক্ষণ কেমন জানি মুখটা ভার
হয়ে থাকে তার।
এলবাম টা বেশ বড় ছিল।
ছবি গুলা দেখে শেষ হওয়ার পথে, তাই
সেটা ঠিক
স্থানে আবার রেখে দিতে গেলে সেখান
থেকে ছোট
একটা ডায়েরী রিয়ার চোখে পরে।
এলবামটা আলমারি তে রেখে দিয়েই
ডায়েরীটা হাতে নিয়েই
পড়তে থাকে সে।
বেশ পুরানো ডায়েরী,
এটাতে সাব্বিরের অনেক
মনের কথা লিখা আছে।
কিছু ইন্টারেস্টিং লেখাও ছিল।
স্পষ্ট লিখা আছে শান্তা নামক এক
মেয়ের
সাথে সাব্বিরের ভাল রিলেশন ছিল,
পড়ার
উদ্দেশ্যে বাইরে চলে যাওয়ার সময়
সাব্বির
শান্তাকে কথা দিয়েছিল পড়া শেষ
করে এসেই
তাকে তার ঘরের বৌ করে আনবে।
কিন্তু সাব্বির দেশে ফেরার আগেই
শান্তার
বিয়ে হয়ে যায়।
-- আহারে বেচারা, শেষ মেস ছ্যাঁকা !!!
হিহিহি করে হাসতে লাগল রিয়া।
আবারও ডায়েরীর লেখার দিকে মন দিল
সে।
সেখানে রিয়ার আচরণ, কথা বলার ধরন,
সাব্বিরের প্রিয় কালার, ভাল লাগার
মোমেন্ট
এবং কিছু মিষ্টি অনুভূতির
কথা লিখা আছে।
ডায়েরীটা পড়ে শেষ করল রিয়া।
এবং যেখানে পেয়েছিল সেখানেই
রেখে দিয়েছে।
আসলেই তো শান্তার আচরণের
সাথে রিয়ার
আচরণের অনেক পার্থক্য, এসব হয়ত
সাব্বির খুব
মিস করে।
-- না আর মিস করতে দেওয়া যাবেনা।
এই বলে আবারও মুচকি হাসি দিল রিয়া।
আজ সাব্বির বাইরে ডিনার করে আসার
কথা ছিল।তাই রিয়া অপেক্ষা না করে রাতের
খাবারটা খেয়ে আবার তার রুমে প্রবেশ
করল।
আলমারি খুলে ডায়েরীটা আবার
হাতে নিলা এবং সাব্বিরের পছন্দের
কি কি ছিল সেগুলাতে চোখ
বুলাতে লাগল।
একটু পর আলমারি থেকে নীল
শাড়িটা বের করল
সে।
সাথে কালো টিপ।
চোখে কাজল দিয়ে, হাত ভর্তি কিছু
রঙ্গিন
কিছু চুড়ি পড়ল।
এভাবে ডায়েরী পড়ে একে একে সব কাজ
সম্পন্ন
করল সে।
আর ডায়েরীতা লিখা ছিল
শান্তা ইচ্ছা করেই
কপালের টিপ টা বাঁকা করে দিত, আর
সাব্বির
সেটা ঠিক করে দিত।
রিয়াও তার ব্যতিক্রম কিছু করলনা।
ইচ্ছা করেই সব ঠিক করলেও টিপ
টা বাঁকা করেই
দিল।
একটু পর কলিং বেলের আওয়াজ
পেয়ে দরজার
দিকে ছুটে যায় সে।
দরজা খুলতেই সাব্বিরের চেহারার
দিকে চোখ
পরে রিয়ার।
সে হা করে আছে, কেমন
জানি বাচ্চা বাচ্চা একটা ভাব
এসেছে তার
চেহারায়।
আজ বরং তাকেই বোকা এবং খ্যাত
মার্কা মনে হচ্ছে।
অবশ্য সাব্বিরের এই বৈশিষ্ট্যের
কথা ডায়েরীতে পড়েনি রিয়া।
অনেক কষ্টে নিজের
হাসি লুকালো রিয়া।
-- হা করে কি দেখেন. ???
ভেতরে আসবেন না ??
নাকি আমাকে দেখে পেত্নী মনে করে ভয়ে পালানোর
চিন্তা করছেন?
এক নিশ্বাসে কথা গুলো বলে ফেলল
রিয়া।
-- ওহ... হ্যা তাই তো।
*****
রুমের জানালা টা খোলা।
রিয়া খাটের এক পাশে বসে আছে।
জানার ফাঁক দিয়ে পূর্ণিমার চাঁদের
আলো সোজা তার চেহারায় এসে পড়েছে।
এই সময়টাই সাব্বির প্রতিদিন ল্যাপটপ
নিয়ে অফিসের কিছু কাজ করে থাকে।
রিয়া কে একটুও সময় দিতনা।
সাব্বিরের এরূপ আচরণ দেখে অন্য
দিকে ফিরে রিয়া মুচকি হাসছে......
নীরবতা ভেঙ্গে রিয়া বলে উঠল,
-- চাঁদে যাবেন. ???
-- হ্যা, চলো। আকাশে পূর্ণিমার
চাঁদটা আজ একটু
স্পেশাল মনে হচ্ছে আমার কাছে।
সেট উপভোগ করা প্রয়োজন।
-- আচ্ছা ঠিকাছে, দাড়ান
আমি চা নিয়ে আসি।
চা খেতে খেতে আড্ডা দিব ছাদে।
*****
চায়ের কাপে এক চুমক দিয়ে আকাশের
দিকে তাকালো সাব্বির।
আরেকবার রিয়ার দিকে তাকালো।
মৃদু বাতাসে রিয়ার সিল্কি চুল
উড়ে বেড়াচ্ছে।
সাব্বিরের খুব ইচ্ছা হচ্ছে রিয়ার
সাথে একটু
গা ঘেঁষে দাঁড়াতে।
কিন্তু কোথায় যেন বাঁধা পাচ্ছে সে।
কেন যে এতদিন খারাপ আচরণ করেছিল
তার
সাথে !!
আজ রিয়ার চেহেরা থেকে চোখ
সরছেনা তার।
চেহারায় বেশ মায়া, চোখ
গুলো টানাটানা এ যেন
মানুষ রূপি কোন পরী তার
সামনে দাড়িয়ে আছে।
সাব্বিরের এমন
বোকা বোকা চেহারা আগে কখনো লক্ষ
করেনি রিয়া।
আজ আড়চোখে তার দিকে তাকাচ্ছে আর
হাসছে সে।
একটু পর নীরবতা ভেঙ্গে সাব্বির
বলে উঠল।
-- আচ্ছা, কখনো কি এমন কথা ছিল
যে চাঁদ
একসাথে দুইটা দেখা যাবে ???
-- না তো। আমি তো এই টাইপের
কথা কখনো শুনিনাই।
হঠাৎ এ কথা কেন বলছেন. ??
অবাক হয়ে বলতে থাকে রিয়া।
-- না মানে আজ দুইটা চাঁদ এক
সাথে দেখার
সৌভাগ্য হয়েছে আমার।
-- কোথায় দেখি ???
-- হুম দেখাব যদি কাছে আসো ।
সাব্বিরের কথা শুনে রিয়া লজ্জাই লাল
হয়ে যায়।
আর এখনো আগের জায়গায় দাড়িয়ে আছে।
তার এই অবস্থা দেখে সাব্বির নিজেই
এগিয়ে যায়।
আর রিয়ার গালে হাত রেখে বলে এই
তো....!!!
একটা চাঁদ আকাশে। আরেকটা চাঁদ আমার
সামনেই।
যাকে ধরার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।
যা আগে কাছে থাকার পর ও দেখার
জন্যে ঐ
মেগাফিক্সেল এর চোখ ছিল না।
রিয়া চুপচাপ সাব্বিরের
কথা শুনে যাচ্ছে।

মুখ দিয়ে কিছু বের হয়েও কেন
জানি আটকে যাচ্ছে।
-- একি সব কিছু ঠিক মত করে। টিপ
টা ঠিক
করে দিতে পারলেনা ???
দাঁড়াও আমি ঠিক করে দিচ্ছি......
আহ...
প্রিয়জনের প্রথম স্পর্শ. !!!
সত্যিই উপভোগ করার মত।
ভালবাসার পূর্ণতা পাওয়া যায় এমন
মানুষকে কাছে পেলেই।
যাকে আমরা সর্বদা কল্পনার
রাজ্যে সাজিয়ে থাকি।
jibonerkotha.blogspot.com

নতুন জীবন শুরু হল।


আপনি আমার কাছে আসবেন না। আমার কাছে আসলে
আমি আত্বহত্যা করবো।
বাসর রাতে বউয়ের কাছ থেকে এইধরনের কথা কোন
ছেলেরই কাম্য নয়। আফজালের ও ছিল না।কিন্তু সেই
কথা সম্মুখিন আফজাল এখন। jibonerkotha.blogspot.com
.
আফজাল বলল
-আমি তোমার স্বামি একি বলছো তুমি?
-স্বামি শুধু কাগজ কলমেই। কিন্তু মন থেকে নয়।
-বিয়েতে তুমি কবুল বলো নি?
-বলেছি কিন্তু চাপে পরে।
-কিন্তু কেন?
-আমি রাফিদ নামের একজনের সাথে প্রেম করতাম। এর
মধ্যে রাফিদ স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে চলে গেছে।
কিন্তু আমার স্কলারশিপ পেতে এখনও দুই মাস বাকি।
যেভাবেই হোক আমাকে রাফিদের কাছে যেতেই হবে।
এখন আমি কি করবো?
-তুমি রাফিদের কাছে যাবে। আমি সেই ব্যাবস্থা করবো।
-মানে!!
-তুমি আমার বউ হিসেবে পড়ালেখা করবে। আর আমি
টাকা দিয়ে তোমাকে বিদেশে পাঠাবো।
.
আফজাল রুমের বাইরে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। আর
মনে হচ্ছে কেন বিয়ে করলাম? রিয়া তাকে ভালবাসে না।
কিন্তু একে নিয়েই তো সারাজীববের সপ্ন দেখেছিল।
.
পুরুষ মানুষের এক বিয়ে হয়ে গেলে আর বিয়ে হয় না
এমন কোন কথা নেই। তাই রিয়াকে ছাড়লে আরেকটা
বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু মনের সাজানো ঘরে বসাতে
পারবে না। অনেক ধরনের চিন্তাই আফজালের মাথায়
ঘুরপাক খাচ্ছে।
.
আফজাল সকাল বেলা রিয়াকে ডেকে বলল
-ওঠো। মানুষজন এসেছে। তারা যেন কিছুতেই বুঝতে না
পারে আমাদের মাঝে সম্পর্কের ফারাক।
.
আফজাল তার মত বাইরে চলে গেল। আফজাল রিয়ার
সামনে যেতে চাচ্ছে না।এতে রিয়ার প্রতি আফজালের
দুর্বলতা বেড়ে যেতে পারে। আর এই দুর্বলতা
আফজালকে কষ্ট ছাড়া ভালবাসা দেবে না। রিয়ার মত
রিয়াকে থাকতে দেবে আজিজ।
.
বিয়ের সব ঝামেলা মিটিয়ে আফজাল আর রিয়া শহরে
চলে এসেছে। আফজাল আর রিয়ার গ্রামের বাড়ি
পাশাপাশি। এবং তারা দুইজনই ঢাকায় থাকে। রিয়া
পড়ালেখার জন্য। আর আফজাল চাকরির জন্য।
তাই তারা স্বামি স্ত্রি হলেও যে যার মত থাকে।
.
একদিন অফিস থেকে ফিরে রিয়াকে খুশি খুশি দেখে
আফজাল বলল
-কি ব্যাপার? আজ এত খুশি কেন?
-আজকে আমি অনেক খুশি।
-কিন্তু কেন?
-কারন আমি স্কলারশিপ পেয়েছি।
-অভিনন্দন।
-আমার এই সব কৃতিত্ব তোমার।
-বন্ধু হিসেবে মনে কর করেছি এসব।
-অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
.
রিয়া খুশিতে আফজালকে জড়িয়ে ধরলো। একটু পরেই
ছেড়ে দিয়ে বলল
-সরি।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
.
বিয়ের পরে এই প্রথম রিয়া তাকে জড়িয়ে ধরলো। এত
কাছে এর আগে কখনও আসে নি।
.
রিয়া আফজালকে ছবি তুলতে নিয়ে এসেছে। কারন
ওখানে বিবাহিত দেওয়া। আর স্বামির সাথে ছবি উঠেই
দিতে হবে।
.
ছবি তোলা শেষে আফজাল অফিসে চলে গেল। আর
রিয়াকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিল।
.
অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে রিয়ার মন খারাপ দেখে বলল
-আমার মনেহয় বিদেশে যাওয়া হবে না।
-কেন?
-যাওয়ার খরচ বিনামুল্যে হলেও অন্যান্য অনেক খরচ
আছে। যেগুলো আমি যোগাতে পারবো না।
-টাকার চিন্তা করো না। টাকা আমি দেব। তুমি তোমার
মত যাওয়ার ব্যাবস্থা করো।
-তুমি দেবে!!
-হ্যা। স্বামি হিসেবে আমি দেব।
.
আজ রিয়ার ফ্লাইট। ব্যাগ গোছানো হয়ে গেছে।
আফজালকে রিয়া আজ অফিসে যেতে দেয় নি।কারন
তাকে আজ বিমান বন্দর পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে।
আফজালও তাই রয়ে গেছে।
.
আফজাল আর রিয়া গাড়িতে বিমানবন্দরে যাচ্ছে। রিয়া
বলল
-তোমার কি মন খারাপ?
-নাহ। আজকে আমার মন ভাল। কারন একজনের মনের
আশা পুরন করতে পেরেছি।
-আমি বুঝতে পারছি তোমার অবস্থা। কিন্তু আমি কি
করবো বলো?
-তোমার দোষ নেই।দোষ আমার ভাগ্যের।
কথা না বাড়িয়ে যার যার মত বসে থাকলো।
.
রিয়াকে বিদায় জানিয়ে আফজাল বাইরে চলে যাচ্ছে।
রিয়াকে বিদায় জানিয়ে আফজালের মনটা আরো বিষন্ন
হয়ে গেল। রিয়ার কাছ থেকে স্বামির মর্যাদা না পেলেও
ভাল একজন সঙ্গি পেয়েছিল। যেই সঙ্গিকে আফজাল
আজ হারালো।
.
বিমানবন্দরের বাইরে এসে একজন ভিক্ষুক ভিক্ষা
চাওয়ায় মানিব্যাগ বের করলো। মানিব্যাগ বের করে
ফকিরকে টাকা দিয়ে মানিব্যাগে আরেকটা জিনিস
দেখতে পেল। আফজালের বিয়ের ছবি। আফজালের
পাশে রিয়া মাথা নিচু করে লাজুক হয়ে বসে আছে। ছবিটা
বের করে আফজাল ফেলে দিল।
.
আফজালের ছবিটা প্রিয় হলেও ফেলে দিল। কারন
প্রিয় মানুষটাই যখন নেই তখন প্রিয় ছবি দিয়ে কি
হবে।
-ছবিটা ফেলে দিলেও মন থেকে ছবিটার মানুষকে ফেলতে
পারবে?
.
কথাটি শুনে আফজাল ঘুরে তাকাল। তাকিয়ে বলল
-রিয়া তুমি!!
-হ্যা আমি।
-ফিরে এলে কেন? কিছু ফেলে রেখে গিয়েছ কি?
-সবচেয়ে প্রয়োজনিয় জিনিস ফেলে গেছি।
-কি?
-তুমি। সবশেষে বুঝতে পারলাম তুমি আমার জরুরি। যেই
জরুরি জিনিসকে ছেড়ে গেলে সুখটাই হারিয়ে যাবে। তুমি
আমার জন্য এতকিছু করলে কিন্তু সেই তোমাকে ছেড়ে
গেলে আমি বিবেকের কাছে সারাজীবন আসামি হয়ে
থাকবো। যেটা আমি কোনভাবেই চাই না।
-কিন্তু সেই ছেলেটা।
-যদি আমাকে ভালবাসতো তাহলে এতদিনে আমার খবর
নিত। কিন্তু তা করেনি। কিন্তু তুমি আমার পাশে
থেকেছ। আর তোমাকে ছেড়ে আমি সুখি হলেও নিজেকে
ক্ষমা করতে পারবো না।
-কিন্তু...
-কিসের কিন্তু তোমার কোন আপত্তি থাকলে চলে যেতে
পারি। ফ্লাইটের সময় এখনও আছে কিন্তু।
-ফ্লাইট তো হবেই তবে বিমানে না রিক্সায়। সারা শহরে
তোমার সাথে আমি থাকবো। এতদিনের জমানো অধিকার
আজ আদায় করবো। যেটা ভালবসায় ছিল। যাবে আমার
সাথে?
-সঙ্গির আপত্তি না হলে আমার আপত্তি কি?
.
আফজাল আর রিয়া রিক্সায় বসে আছে। অনেক
জায়গায় ঘুরছে আর জিবনকে নতুন রুপে সাজিয়ে
নিচ্ছে। যেটা এতদিন সাজাতে পারে নি। জিবনটাই আজ
নতুন সাজ ধারন করেছে। আর এটা সুখের সাজ।      

Saturday, June 17, 2017

একটি সুইট গল্প


এতগুলো বছর কিভাবে কেটে গেল সে হিসেব সৌরভের জানা নেই। প্রেমিক হিসেবে সে ছিল রোবট টাইপের। প্রেমের সময় কত ছেলে কত দুরন্তপনা করে, আহ্লাদি করে, হাত-পা কাটাকাটি, রাগারাগি, মান অভিমান কতকিছু... সে কিছুই করেনি। গভীর রাতে ফোনের ওপাশে থাকা তূর্ণাকে কখনও কবিতা গান শোনায়নি। উল্টো যেদিন তূর্ণা অনেক শখ করে গান গেয়ে শুনাচ্ছিল সেদিন বিশাল এক হাই তুলে তাকে থামতে বলেছিল সে। বৃষ্টির দিনে এইসব ম্যাজম্যাজা গান শুনলে নাকি সৌরভের ঘুম আসে। ভাগ্য ভাল ফোনের আড়ালে ছিল...

নাইলে বোধহয় থাপ্পড় একটাও মাটিতে পড়তো না।

"ভালোবাসি" কথাটি কখনও সে নিজে থেকে বলেছে বলে মনে পড়ে না। টেবিল কিংবা ফোনের ওপাশ থেকে তূর্ণা ধমকের সুর এখনও কানে বাজে, "কি ব্যাপার? কিছু বলতে পারো না? বল... আই লাভ ইউ। আরেহ আমার লাজুক প্রেমিক রে!! এখনই বল! নাইলে সবার সামনে এক থাপ্পড় দিয়ে চাপা বাঁকা করে দিব!" ধমক শুনে বিড়ালের মতন মিউমিউ করে বলা হত "ভালোবাসি।" শুনে তূর্ণা মুখ ভেংচি দিত। তারপর অন্যদিকে তাকিয়ে সুন্দর করে হাসি দিত।

মাঝে মাঝে আফসোস করে বলা হত, "প্রেমিক তো পাইনি, পেয়েছি এক বলদামার্কা দাস! এই এক ছেলে দেখলাম প্রেমিকাকে যমের মতন ভয় পায়। আমি বললে উঠে, আমি বললে বসে। ছেড়ে দিলে কি করবা? নাহ থাক! উত্তর দেয়া লাগবে না। ছাড়বো না তোমাকে। আমি ছেড়ে দিলে তোমার আর গতি হবে না, অথৈ সাগরে ডুবে মরবা তখন। এরচেয়ে আমার দাস হয়ে থাক।"

কিভাবে কিভাবে বিয়ে হয়ে গেল। মরা মরা ছেলেটার ভাগ্যে কিভাবে এত চঞ্চল এক মেয়ে পড়লো সেই রহস্য আজও কেউ ভেদ করতে পারেনি। বিয়ের আসরে ছেলে থাকে উৎফুল্ল আর মেয়ে লজ্জায় মাথা তুলতে পারে না। তাদের বিয়েতে দেখে গেল সৌরভের মুখ লাল-বেগুনী-গোলাপী হয়ে আছে আর তূর্ণা চিৎকার করে একে ডাকে তো ওকে ধমক দেয়।

বিয়ের রাতের কথা আজ মনে পড়ছে সৌরভের। সেদিন রাতে আজকের মতন বৃষ্টি হচ্ছিল। বাসর ঘর... রাত তখন দুটো বাজে। কথা নেই বার্তা নেই তূর্ণার মাথায় ভূত চাপলো, সে বৃষ্টিতে ভিজবে। নতুন বউয়ের করা অনুরোধ না, রীতিমত আদেশ। কি আর করার... সদ্যবিবাহিত দম্পতিকে রাত দুটোর সময় পাওয়া গেল ছাদে, বসে বসে গল্প করছে আর বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে। সবাই ভাববে কত রোমান্টিক... সৌরভ তখন মনে মনে বলছে, "হিটলারের কোন ভাইস্তিকে বিয়া করলাম আমি? কপালে দুঃখ আছে আমার।" সেটা অবশ্য শুধু মনে মনে বলা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। মুখে বলার সাহস ছিল না।

তাও সব সয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে ভালই দিন যাচ্ছিল। তবে এতগুলো দিন গেল, এখন সবই কেমন জানি ম্যাজম্যাজে লাগে। এইযে এখন কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে, তূর্ণা তার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ছাদে? বৃষ্টিতে ভেজার জন্য বকরবকর করছে? না করছে না। সেই দিন আর নেই। অবাক হয়ে সৌরভ আবিষ্কার করলো যে তূর্ণার হাত ধরে ভিজতে ইচ্ছে করছে। আচ্ছা তূর্ণা কোথায়? হ্যাঁ... ওইযে, গলা শোনা যাচ্ছে। বাসার সামনে বিশাল খোলা বারান্দা। সেখানে ছেলেমেয়ে দুটো দৌড়া দৌড়ি করে বেড়াচ্ছে আর তূর্ণা তাদেরকে ঘরে ফিরে আসার জন্য ধমক দিয়ে যাচ্ছে। যত্তসব হিপোক্রিসি। নিজে হইহই রইরই করে ভিজতো আর বাচ্চা ভিজলেই নাকি জ্বর আসবে। নিজের জামাইয়ের টাইমে এইসব জ্বর কই ছিল?

তূর্ণার পেছনে গিয়ে দাড়ালো সৌরভ। বাচ্চা দুটোকে দেখছে। কি দুরন্ত হয়েছে এই দুইটা!! এক্কেবারে যুবতী তূর্ণার কপিক্যাট।

-এই তূর্ণা, এত জোরে ওদেরকে ধমক দিয়ো নাতো। তোমার চিৎকার কানে লাগে। বৃষ্টিতে ভিজলে কিছু হবে না। কিছু হলেও চিন্তা নাই। তুমি আছ কি করতে? চল ওদের সাথে জয়েন করি। বোরিং লাগছে। বাই দা ওয়ে, বলতে ভূলে গিয়েছি, আই লাভ ইউ। এত অবাক হয়ে তাকায় আছো কেন? নাহ, তোমাকে নিয়ে আর পারলাম না...

নাহ, সৌরভ ভুল করেছে। বিবাহিত জীবনটা এখনও পানসে

কি-বোর্ড এর কিছু শর্টকাট জেনে রাখুন


কম্পিউটারে মাউস দিয়ে ছোটখাট কাজ করাটা সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহার‌ীদের জন্য খুবই আরামদায়ক ও সহজতর। কিন্তু বড় ও জটিল সফটওয়্যারে কাজ করতে হলে দক্ষতা ও গতি বাড়াতে অবশ্যই কি-বোর্ড শর্টকাট জানতে হবে। অভ্যস্ত না হলেও চেষ্টা করে দেখুন, সাধারণ এমএস ওয়ার্ডে লেখালেখির সময়ও কিছু শর্টকাট জানা থাকলে কাজে গতি কতো বেড়ে যায়।

এখানে এমন ১০০শ`র বেশি শর্টকাটের একটি তালিকা দেয়া হলো:

Keyboard Shorcuts (Microsoft Windows)

1. CTRL+C (Copy)
2. CTRL+X (Cut)
3. CTRL+V (Paste)
4. CTRL+Z (Undo)
5. DELETE (Delete)
6. SHIFT+DELETE (Delete the selected item permanently without placing the item in the Recycle Bin)
7. CTRL while dragging an item (Copy the selected item)
8. CTRL+SHIFT while dragging an item (Create a shortcut to the selected item)
9. F2 key (Rename the selected item)
10. CTRL+RIGHT ARROW (Move the insertion point to the beginning of the next word)
11. CTRL+LEFT ARROW (Move the insertion point to the beginning of the previous word)
12. CTRL+DOWN ARROW (Move the insertion point to the beginning of the next paragraph)
13. CTRL+UP ARROW (Move the insertion point to the beginning of the previous paragraph)
14. CTRL+SHIFT with any of the arrow keys (Highlight a block of text)
SHIFT with any of the arrow keys (Select more than one item in a window or on the desktop, or select text in a document)
15. CTRL+A (Select all)
16. F3 key (Search for a file or a folder)
17. ALT+ENTER (View the properties for the selected item)
18. ALT+F4 (Close the active item, or quit the active program)
19. ALT+ENTER (Display the properties of the selected object)
20. ALT+SPACEBAR (Open the shortcut menu for the active window)
21. CTRL+F4 (Close the active document in programs that enable you to have multiple documents opensimultaneou sly)
22. ALT+TAB (Switch between the open items)
23. ALT+ESC (Cycle through items in the order that they had been opened)
24. F6 key (Cycle through the screen elements in a window or on the desktop)
25. F4 key (Display the Address bar list in My Computer or Windows Explorer)
26. SHIFT+F10 (Display the shortcut menu for the selected item)
27. ALT+SPACEBAR (Display the System menu for the active window)
28. CTRL+ESC (Display the Start menu)
29. ALT+Underlined letter in a menu name (Display the corresponding menu) Underlined letter in a command name on an open menu (Perform the corresponding command)
30. F10 key (Activate the menu bar in the active program)
31. RIGHT ARROW (Open the next menu to the right, or open a submenu)
32. LEFT ARROW (Open the next menu to the left, or close a submenu)
33. F5 key (Update the active window)
34. BACKSPACE (View the folder onelevel up in My Computer or Windows Explorer)
35. ESC (Cancel the current task)
36. SHIFT when you insert a CD-ROMinto the CD-ROM drive (Prevent the CD-ROM from automatically playing)

Dialog Box – Keyboard Shortcuts

1. CTRL+TAB (Move forward through the tabs)
2. CTRL+SHIFT+TAB (Move backward through the tabs)
3. TAB (Move forward through the options)
4. SHIFT+TAB (Move backward through the options)
5. ALT+Underlined letter (Perform the corresponding command or select the corresponding option)
6. ENTER (Perform the command for the active option or button)
7. SPACEBAR (Select or clear the check box if the active option is a check box)
8. Arrow keys (Select a button if the active option is a group of option buttons)
9. F1 key (Display Help)
10. F4 key (Display the items in the active list)
11. BACKSPACE (Open a folder one level up if a folder is selected in the Save As or Open dialog box)

Microsoft Natural Keyboard Shortcuts

1. Windows Logo (Display or hide the Start menu)
2. Windows Logo+BREAK (Display the System Properties dialog box)
3. Windows Logo+D (Display the desktop)
4. Windows Logo+M (Minimize all of the windows)
5. Windows Logo+SHIFT+M (Restorethe minimized windows)
6. Windows Logo+E (Open My Computer)
7. Windows Logo+F (Search for a file or a folder)
8. CTRL+Windows Logo+F (Search for computers)
9. Windows Logo+F1 (Display Windows Help)
10. Windows Logo+ L (Lock the keyboard)
1

Thursday, June 15, 2017

শুধু কোরআনের সহজ বাংলা অনুবাদ পাঠ যথেষ্ট হয়না।


শুধু কোরআনের সহজ বাংলা অনুবাদ পাঠ যথেষ্ট নহে । যাহারা অনুবাদ সহ কুরআন তেলাওয়াত করিয়া থাকেন , তাহাদের মধ্যে এই ক্রটি পরিলক্ষিত হয় যে তাহারা কুরআনের বাংলা অনুবাধ পড়িয়া তাহার সঠিক ব্যাখ্যা খুজার চেষ্টা করেন না । এখন কুরআনের অর্থ অনুধাবন করার অর্থ এই নয় যে, কুরআন অর্থ সহ পড়িয়া তাহার ভাবার্থ অনুধাবন করার চেষ্টা করিতে হইবে । শুধুমাত্র অর্থসহ কুরআন পড়িয়া তাহার মূল অর্থ বোঝা সবার জন্য সম্ভব নহে । সত্য বলিতে গেলে বিজ্ঞ আলেম ছাড়া সাধারণ মানুষ এর কাজ তা নয় ।



অনেক স্হলে দেখা গিয়েছে , শুধুমাত্র অনুবাদ পাঠ করিয়া কোরআনের অনেক কিছুই বোঝা সম্ভবপর নহে । কেননা, কুরআনে এমন অনেক বিষয় বস্তু রহিয়াছে যাহা বুঝিতে হইলে ব্যাকরণশাস্ত্র, অলংকারশাস্ত্র ও মানসুখ অর্থাৎ রহিত ও রহিতকারী আয়াত সমূহ , ওছুল এবং ফেকাহ প্রভৃতি কতিপয় শাস্ত্রে বুৎপত্তি থাকা একান্ত প্রয়োজন । এই প্রাথমিক শাস্ত্রগুলিতে যতক্ষণ পর্যন্ত কেহ জ্ঞান লাভ না করিবে ততক্ষণ পর্যন্ত কাহারও কুরআনের সরল অনুবাদ পাঠ করিয়া তাহার ব্যাখ্যা করা কোনরূপেই উচিত নয় । করিলে তাহাতে ভূল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রহিয়া যায় । অথচ আজকাল কিছূ মানুষ তাহাই করিতেছে । হাদিসেও কঠোর নিষেধ আছে আলেম ছাড়া যে কারোর-ই কুরআনের ব্যাখ্যা প্রদান না করার বিষয়ে।



তদুপরি সবচেয়ে বড় সমস্যা এই যে, কোন কিছূ বুঝিতে অক্ষম হইলে অপরের নিকট জিজ্ঞাসা করিয়া অবগত হওয়ার অভ্যাস আজকাল মানুষের মধ্যে অতি বিরল । কোন বিষয়ে সন্দেহ জন্মিলে অধিকাংশ লোকই নিজের বিবেকানুযায়ী উহার কোন না কোন অর্থ আবিস্কার করিয়া লয় । ইহার ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুল সিন্ধান্তে আসার ফলে ঈমান ও আকীদাও নষ্ট হয় । (যেমন এক ব্লগার লিখিয়াছেন কুরআন অনুসারে ইহুদী থেকে মুসলমান না হইলেও নাকি কোন সমস্যা নাই অথচ এ ব্যাপারে মহানবী (সাঃ) স্পষ্ট হাদিস আছে মহানবী (সাঃ) আসার পর ইসলাম গ্রহণ ছাড়া যেই মৃত্যু বরণ করবে তার দ্বীন গ্রহণ যোগ্য হইবে না)



