একটি সুস্থ সবল জাতিই দেশ গঠনের প্রধান হাতিয়ার।
স্বাস্থ্য সচেতনতা, রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, যথাযথ চিকিৎসা ও
স্বাস্থ্যসেবাই সুস্থ নাগরিকের নিশ্চয়তা দিতে পারে। এজন্য প্রয়োজন
প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, সেবক-সেবিকা, স্বাস্থ্যকর্মী ও বিশেষায়িত
চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। চিকিৎসকদের কেবল দক্ষতা নয়, সংবেদনশীল, বিবেকবান মানুষ
হিসেবে গড়ে তোলাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের স্বাস্থ্যসেবা গ্রামীণ
জনপদ থেকে রাজধানী পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসরে বৈচিত্রপূর্ণ স্বকীয়তায়
প্রতিষ্ঠিত।
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সিংহভাগ মানুষ গ্রাম্য চিকিৎসক ও
কবিরাজদের উপরই নির্ভর করে। এ বিষয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞান ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা না
থাকার কারণে এই গ্রাম্য-চিকিৎসকদের কারণে রোগীরা অপচিকিৎসার শিকার হয়ে
থাকে। বাংলাদেশ সরকার জনগণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রাম থেকে
শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসকদের আধুনিক জ্ঞান ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ
করার নানান কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। পল্লী চিকিৎসক ও গ্রামীণ ধাত্রীদের
প্রশিক্ষণদানের ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার দ্রুত কমে এসেছে, যা আমাদের
প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য শিক্ষণীয় বলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা মত দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment