১-২- ১৯২৯ সালে আমরা জানতে পেরেছি যে, নক্ষত্রগুলি দুরে সরে যাচ্ছে,
কিন্তু কোরআন ১৪০০ বছর আগেই বলেছে,
আমি শপথ করি যেসব নক্ষত্রগুলো(গ্যালাক্সি) পশ্চাতে সরে যায়।চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়
( সুরা তাকভীর৮১:১৫-১৬)
২;পেইন রিসেপ্টর আছে শুধু চামড়ায় অর্থাৎ ব্যথার অনুভুতি
"এতে সন্দেহ নেই যে, আমার নিদর্শন সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী।
[সুরা নিসা ৪: ৫৬]
আচ্ছা এখানে তো এমনও বলা যেত-- তাদের চামড়া, গোস্ত আর হাড্ডি জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব। আগুনে নিক্ষেপ করার পর এটাই কি স্বাভাবিক নয়? কিন্ত এখানে আল্লাহ
কেন শুধু চামড়ার কথা উল্লেখ করলেন? বিস্ময়টা কিন্তু এখানেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন পেইন রিসেপ্টর আছে শুধু চামড়ায় অর্থাৎ ব্যথার অনুভুতি শুধু ছামড়াতেই অনুভুত হতে পারে। একটা মানুষের যদি চামড়া, গোস্ত আর হাড্ডিতে তাপ প্রয়োগ করা হয় তবে শুধুমাত্র চামড়াতেই তাপ অনুভুত হবে , হাড্ডি অথবা গোস্তে নয়। আর এ কারনেই আল্লাহ উক্ত আয়াতে চামড়াকে জ্বালান ও পাল্টানোর কথা বলেছেন।
৩; সূর্য স্থির না চলমান
আগে ১৯৮০, সালের দিকে বিজ্ঞান বইতে ছিল যে, সূর্য স্থির থাকে, কিন্তু কোরআন ১৪০০ বছর আগে বলছে
সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।
(সুরা ইয়াসিন আয়াত ৩৬:৩৮
তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। সুরা যুমার আয়াত ৩৯:৫)
৪; বিগ ব্যাং এর কথা
আমরা কবে জানতে পেরেছি? ১০০ বছর? ২০০ বছর? কোরআন ১৪০০ বছর আগেই বলেছে যে,
"কাফেররা কি ভাবিয়া দেখে না যে, আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল অতঃপর আমি উভয়কে খুলিয়া দিলাম, এবং প্রানবন্ত সবকিছুই সৃষ্টি করলাম পানি থেকে এর পরেও কি তার বিশ্বাস স্থাপন করবে না? (সুরাহ আম্বিয়া আয়াত ২১:৩০)
৫; বিজ্ঞান বলে বিগ ব্যাং ছিল ধুয়ার মত,
এটা বিজ্ঞান কবে জানতে পেরেছে? কিন্তু কোরআন ১৪০০ বছর আগেই বলেছে
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
সুরা ফুসিওলাত আয়াত ৪১:১১)
৬; এখন বিজ্ঞান বলে চন্দ্র সুর্য একদিন ধংস হয়ে যাবে,
একথা বিজ্ঞান কবে জেনেছে? কিন্তু কোরআন ১৪০০ বছর আগেই বলেছে
"তুমি কি দেখনা যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন, এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন, প্রত্যেকেই নিদ্রিষ্ট সময় পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে, তুমি কি আরো দেখ না যে তোমরা যা কর আল্লাহ তার খবর রাখেন? (সুরা লোকমান আয়াত ৩১:২৯)
৭; বিজ্ঞান বলে বিশ্ব জগত সৃষ্টি হয়েছে ৬ টা সময়ে,
কোরআন ও বলছে বিশ্ব জগত সৃষ্টি হয়েছে ৬ টা সময়ে হতে পারে খুব লম্বা সময়, অথবা অল্প সময় কিন্তু ৬ টা সময়ে হয়েছে,
তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি পরম দয়াময়। তাঁর সম্পর্কে যিনি অবগত, তাকে জিজ্ঞেস কর। (সুরাহ ফোরকান আয়াত ৫৯)
৮; বিজ্ঞান অনু পরমানু আবিষ্কার করেছে কিন্তু তার চাইতে ছোট কিছু আবিষ্কার করতে পারেনি,
অনু, পরমানু, এবং তার চাইতেও ছোট বস্তুর কথা ১৪০০ বছর আগে কোরআনে বলা হয়েছে.........
কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে। (সুরাহ সাবা আয়াত ৩৪:৩)
৯; পুরুষের শুক্রাণু সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ
তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল-পুরুষ ও নারী।একবিন্দু বীর্য থেকে যখন স্খলিত করা হয়। (সুরা নাজম ৫৩:৪৫-৪৬)
আগে শহরে ও গ্রামে দেখা যেত যদি নবদম্পতির ঘরে পর পর ৩/৪ টা মেয়ে সন্তান হত তখন ভদ্রমহিলার স্বামী ও পরিবার তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করত। অজ্ঞতার কারনে ভাবত এটা মেয়েদেরই দোষ। কিন্তু এখন বিজ্ঞান বলে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে এটা নির্ধারণ করে পুরুষের শুক্রাণু। কিন্তু কোরআন ১৪০০ বছর আগেই বলেছে যে, পুরুষের শুক্রাণু সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে।
১০; ব্লাক হোলস :
"আমি শপথ করছি সেই জায়গার যেখানে তারকারাজি পতিত হয়। নিশ্চই এটা একটা মহাসত্য, যদি তোমরা তা জানতে।" (সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭৫, ৭৬)
৭৫ নং আয়াতটি স্পষ্টভাব
No comments:
Post a Comment