এখন আমাদের মত সাধারণ মানুষের উপায় কি ? উপায় হইলো কোন বিজ্ঞ ও পরিচিত আলেম দ্বারা লিখিত কুরআনের তাফসীর ও ব্যাখ্যা পাঠ করা । এখন এজন্য বিজ্ঞ আলেম ও উনার লেখার অনুসন্ধান খুবই জরুরী ।



আসুন একটা উদাহরণ দিয়ে আলোচনা কারা যাক । ধরা যাক একটি শহরে দুই জন চিকিৎসক রহিয়াছেন । একজন চিকিৎসাশাস্ত্রে অত্যন্ত পারদর্শী । উনার রোগ নির্ণয় এবং ওষুধ নির্বাচনে কোন ভূল সাধারণত হয় না । কিন্তু ভাষাগত দিক দিয়ে তিনি অত্যন্তু দুর্বল এবং চুপ চাপ স্বভাবের ব্যাক্তি । অপরদিকে অন্য চিকিৎসক ভাষা গত দিকে দিয়ে অনেক পটু । কথা দিয়ে মানুষের মন জয় করে ফেলেন । কিন্তু চিকিৎসা শাস্ত্রে অতটা দক্ষ ও বিচক্ষণ নহেন । এখন আপনারা ভাবিয়া বলূন, আপনাদের রোগ হইলে আপনারা কার নিকট ওষুধের জন্য যাইবেন ? নিশ্চয়ই যে চিকিৎসা ভালো জানে তার নিকট । কেননা রোগ মুক্তি-ই উদ্দেশ্য , কথা শুনে খুশী হওয়ার জন্য নয় ।



বন্ধুগণ ! আমরা যদি কুরআন শরীফকে আমাদের 'রূহানী' রোগের চিকিৎসা গ্রন্হ মনে করি তাহলে উহার তরজমা ও তাফসীর গ্রন্হ নির্বাচনের বেলায়ও একজন নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ আলোমের তাফসীর ও ব্যাখ্যা নির্বাচন করাও জরুরী । কোন তরজমা ভাষার দিক দিয়া চাকচিক্যময় হইলেও তাহা যদি একজন বিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য আলেমের না হয় তবে তাহা অবশ্যই পরিত্যাজ্য ।



বন্ধুগণ ! দুনিয়াবী কাজ কর্মের প্রতি লক্ষ্য করুন । সামান্য সামান্য কাজগুলিও উস্তাদের নিকট না শিখিলে কেহ নিজে নিজে আয়ত্ব করিতে পারেনা । এমনকি কাঠ মিস্ত্রির কাজ যদি কেহ উস্তাদ ব্যতীত নিজে নিজে শিখিতে আরম্ভ করে তবে সে নিশ্চয়-ই নিজের হাত-পা কাটিয়া ফেলিতে আরম্ভ করিবে । অথচ প্রত্যেক মানুষ জীবনে বহু কাঠ মিস্ত্রিকে স্বচক্ষে আসবাব পত্র বানাইতে দেখিয়াছে । কিন্তু এক্ষেত্রে কেহ এরূপ বলে না যে, আমি কাঠ মিস্ত্রিকে চেয়ার বানাইতে দেখিয়াছি , সুতরাং আমিও তাহা তৈরী করিতে পারিব । দুনিয়াবী সমস্ত কাজে আমরা জানি যে, শিক্ষকের নিকট শিক্ষা ব্যতীত আমরা তাহা শিখিতে পারিবনা , করিতে পারিব না ।



কিন্তু নিতান্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, পবিত্র কুরআন শরীফকে আমরা খুবই সাধারণ গ্রন্হের পর্যায়ে নিয়া গিয়াছি । কোন শিক্ষকের নিকট ইহা শিক্ষা করা ব্যতীত-ই আমরা ইহার অনুবাদ পড়িয়া ব্যখ্যা করা শুরু করিয়া দিয়াছি । যার ফলে আমরা নিজেরাও ধ্বংস হইতেছি এবং অন্যকেও যাদেরকে এই ব্যাখ্যা শুনাইতেছি ও পড়াইতেছি , তাদেরকেও ধ্বংস করিতেছি ।



অনুগ্রহ করে আমরা এরূপ বিপদজনক কাজ হইতে বিরত হই এবং অন্যদেরকেও সাধবান করিয়া দেই যাহারা এরূপ কাজ করিতেছে ।



আল্লাহ আমাদের সকলকে কুরানের সঠিক অনুবাদ ও তাহার ব্যাখ্যা জানার তৈাফিক দান করুন । আমিন ।

১/২/১৯২৯ সালে আমরা জানতে পেরেছি যে, নক্ষত্রগুলি দুরে সরে যাচ্ছে কিন্তু কোরআন ১৪ শত বছর আগে বলেছে তা।


১-২- ১৯২৯ সালে আমরা জানতে পেরেছি যে, নক্ষত্রগুলি দুরে সরে যাচ্ছে,

কিন্তু কোরআন ১৪০০ বছর আগেই বলেছে,

আমি শপথ করি যেসব নক্ষত্রগুলো(গ্যালাক্সি) পশ্চাতে সরে যায়।চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়

( সুরা তাকভীর৮১:১৫-১৬)


২;পেইন রিসেপ্টর আছে শুধু চামড়ায় অর্থাৎ ব্যথার অনুভুতি

 "এতে সন্দেহ নেই যে, আমার নিদর্শন সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী।

[সুরা নিসা ৪: ৫৬]

আচ্ছা এখানে তো এমনও বলা যেত-- তাদের চামড়া, গোস্ত আর হাড্ডি জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব। আগুনে নিক্ষেপ করার পর এটাই কি স্বাভাবিক নয়? কিন্ত এখানে আল্লাহ
কেন শুধু চামড়ার কথা উল্লেখ করলেন? বিস্ময়টা কিন্তু এখানেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন পেইন রিসেপ্টর আছে শুধু চামড়ায় অর্থাৎ ব্যথার অনুভুতি শুধু ছামড়াতেই অনুভুত হতে পারে। একটা মানুষের যদি চামড়া, গোস্ত আর হাড্ডিতে তাপ প্রয়োগ করা হয় তবে শুধুমাত্র চামড়াতেই তাপ অনুভুত হবে , হাড্ডি অথবা গোস্তে নয়। আর এ কারনেই আল্লাহ উক্ত আয়াতে চামড়াকে জ্বালান ও পাল্টানোর কথা বলেছেন।

৩; সূর্য স্থির না চলমান

আগে ১৯৮০, সালের দিকে বিজ্ঞান বইতে ছিল যে, সূর্য স্থির থাকে, কিন্তু কোরআন ১৪০০ বছর আগে বলছে

সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।

(সুরা ইয়াসিন আয়াত ৩৬:৩৮

তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।  সুরা যুমার আয়াত ৩৯:৫)

৪; বিগ ব্যাং এর কথা

আমরা কবে জানতে পেরেছি? ১০০ বছর? ২০০ বছর? কোরআন ১৪০০ বছর আগেই বলেছে যে,

"কাফেররা কি ভাবিয়া দেখে না যে, আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল অতঃপর আমি উভয়কে খুলিয়া দিলাম, এবং প্রানবন্ত সবকিছুই সৃষ্টি করলাম পানি থেকে এর পরেও কি তার বিশ্বাস স্থাপন করবে না? (সুরাহ আম্বিয়া আয়াত ২১:৩০)

৫; বিজ্ঞান বলে বিগ ব্যাং ছিল ধুয়ার মত,

এটা বিজ্ঞান কবে জানতে পেরেছে? কিন্তু কোরআন ১৪০০ বছর আগেই বলেছে

অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।

সুরা ফুসিওলাত আয়াত ৪১:১১)

৬; এখন বিজ্ঞান বলে চন্দ্র সুর্য একদিন ধংস হয়ে যাবে,

একথা বিজ্ঞান কবে জেনেছে? কিন্তু কোরআন ১৪০০ বছর আগেই বলেছে

"তুমি কি দেখনা যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন, এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন, প্রত্যেকেই নিদ্রিষ্ট সময় পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে, তুমি কি আরো দেখ না যে তোমরা যা কর আল্লাহ তার খবর রাখেন? (সুরা লোকমান আয়াত ৩১:২৯)

৭; বিজ্ঞান বলে বিশ্ব জগত সৃষ্টি হয়েছে ৬ টা সময়ে,

কোরআন ও বলছে বিশ্ব জগত সৃষ্টি হয়েছে ৬ টা সময়ে হতে পারে খুব লম্বা সময়, অথবা অল্প সময় কিন্তু ৬ টা সময়ে হয়েছে,

তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি পরম দয়াময়। তাঁর সম্পর্কে যিনি অবগত, তাকে জিজ্ঞেস কর। (সুরাহ ফোরকান আয়াত ৫৯)




৮; বিজ্ঞান অনু পরমানু আবিষ্কার করেছে কিন্তু তার চাইতে ছোট কিছু আবিষ্কার করতে পারেনি,

অনু, পরমানু, এবং তার চাইতেও ছোট বস্তুর কথা ১৪০০ বছর আগে কোরআনে বলা হয়েছে.........

কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে। (সুরাহ সাবা আয়াত ৩৪:৩)

৯; পুরুষের শুক্রাণু সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ

তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল-পুরুষ ও নারী।একবিন্দু বীর্য থেকে যখন স্খলিত করা হয়।  (সুরা নাজম ৫৩:৪৫-৪৬)

আগে শহরে ও গ্রামে দেখা যেত যদি নবদম্পতির ঘরে পর পর ৩/৪ টা মেয়ে সন্তান হত তখন ভদ্রমহিলার স্বামী ও পরিবার তাকে  মানসিকভাবে নির্যাতন করত। অজ্ঞতার কারনে ভাবত এটা মেয়েদেরই দোষ। কিন্তু এখন বিজ্ঞান বলে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে এটা নির্ধারণ করে পুরুষের শুক্রাণু। কিন্তু কোরআন ১৪০০ বছর আগেই বলেছে যে, পুরুষের শুক্রাণু সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে।


১০; ব্লাক হোলস :

"আমি শপথ করছি সেই জায়গার যেখানে তারকারাজি পতিত হয়। নিশ্চই এটা একটা মহাসত্য, যদি তোমরা তা জানতে।" (সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭৫, ৭৬)

৭৫ নং আয়াতটি স্পষ্টভাব